বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
সার্কুলার জারির নির্দেশ

অ্যান্টিবায়োটিকের অবাধ বিক্রিতে লাগাম হাইকোর্টের

এ আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসককে সার্কুলার জারি করতে বলা হয়েছে
যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

যথাযথ তত্ত্বাবধান ও নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে প্রতিটি জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসককে সার্কুলার জারি করতেও বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

রুলে জানতে চাওয়া হয়, যথাযথ তত্ত্বাবধান ও নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না?

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন সচিব ও দেশের সব জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ব্রিটিশ দৈনিক 'দ্য টেলিগ্রাফ'সহ দেশের কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে বুধবার হাইকোর্টে এ রিট আবেদন করেছিলেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন; যিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালেরও প্রসিকিউটর।

পক্ষে আদেশ পাওয়ার পর রিটকারী আইনজীবী সুমন সাংবাদিকদের বলেন, 'আজকের এই আদেশের পরে কার্যত প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বাংলাদেশে আর হতে পারে না, হবে না।'

এ আইনজীবী বলেন, 'যে অ্যান্টিবায়োটিক মানুষের খাওয়ার কথা সে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হচ্ছে পোলট্রিকে। যে কারণে এগুলো ইনডাইরেক্টলি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স তৈরি হচ্ছে। আমি তো মনে করি খাদ্যের ব্যাপারে স্টেট অব ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা উচিত।

'গত বছর বিএসএমইউতে ৯০০ জন আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে মারা গেছেন ৪০০ জন। তারপরে আর কী লাগে? এখন, সিভিল সার্জন ও ডিসি সাহেবরা কার্যকর ব্যবস্থা যদি নেন, তাহলে পরবর্তী জেনারেশনকে বাঁচানো যাবে।'

গত ২২ এপ্রিল দ্য টেলিগ্রাফ 'সুপারবাগস লিঙ্কড টু এইট আউট অব টেন ডেথস ইন বাংলাদেশ আইসিইউ'স' অর্থাৎ 'বাংলাদেশের আইসিইউতে ১০ মৃতু্যর মধ্যে ৮টি মৃতু্যর জন্যই দায়ী সুপারবাগ' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, 'বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ৮০ শতাংশ মৃতু্যর জন্য অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সুপারবাগ দায়ী।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে এই অবস্থা বেশি দেখা যায়। কারণ এসব দেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের পরামর্শ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় না। আবার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজ থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক নেয়া এবং দোকান থেকে অবৈধভাবে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে রোগী ব্যবহার করে। আবার মানুষের ব্যবহৃত ওষুধ বেশি লাভের জন্য পশুর ওজন বাড়াতেও প্রয়োগ করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসক সায়েদুর রহমানকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, 'অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে দেশে আরও কড়াকড়ি প্রয়োজন।

'অ্যান্টিবায়োটিক দোকানে কেনাবেচা করার সুযোগ থাকা উচিত নয়। এসব ওষুধ শুধু হাসপাতাল থেকে বিতরণ করা যাবে, এমন ব্যবস্থা করা উচিত।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<46901 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1