বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
বাঘাইছড়ি হত্যাকান্ড

অশান্ত পাহাড়ে অস্ত্রের ছায়ায় রক্তাক্ত জীবন

সর্বশেষ রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ঘাতকের ব্রাশফায়ারে প্রাণ যায় সাতজনের। আহত হয়েছেন অনেকে। চুক্তির পর বলা যায়, এটিই সবচেয়ে বড় হত্যাকান্ড
যাযাদি ডেস্ক
  ২২ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

ভালো নেই পাহাড়। অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ হচ্ছে না কিছুতেই। রক্তাক্ত হচ্ছে বারে বারে। অতীতের সব সহিংসতাকে ছাড়িয়ে দিনে দিনে আরো বেপরোয়া হচ্ছে আঞ্চলিক রাজনীতি। সর্বশেষ রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ঘাতকের ব্রাশফায়ারে প্রাণ যায় সাতজনের। আহত হয়েছেন অনেকে। চুক্তির পরে বলা যায়, এটিই সবচেয়ে বড় হত্যাকান্ড। আর এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে রয়েছে আঞ্চলিক রাজনীতির বিরোধ।

আগে শুধু আঞ্চলিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মারা গেলেও এখন এই তালিকায় সাধারণ মানুষও রয়েছে। বাঘাইছড়ির নৃশংস হত্যাকান্ড তার বড় প্রমাণ। এখানে নিহত-আহত সবাই সাধারণ মানুষ। তারা সরকারের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত। তাই এই হামলাকে রাষ্ট্রের ওপর হামলা বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দলে বিভক্তি, আধিপত্য বিস্তার ও মতের ভিন্নতা ও মতবিরোধের জের ধরে পাহাড়ের বিবদমান দলগুলো জড়িয়ে পড়েছে সংঘাত-হানাহানিতে। খুন, অপহরণ, গোলাগুলি যেন নিত্যদিনের ঘটনা। শুধু গত ১৫ মাসে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে মারা গেছে ৬০ জন। এই সময়কালীন চুক্তির পরবর্তী সময়ে ঘটেছে তিনটি বড় ধরনের ঘটনা। এর মধ্যে গেল বছরের ৩ মে রাঙামাটির নানিয়ারচওে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের প্রধানসহ নিহত হয়েছেন পাঁচজন, ১৭ আগস্ট খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভর এলাকায় ব্রাশফায়ারে নিহত হয় ছয়জন এবং সর্বশেষ রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ব্রাশফায়ারে নিহত হন সাতজন।

বিরোধের শুরু

দীর্ঘ দুই দশকের সশস্ত্র সংঘাতের পর পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার খোঁজে ১৯৯৭ সালে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সঙ্গে ঐতিহাসিক পার্বত্যচুক্তি স্বাক্ষর করে। তবে ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর চুক্তির বিরোধিতা করে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বে গঠন করা হয় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। বিরোধের শুরু সেখানেই।

প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৩৮ বছর পর ঐক্যবদ্ধ জনসংহতি সমিতির মধ্যে ফাটল দেখা হয়। জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমার নেতৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল এম এন লারমার আদর্শ মেনে নতুন করে জনসংহতি সমিতি গঠন করা হয়। আস্তে আস্তে তিনটি আঞ্চলিক দলের মধ্য দূরত্ব তৈরি হয়। শুরু হয় চরম বিভেদ-সংঘাত-সহিংসতা ও রক্তপাত। একে অপরের সঙ্গে খুন, অপহরণ, গোলাগুলি, আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে মেতে ওঠে।

সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর প্রতিষ্ঠার ১৯ বছরের মাথায় প্রসীত খীসার নেতৃত্ব অগণতান্ত্রিক দাবি করে ভেঙে যায় ইউপিডিএফ। গঠিত হয় ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক। অধিকার আদায়ের নামে পাহাড়ে চলে চাঁদাবাজি। শুরুতে পাহাড়ে ২টি সংগঠনের আধিপত্য থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে দাঁড়ায় চারটিতে। এতে সংগঠনগুলোর ক্ষমতা খর্ব হয়। যে কারণে সংঘাতের মাত্র বেড়ে যায়।

এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই

খাগড়াছড়ি জেলার বাইরে রাঙামাটির নানিয়ারচরের কিছু অংশ, কাউখালির কিছু অংশ, বাঘাইছড়ির কিছু অংশ এবং বান্দরবানের বালাঘাটা এলাকায় ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রম্নপের অস্তিত্ব আছে। নানিয়ারচর সদরে জেএসএস এমএন লারমা গ্রম্নপের অবস্থান রয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ি-রাঙামাটির সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিক্ষিপ্ত অবস্থান রয়েছে এমএন লারমা গ্রম্নপের। বাঘাইছড়িতে বিভক্ত ৪টি দলের অবস্থান রয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ির অধিকাংশ উপজেলায় প্রসীত গ্রম্নপের অবস্থান। যদিও বেশ কিছু জায়গা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের।

দীঘিনালা সদর উপজেলায় জনসংহতি সমিতি এমএন লারমা গ্রম্নপ এবং ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিকের নিয়ন্ত্রণে। দীঘিনালার বাবুছড়ায় প্রসীত গ্রম্নপ, নারাইছড়িতে জেএসএস সন্তু, দীঘিনালা-মেরুং-লংগদু সড়কের সীমান্ত এলাকা দাঙ্গাবাজার পর্যন্ত মাইনী নদীর পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত এমএন লারমার নিয়ন্ত্রণে। মাইনী নদীর পূর্বাঞ্চল থেকে মেরুং ইউনিয়নের পানছড়ি এলাকা, ক্ষেত্রপুর এলাকা হয়ে বাঘাইছড়ির দুই টিলাসহ সর্বশেষ ৭ হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল ৯ কিলো নামক এলাকা পর্যন্ত ইউপিডিএফ প্রসীত এবং জনসংহতি সমিতি সন্তুর নিয়ন্ত্রণে।

বাঘাইছড়ি হত্যাকান্ড

নির্বাচনের দায়িত্ব পালন শেষে সরঞ্জাম নিয়ে সাজেকের কংলাক পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রথম চাঁদের গাড়িটি (জিপ) রওনা হয়। পরে বাঘাইহাট থেকে বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্র, মাচালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তিনটি গাড়িতে করে রওনা হন। গাড়িগুলোর নিরাপত্তায় সামনে ছিল বিজিবির একটি গাড়ি। ঘটনাস্থল ৯ কিলো এলাকা পার হওয়ার সময় সামনে থেকে তৃতীয় গাড়িতে রাস্তার দুই পাশ থেকে ব্রাশফায়ার করা হয়। তৃতীয় গাড়িতে থাকাদের বেশি হতাহত হলেও একদম পেছনের গাড়িটিতেও গুলি লাগে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বাঘাইহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম ছিলেন দ্বিতীয় গাড়িতে।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, হঠাৎ করেই তিনি পিছন দিকে গুলির শব্দ শুনতে পান। তখন চালককে গাড়ি সাইড করে থামাতে বলেন। কিন্তু পিছনের গাড়িটি দ্রম্নত তাদের পার হয়ে সামনের দিকে যাওয়ার ইশারা দেয়। এ অবস্থায় দ্রম্নত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গন্তব্যের দিকে আগাতে থাকেন। বিজিবি ক্যাম্পের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেখতে পান, তাদের পিছনের গাড়ির ভিতরে গুলিবিদ্ধ লোকজন কাতরাচ্ছে।

আক্রান্ত বহরের তৃতীয় গাড়ির চালক মো. আল আমিন (২৮) সাংবাদিকদের বলেন, গাড়িতে গুলি করা হচ্ছে টের পেয়ে তিনি গাড়িটি আরো দ্রম্নত চালাতে থাকেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ির ভিতরে থাকা লোকজনের কাতরানোর আর্তনাদ শুনতে পান।

সামনের সিটে চালকের আসনের পাশে বসা ছিলেন একজন প্রিজাইডিং অফিসার এবং পুলিশের একজন এস আই। দুজনেই বলতে থাকেন তাদের গায়ে গুলি লেগেছে এবং প্রিজাইডিং অফিসার তার মাথায় গুলি লেগেছে বলেই চালকের উপর হেলে পড়েন। এ অবস্থায় গাড়ি থামালে সমস্যা আরো বেশি হবে ভেবে নিজের মনোবল নিয়ে তিনি গাড়ি চালিয়ে দ্রম্নত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

অসমর্থিত একটি সূত্রমতে, হামলায় মেশিনগান, বিদেশি ভারী অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যাকান্ড চালিয়ে ভারতের মিজোরাম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে বাঘাইছড়িতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন অনেকে।

তবে ঘটনায় নিহত মিন্টু চাকমাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বেশ কয়েকটি সূত্রে তাকে কখনো পথচারী কখনোবা গাড়ির হেলপার বলা হয়েছে। তবে চালক আল আমিনের ভাষ্যমতে, গাড়িটি কোথাও দাঁড়ায়নি। গুলি করা হচ্ছে জেনেও হতাহতদের নিয়ে চালক আল আমিন দ্রম্নত গাড়ি চালিয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে যান। সে কারণে গুলিবিদ্ধ পথচারীকে তাৎক্ষণিক তুলে আনা সম্ভব হয়নি। অপর দিকে গাড়িটির হেলপার ছিলেন সাদ্দাম নামে একজন। তাকে ঘটনার দিন হেলিকপ্টারযোগে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় সামরিক হাসাপাতালে পাঠানো হয়। তবে যে তিনটি কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করেছেন সে তালিকা দেখলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি তালিকায় নাম না থেকে থাকে সেক্ষেত্রে মিন্টু চাকমা হামলাকারীদের সোর্স হলেও হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

বাঘাইছড়ি হত্যাকান্ডের

দায় সন্তু-প্রসীত'র

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সাতজনকে ব্রাশফায়ার করে হত্যাসহ বিলাইছড়িতে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার সঙ্গে সন্তু লারমার জনসংহতি সমিতি এবং প্রসীত খীসার ইউপিডিএফ জড়িত বলে দাবি করেছেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং এমএন লারমা গ্রম্নপের প্রভাবশালী নেতা সুদর্শন চাকমা।

এ প্রসঙ্গে সুদর্শন চাকমা বলেন, সন্তু-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বড় ঋষি চাকমা নির্বাচনে জিততে পারবেন না জেনে প্রথমে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন, পরে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট সাধারণ মানুষকে হত্যা করে।

অপর দিকে বুধবার সকালে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঘটনার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারসহ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ থেকে পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার দাবি জানানো হয়।

চলছে চিরুনি অভিযান; ছাড়

না দেয়ার হুশিয়ারি

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সংঘটিত হামলার পর এলাকায় চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে। সন্ত্রাসীদের সামান্যতম ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন খাগড়াছড়ির সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হামিদুল হক।

গত মঙ্গলবার সকালে বাঘাইছড়ির ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, গত সোমবার থেকে তারা চিরুনি অভিযান শুরু করেছেন। সম্ভাব্য যে সমস্ত এলাকায় সন্ত্রাসীরা অবস্থান করতে পারে বলে তাদের মনে হয়, সে সমস্ত এলাকায় খুঁজে দেখছেন। সন্ত্রাসীদের কাউকে সামান্যতম ছাড় দেয়া হবে না।

এই ঘটনার সঙ্গে জেএসএস (সন্তু) ও ইউপিডিএফ (প্রসীত) জড়িত বলেও জানান তিনি।

ঘটনার দায় অস্বীকার

এদিকে বাঘাইছড়ি হত্যাকান্ডের সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (সন্তু গ্রম্নপ) ও ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (প্রসীত গ্রম্নপ)। পৃথক বিবৃতিতে তারা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তারা দাবি করেছেন, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তাদের জড়ানো উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। 'এমন অপপ্রচার' ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

খাগড়াছড়িতে সতর্ক প্রশাসন

রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে হত্যাকান্ডের ঘটনায় সতর্ক রয়েছে খাগড়াছড়ি প্রশাসন। বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, আমাদের ওপর কোনো হুমকি নেই। তারপরও পার্শ্ববর্তী এলাকা রাঙামাটিতে একটি নির্মম ঘটনা যেহেতু ঘটে গেছে, সেহেতু আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনা তদন্তের জন্য গঠিত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। স্থানীয়দের দাবি, পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারলে পাহাড়ে পুরোপুরি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা অনেকটা সহজ হবে। বাংলানিউজ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<42097 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1