শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ উদরাময়ে রোগীর প্রচন্ড ভিড়

যাযাদি রিপোর্ট
  ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০৫
মহাখালীর আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের এভাবে চিকিৎসা চলছে। ছবিটি শুক্রবার তোলা -আমিনুল ইসলাম শাহীন

রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক হারে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রে (আইসিডিডিআরবি) গত এক সপ্তাহে প্রতিদিন ৬শ থেকে ৮শ ডায়রিয়ার রোগী আসছে। অর্থাৎ প্রতি দুই মিনিটে ভর্তি হচ্ছে একজন রোগী। এ সময় পানি, বাসি-পচা খাবার খাওয়া থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। আইসিডিডিআরবিতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক শিশুর মা জানান, পানির মতো পাতলা পায়খানা শুরু হয়। এ ছাড়া পেট প্রচুর ফাঁপা ছিল। তিন দিন ধরে এখানে আছেন। খাবার খাওয়ার পরেই বমি করে ফেলে, এ জন্য ডাক্তার বলেছেন, পাঁচ মিনিট পর পর খাওয়াতে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আরেক শিশুর মা বলেন, চারটা স্যালাইন লাগানোর পরে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসছে। উনারা স্যালাইন খুলে দিয়ে খাবার স্যালাইন দিয়েছেন। শুধু শিশুই নয়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন সব বয়সের রোগীই। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, বাড্ডা, লালবাগসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মহাখালীর আইসিডিডিআরবিতে গত এক সপ্তাহে ভর্তি হয়েছেন কয়েক হাজার রোগী। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক বৃদ্ধ বলেন, 'পয়লা বৈশাখে শুধু খাওনডা একটু ভালো দিছি। গরুর মাংস খাইলাম, এর পরেই রাতে দুবার পাতলা পায়খানা হইছে।' জানা গেছে, হাসপাতালটিতে শয্যা ৪২৪টি হলেও অতিরিক্ত রোগী সামাল দিতে হাসপাতালের সামনে তাঁবু টানিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইসিডিডিআরবির পরিচালক ডা. আজহারুল ইসলাম খান বলেন, 'এখন আমরা গড়ে প্রায় সাড়ে ৮০০ রোগী পাচ্ছি। এর মধ্যে ৬৫ থেকে ৭০ ভাগই বয়স্ক ও বাকিরা শিশু। সিভিয়ার ডিহাইড্রেশনের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ। পানির সমস্যাটাই মূল সমস্যা। যেসব জায়গা থেকে বেশি রোগী আসছেন, সেসব জায়গায় আইডিসিআরবি তাদের লোক পাঠাবে। তারা দেখবেন, ঘটনা কী।' ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে ডা. আজহারুল ইসলাম বলেন, 'গরমে পানির যেমন চাহিদা বেড়ে গেছে, সেখানে স্বাভাবিকভাবেই বাইরের লোকজন বেশিরভাগ দূষিত পানি পান করছে। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার ধারে যে খাবার-দাবার, জুস বিক্রি হচ্ছে, এগুলো দ্রম্নত নষ্ট হয়ে যায়।' আসন্ন রমজানে আক্রান্তের হার কমবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে