শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের প্রকোপ বাড়ছে বাংলাদেশে

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ০০:১৪
ভারতের একটি হাসপাতালে ডিমেনশিয়া আক্রান্ত রোগীরা -ফাইল ছবি

বাংলাদেশসহ বিশ্ব জুড়েই ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগের ভয়াবহতা দিনে দিনে বাড়ছে। ডিমেনশিয়া মস্তিষ্কের এক ধরনের রোগ, যার ফলে কিছু মনে রাখতে পারেন না রোগী। এমনকি এ রোগটির কারণে একটু আগেই করা কাজ ভুলে যান অনেকে। রোগটি নিয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকায় একটি সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ আলঝেইমার সোসাইটি। ডিমেনশিয়ার একটি বড় কারণ হলো আলঝেইমার্স। সোসাইটির একজন সদস্য এবং সাবেক এমপি সেলিনা জাহান লিটা বলেন, তারা অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশে রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির চেষ্টা করছেন। কিন্তু রোগটি সরকারি বা বেসরকারি কোনো দিক থেকেই যথাযথ গুরুত্ব এখনো পায়নি। এক হিসাবে দেখা যায়, বাংলাদেশে ২০১৫ সালে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ, যা আগামী ২০৩০ সালে বেড়ে নয় লাখ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আলঝেইমার সোসাইটির হিসাবে, ২০৫০ সাল নাগাদ এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২২ লাখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ দিন দিন এ রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। সে হিসাবে প্রতিকারের ব্যবস্থা খুব কমই। সেলিনা জাহান বলেন, 'মানুষকে সচেতন করা দরকার। তাহলে আক্রান্ত হলেও মানুষ বৃদ্ধ বয়সে করুণ পরিণতির মুখোমুখি হবে না।' কোন বয়সের মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়? সেলিনা জাহান লিটা বলেন, বাংলাদেশে ষাট বছরের বেশি বয়সের মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে ৪০-৫০ বছর বয়সের মধ্যেও অনেককে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিম্নবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্তের মানুষেরাও রোগটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে যারা দারিদ্র্যসীমার নিচে আছেন তাদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। উচ্চবিত্ত অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু মূলত রোগটির ক্ষেত্রে বেশি দরকার সচেতনতা। চিকিৎসা আছে পর্যাপ্ত? সেলিনা জাহান বলেন, ডিমেনশিয়া নিয়ে সরকারিভাবে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। 'রোগটির তেমন চিকিৎসা নেই। কিন্তু শুধু চিকিৎসার বিষয় নয়, রোগটি নিয়ে সচেতনতা তৈরি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।' 'এটি হলে রোগটিকে আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব। বৃদ্ধ বয়সের করুণ পরিণতি থেকে রক্ষা করতে পারব।' তিনি বলেন, হাসপাতালগুলোতে ডিমেনশিয়া কর্নার তৈরি করা দরকার। পাশাপাশি ডাক্তার ও নার্সদের তাদের করণীয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত। 'মনে রাখতে হবে পারিবারিকভাবে সচেতনতা তৈরি হলে রোগীরা জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে করুণ পরিণতি থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবেন।' বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে