শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিতে চরম অস্থিরতা

০ দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নিলেন জাহিদুর রহমান ০ অন্য চারজনও শপথ নিতে পারেন ০ জাহিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা শিগগিরই : ফখরুল ০ জাহিদুর রহমান গণদুশমন- গয়েশ্বর ০ শপথ নেয়ায় অভিনন্দন আ’লীগের
যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত জাহিদুর রহমানকে শপথ পড়ান -যাযাদি

একাদশ সংসদে নির্বাচনের নির্বাচিত ৬ সদস্যের শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত ঘিরে বিএনপিতে চরম অস্থিরতা চলছে। শপথ না নেয়ার দলীয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসন থেকে নির্বাচিত এমপি জাহিদুর রহমান বৃহস্পতিবার শপথ নেয়ায় দলের বিশৃঙ্খলা আরও বেড়েছে। অন্য ৫ জনের মধ্যে দলীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া অন্য ৪ সদস্য শপথ নেয়ার পক্ষে বলে জানা গেছে। শপথের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই তারা শপথ নিতে পারেন বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অভাবনীয় ফল বিপর্যয়ের পর দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে বিএনপি। একদিকে নির্বাচিত এমপিদের অধিকাংশই শপথ নিয়ে সংসদে যোগ দেয়ার পক্ষে অবস্থান নেন। অন্যদিকে নির্বাচনে পরাজিত সিনিয়র নেতাসহ অনেকেই সংসদে যোগ দেয়ার তীব্র বিরোধিতা করেন। বিশেষ করে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক গণফোরাম থেকে নির্বাচিত এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদের পর অপর নেতা মোকাব্বির খান শপথ নেয়ায় সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠেন বিএনপির বিজয়ী এমপিরা। নির্বাচিতদের আগ্রহ দেখে দলের নীতিনির্ধারকরা স্থায়ী কমিটির বৈঠক করে শপথ না নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত অমান্য করলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ারও হুশিয়ারি দেন। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করে বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাংসদ জাহিদুর রহমান শপথ নেন। তাকে শপথ গ্রহণ করান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। এর আগে গতকাল সকালে জাহিদুর রহমান শপথ নেয়ার বিষয়ে তার আগ্রহের কথা জানিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি লেখেন।

তিনবার নির্বাচন করে পরাজিত হওয়ার পর এবারই প্রথম নির্বাচিত হওয়া জাহিদুর রহমান শপথ গ্রহণ করে সাংবাদিকদের বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিয়েছেন। দল এ জন্য তাকে বহিষ্কার করলেও করতে পারে। এটি জেনেই শপথ নিয়েছেন।

জাহিদুর রহমান বলেন, দল বহিষ্কার করলেও তিনি বিএনপিতে আছেন এবং থাকবেন। সংসদে তার প্রথম কাজ হবে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া।

বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, এলাকার মানুষের প্রচ- চাপে আছেন। এলাকার মানুষের একটাই বক্তব্য, শপথ নিয়ে ঢাকা থেকে ফিরে আসেন। তাই দলের সিদ্ধান্তের বাইরেই শপথ নিয়েছেন।

শপথের বিষয়ে দলের কোনো পর্যায়ে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে কথা হলেও নতুন করে হয়নি। দল কোনো প্রকারের সম্মতি দেয়নি। শপথ না নেয়ার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আছে দল।

শপথের পর দল বহিষ্কার করতে পারে সে ক্ষেত্রে তার অবস্থান কী হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদুর রহমান বলেন, দল যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। সেটা জেনে-শুনেই শপথ গ্রহণ করেছেন। দল যদি মনে করে বহিষ্কার করবে, করতেই পরে। বহিষ্কার করলেও দলেই থাকবেন। কারণ দলের একজন নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে দীর্ঘ ৩৮ বছর এই দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।

আরেক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে মাঠে লড়াই করছেন। এবার নিয়ে চতুর্থবার নির্বাচন করেছেন। এই আসনটি বিএনপির ছিল না। স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের। এই প্রথম বিএনপি জয়ী হতে সক্ষম হয়েছে।

সংসদে কী ধরনের ভূমিকা রাখবেন প্রশ্নে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সংসদে ভূমিকা রাখা দরকার। তাকে গণতন্ত্রের স্বার্থে যেন মুক্ত করে দেয়া হয়, সংসদে এই আহ্বান জানাবেন। সংসদ সদস্য হিসেবে এটাই হবে তার প্রথম অঙ্গীকার। আর এলাকার হাজার হাজার নিরপরাধ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাবেন।

এদিকে জাহিদুর রহমানের শপথের বিষয়ে বিএনপিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেতাকর্মীরা জাহিদকে বেইমান আখ্যা দিয়ে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার দাবি করেছেন। এ ছাড়া এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা কী, তা জানতে দুপুরের পর থেকে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর অফিসে যান উচ্চপর্যায় থেকে শুরু করে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। দুুপুরে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তাকে উদ্দেশ্য করে নেতা-কর্মীরা বলতে থাকেন, ‘দাদা কোনো দালাল দলে থাকতে পারবে না’। এ সময় জাহিদুর রহমান মহাসচিবের লোক বলেও উচ্চস্বরে কয়েকজন কর্মী বলতে থাকেন। দালালদের ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে এ সময় কর্মীদের শান্ত করা হয়। গয়েশ্বর যাওয়ার আগেই কার্যালয়ে যান ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। পরে নেতারা মহাসচিবের কক্ষে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। বিকালে এই নিয়ে ওই তিন নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে স্কাইপির মাধ্যমে করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী গয়েশ্বর রায় জানান, আগামী শনিবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে, সেখানে এই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

দলের এক সিনিয়র নেতা জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষার বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে শনিবার স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে জাহিদের শপথ বাকিদের উৎসাহিত করতে পারে বলে জ্যেষ্ঠ নেতাদের ধারণা। ইতোমধ্যে অন্তত দুইজন গতকাল সংসদ ভবনে গিয়ে শপথের বিষয়ে কথা বলেছেন এমন তথ্য তারা পেয়েছেন।

দলের একাধিক নীতিনির্ধারকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাহিদের শপথের পরই তারা অন্য নির্বাচিত এমপিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের শপথ নেয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। দল চাইছে, জাহিদ শপথ নিলেও বাকিদের আপাতত ‘বিরত’ রাখা। নইলে সময়ের আবেদন করে হলেও ‘সময়ক্ষেপণ’ করা। সংবিধান মতে, কোনো সংসদ সদস্য শপথের জন্য সময়ের আবেদন করলে স্পিকার চাইলে তা মঞ্জুর করতে পারেন।

জানা গেছে, বিএনপি নীতিনির্ধারকদের ধারণা, আগামী দু’একদিনের মধ্যে আরও কয়েকজন শপথ নিতে পারেন। তাই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি একসঙ্গে করবেন। এ জন্য শনিবার পর্যন্ত বিএনপি দেখতে চাইছে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে দাঁড়ায়।

জাহিদুর রহমান জাহিদ শপথের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে কেউ শপথ নিলে তা ‘সাংগঠনিক অপরাধ’ হিসেবে বিবেচনায় এনে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। দলের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, শপথ গ্রহণ না করা। এই সিদ্ধান্তকে অমান্য করে যদি কেউ শপথ গ্রহণ করে থাকেন তা নিসন্দেহে সাংগঠনিক অপরাধ। অবশ্যই এরকম ব্যক্তির বিরুদ্ধে দ্রুতই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিজের শপথ গ্রহণের বিষয়ে তিনি পরিষ্কার করে বলেন, তার শপথ নেয়ার প্রশ্নই উঠে না।

এদিকে জাহিদুরের শপথের এক ঘণ্টা পর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, কে কোথায় শপথ নিলেন বা নিলেন না, সেটা বিষয় না। দলের সিদ্ধান্ত ছাড়া নেত্রীকে জেলে রেখে কেউ যদি শপথ নেন তাহলে তারা জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে থাকতে পারে না। তারা হলো গণদুশমন এবং জনগণই সময়মতো তাদের বিচার করবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এই প্রতিক্রিয়ার জবাবে জাহিদুর রহমান বলেন, কয়েক দিন আগে দলের মহাসচিব বিএনপির ৫ জন নির্বাচিত সাংসদকে ডেকে শপথ না নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে এসে সংসদে যোগ দেয়ায় সিনিয়র নেতারা যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

শপথ নিলেও প্রথম দিনে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সংসদের অধিবেশনে যোগ দেবেন না জানিয়ে জাহিদুর আরও বলেন, মহাসচিব ছাড়া দলের বাকি সদস্যরাও শপথ নিতে পারেন। তারা এলে একসঙ্গে যোগ দেবেন।

মহাসচিব ছাড়া অন্য ৪ সদস্য দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেবেন বলে জাহিদুর আভাস দিলেও নির্বাচিতরা গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি থেকে নির্বাচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন উর রশিদ, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার শপথ নেয়ার পক্ষে তাদের অবস্থানের কথা একাধিকবার দলীয় ফোরামে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত নিজেদের মতের পক্ষেই তারা অবস্থান নিতে পারেন। তবে বগুড়া-৩ আসন থেকে নির্বাচিত দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেবেন না।

প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদের প্রথম বৈঠকের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে শপথ গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে সদস্যপদ বাতিল করে আসন শূন্য ঘোষণা করা হবে। একাদশ সংসদের প্রথম বৈঠক বসে এ বছরের ৩০ জানুয়ারি। এই হিসাবে ২৯ এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচিত সদস্যদের শপথ গ্রহণ করতে হবে। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে যে সব সাংসদ শপথ গ্রহণ করেছেন, আইন অনুযায়ী তাদের সদস্যপদ থাকবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। এ বিষয়ে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো সাংসদ নির্বাচনের পর সাংসদ পদে থাকার অযোগ্য হবেন কি না কিংবা সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুসারে কোনো সাংসদের আসন শূন্য হবে কি না এ সম্পর্কিত কোনো বিতর্ক দেখা দিলে বিষয়টি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হবে এবং এ ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।’

৭০ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে কোনো ব্যক্তি সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন অথবা সংসদে দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তবে সংসদে তার আসন শূন্য হবে।’

এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সুলতান মনসুর, মোকাব্বির খান ও জাহিদুর রহমান দল থেকে পদত্যাগ করেননি। সংসদে দলের বিপক্ষে ভোট দেয়ার সুযোগও তাদের নেই। তবে তারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে সংসদে যোগ দিলে এবং ওই অবস্থায় দল তাদের বহিষ্কার করলে পরিণতি কী হবে, সে বিষয়ে সংবিধানে স্পষ্ট কিছু বলা নেই। কিন্তু গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে হলে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থাকতে হবে।

জাহিদকে আ’লীগের অভিনন্দন

দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এমপি হিসেবে শপথ নিয়ে জাহিদুর রহমান জাহিদ বিএনপি নেতাদের কাছে তিরস্কৃত হলেও অভিনন্দন পেয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে।

একাদশ সংসদে বিএনপির প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে জাহিদ বৃহস্পতিবার শপথ নেয়ার পর তাকে অভিনন্দন জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ।

বিরোধী দলের এমপির শপথ নেয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি, ভোটারদের দায়বদ্ধতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে আপনারা শপথ গ্রহণ করুন। জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে সংসদে আসার জন্য, সেই দায়বদ্ধতা থেকে শপথ নেয়া উচিত।

‘বিএনপির সাংসদ জাহিদুর রহমান জাহিদ শপথ নিয়েছেন, তাকে আমরা অভিনন্দন জানাই।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে