এবারের ঈদযাত্রা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি স্বস্তিদায়ক করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের পর্যাপ্ত টিকিট রয়েছে। তবে এখনো বিআরটিসি ডিপোতে বাসের টিকিট নিতে কোনো যাত্রীর দেখা মেলেনি।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মতিঝিলে বিআরটিসি বাস ডিপোতে ঈদযাত্রার টিকিট নিতে একজন যাত্রীকেও দেখা যায়নি।
এর আগে বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ২০ মে থেকে ঈদুল ফিতরের বিআরটিসি ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
বিআরটিসির মতিঝিল বাস ডিপোর টিকিট বিক্রেতা ওমর ফারুক মাহফুজ জানান, সোমবার বিআরটিসির ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের প্রথম দিন। তাই যাত্রীদের ভিড় নেই। তবে আশা করছেন কয়েকদিন পর থেকে ঈদ স্পেশাল সার্ভিসে যাত্রীদের চাপ বাড়বে।
যাত্রী নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মতিঝিল ডিপোর ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাফর আহমেদ বলেন, যাত্রীরা প্রথমে বেসরকারি পরিবহনের টিকিট নেয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে টিকিট না পেয়ে পরে তাদের কাছে আসেন। আগামী দুই-তিন দিন পর থেকেই আশা করছেন, বিআরটিসি বাস ডিপোতে যাত্রীর চাপ বাড়বে।
তিনি বলেন, মতিঝিল ডিপো থেকে নিয়মিত বাসের পাশাপাশি ঈদ যাত্রায় ১৩০টি বাস যুক্ত হবে। আর সাতটি বাস রিজার্ভ হিসেবে থাকবে। ইতোমধ্যে তাদের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।
বিআরটিসি কাউন্টার সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর মতিঝিল বাস ডিপো থেকে কুমিলস্নার দাউদকান্দি, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, মুন্সিগঞ্জের মাওয়া, খুলনা, পিরোজপুর, বেনাপোল, নালিতাবাড়ী, পাথরঘাটা, বগুড়া এবং রংপুরের টিকিট কিনতে পারবেন যাত্রীরা।
শুরু হয়নি লঞ্চের
অগ্রিম টিকিট বিক্রি
এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার ও লঞ্চমালিকদের ঘোষণা অনুযায়ী সোমবার থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরুর কথা থাকলেও কোনো লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়নি। টিকিট বিক্রির জন্য নির্ধারিত সদরঘাট টার্মিনালের ৩৫টি টিকিট কাউন্টারের মধ্যে সবই বন্ধ ছিল। এতে করে টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়ে টার্মিনাল ত্যাগ করতে হয়েছে যাত্রীদের।
সোমবার দুপুরে ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, লঞ্চের টিকিট বিক্রির জন্য ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালের নতুন ভবনে ৩৫টি টিকিট কাউন্টার থাকলেও কোনোটি থেকেই টিকিট বিক্রি করা হয়নি। বরং সব কাউন্টারই বন্ধ ছিল। কাউন্টারের সামনে হকারদের মালামাল ও ভ্যানগাড়ি এবং মোটরসাইকেল রাখা থাকতেও দেখা গেছে।
জানতে চাইলে পারাবত-১১ লঞ্চের সুপারভাইজার ফরিদ শেখ বলেন, 'আমাদের লঞ্চে ১৮৮টি দ্বিতীয় শ্রেণি ও ৪টি ভিআইপি কেবিন রয়েছে। এখান থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। তবে অনলাইনের মাধ্যমে কিছু কিছু কেবিনের বুকিং দেয়া হচ্ছে।'