সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে 'ছুরি দেখিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের' হুমকি দেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় জামিনের কাগজ দেখিয়ে বেরিয়ে গেছেন ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন।
পাঁচ দিন আগে এক রোগীকে নিয়ে উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তুলকালাম বাধানো এই সারোয়ার হোসেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি।
ওই ঘটনায় সোমবার রাতে সারোয়ারের নামে মামলা হওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানান সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিয়া। কিন্তু দুপুর ৩টার দিকে থানায় গিয়ে সারোয়ারের জামিনের কাগজ দেখিয়ে তাকে মুক্ত করে নিয়ে যান তার আইনজীবী।
ওসি সেলিম মিয়া বলেন, 'সোমবার রাতে মামলা হওয়ার পর সারোয়ার মঙ্গলবার আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান। কিন্তু বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। আদালত থেকে ফেরার সময় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি।'
'সারোয়ার সে সময় জামিনের কথা বললেও কাগজ দেখাতে না পারায় তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার আইনজীবী জামিনের কাগজ নিয়ে এলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।'
গত বৃহস্পতিবার বিকালে ছাত্রলীগের ১০-১৫ জন নেতাকর্মী তাদের এক সহযোগীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক রোগীর সঙ্গে একজন থেকে বাকিদের বাইরে যেতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সারোয়ার।
কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার ছুরি দেখিয়ে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেন বলে ওই চিকিৎসকের অভিযোগ।
পরে ওই চিকিৎসক ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে ফেসবুকে পোস্ট দিলে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। চিৎকার করে সারোয়ারের গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকি এবং তার মারমুখী আচরণের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এর মধ্যে গত ১১ মে বিকালে উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ফেরদৌস হাসান কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরে সোমবার রাতে তিনি সারোয়ারের নাম উলেস্নখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এরপর মঙ্গলবার সকালে সারোয়ার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মোসতাইন বিলস্নাহ জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানান ওসি।
\হ