শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ক্ষমতায় সমতা: বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ নারীদের হাতে!

যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ১৭ জুলাই ২০১৮, ০০:৫৪

সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেকডর্ সংখ্যায় নারীরা নিবার্চনে দঁাড়াচ্ছেন, যা বৈশ্বিক রাজনীতির চেহারা পাল্টে দিচ্ছে এবং জাতীয় আইনসভায় লিঙ্গ সমতা আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি ঘটিয়েছে। মেক্সিকোর সাম্প্রতিক নিবার্চনে দেশটির পালাের্মন্টে দুটি কক্ষেই সমান সংখ্যায় নারী ও পুরুষ এমপিরা নিবাির্চত হয়েছেন যে ঘটনা একটি বড় ‘মাইলফলক’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্পেন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের পর এই প্রথম দেশটির মন্ত্রিসভায় পুরুষদের চেয়ে বেশি সংখ্যায় নারীদের মনোনীত করা হয়েছে গত জুন মাসে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডানর্ গত ২১ জুন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি হলেন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মা হওয়া দ্বিতীয় কোনো নারী। এর আগে দায়িত্ব পালনকালে মা হওয়া প্রথম ব্যক্তি ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। ২০১৮ সাল : বিশ্বে ১১ জন নারী বিভিন্ন দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এখনো কোনো নারী নেতৃত্ব নেই। কিন্তু বতর্মানে বিশ্বে ১১ জন নারী নেতা রয়েছেন, যারা নিজ নিজ দেশের সরকারপ্রধান। এর সঙ্গে যদি ‘হেডস অব স্টেট’ অথার্ৎ রাষ্ট্রীয় প্রধান ব্যক্তিদের নাম যোগ করা হয় তাহলে এই সংখ্যা হবে ২১। ২০১৭ সালে পিউ রিসাচের্র এক গবেষণা মোতাবেক, গত অধর্শতকে অন্তত একবছর করে হলেও ১৪৬ দেশের মধ্যে ৫৬টি জাতি একজন নারী রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রধান পেয়েছে। এর মধ্য ৩১টি দেশের নারী প্রধানদের শাসনকাল পঁাচ বছর মেয়াদি কিংবা তারও কম সময় এবং ১০টি দেশে কেবল এক বছরের মেয়াদ। বতর্মানে সবচেয়ে দীঘর্সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নারী সরকারপ্রধান জামাির্নর অ্যাঙ্গেলা মাকের্ল। ২০০৫ সালে এ জামার্ন নেতা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সরকারপ্রধান হিসেবে তার তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছেন। এর বাইরে অন্যান্য নারী সরকারপ্রধানদের মেয়াদ পাঁচ বছর বা তারও কম সময়ের। নিউজিল্যান্ডের জেসিন্ডা আরডেনর্, আইসল্যান্ডের নেতা কাটরিন জ্যাকবসডোত্তির এবং সাবির্য়ার আনা বানাির্বক এরা সবাই ২০১৭ সালে নিবাির্চত হন। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এনার্ সোলবাগর্ নিবাির্চত হন ২০১৩ সালে। নামিবিয়াতে ২০১৩ সালে দায়িত্ব নেন সারা কুগংগেলাওয়া । যুক্তরাজ্যের থেরেসা মে ২০১৬ দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম লেখান। একই বছর অং সান সু চি মিয়ানমারে দায়িত্ব নেন। ২০১৮ সালে নিবাির্চত ভিওরিকা ড্যান্সিলা রোমানিয়ার ইতিহাসে প্রথম কোনো নারী যিনি প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। মিয়া মোটলি ২০১৮ সালে বাবাের্ডাজের প্রথম নারী প্রধান হিসেবে নিবাির্চত হন। তবে কি ২০১৮ সাল নারীর ক্ষমতায়নের দিক থেকে সবর্কালের সেরা বছর হতে যাচ্ছে? হোয়াইট হাউসের নেতৃত্বের লড়াইয়ে হিলারি ক্লিনটন হেরে যাওয়া একবছর পর সেখানে আরও অনেক নারী আছে যারা সরকারি বিভিন্ন দপ্তর চালাচ্ছে যা যুক্তরাষ্ট্রে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। জুন মাসে নিউইয়কর্ জেলার প্রাইমারি ভোটে মিলেনিয়াল ডেমোক্রেট প্রাথীর্ আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও-কোতের্য-এর কাছে আসন হারান নামকরা কংগ্রেস-ম্যান ৫৬ বছর বয়সী জো ক্রাউলি। ২৮ বছর বয়সী এই নারীর বিজয় ছিল আরও আশ্চযর্জনক। কেননা তার কোনো ধরনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল না। সে সঙ্গে এমন একজন প্রাথীর্র বিপক্ষে তিনি ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন, যিনি কিনা ১০ বার নিবাির্চত ছিলেন এবং দলের একজন ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে মনে করা হয়। সেন্টার ফর আমেরিকান উমেন অ্যান্ড পলিটিক্স এর সবের্শষ হিসাব অনুসারে, ২০১২ সালের রেকডর্ সংখ্যক ২৯৮ জন নারীর জায়গায় গত ৯ জুলাই পযর্ন্ত সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৭০ জন, যাদের বেশিরভাগই ডেমোক্র্যাট দলের তারা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রাথীর্ হিসেবে এগিয়ে গেছে। ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভাসিির্টর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ফরিদা জালালজাই মনে করেন, নারীদের মধ্যে যে ঢেউয়ের দোলা লেগেছে তার আংশিক কারণ হিলারি ক্লিনটনের পরাজয়, কিন্তু আরও ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপছন্দ করার বিষয়টি। তিনি বলছেন, এই বছরে কংগ্রেসে মেয়েদের ভালো কাজ করার সুযোগ রয়েছে ‘সাধারণত নারী প্রাথীের্দর সংখ্যা এবং চূড়ান্ত বিজয়ীদের সংখ্যা সব সময় একরকম হয় না। তবে আমি অবাক হবো যে, যদি নারীদের হার কমপক্ষে ২ কিংবা ৩ শতাংশ না বাড়ে। কিন্তু বতর্মানে মাকির্ন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে কেবল ২০ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব আছে । অথার্ৎ নারী-পুরুষের লিঙ্গগত সমতা আনতে চাইলে এখনো আরও বহু পথ পাড়ি দিতে হবে। ইউরোপের চিত্র কী? ইউরোপের ১৭টি দেশের (মোনাকোসহ) জাতীয় আইনসভার ৩০ শতাংশের বেশি সদস্য নারী। ২০১৭ সালে পৃথিবীর নানা দেশে নিবার্চনে রেকডর্ সংখ্যায় নারী ভোটে দঁাড়িয়েছিলেন। কিন্তু তখন তেমন বড় ধরনের কোনো সাফল্য ছিল না। নারী এমপিদের সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে যায় ইউরোপ, কিন্তু একই সঙ্গে বড় ধরনের পরাজয়ের রেকডর্ও গড়ে। ২০১৭ সালের জুন মাসে ফ্রান্সের পালাের্মন্টে রেকডর্ সংখ্যায় নারীদের নিবাির্চত করা হয়, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ৫৭৭ পদের মধ্যে ২২৩টি পায় নারীরা। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ তার ১৭ জনের শক্তিশালী মন্ত্রিসভা সদস্যদের মধ্যে ১১ জনই বাছাই করেছেন নারীদের মধ্য থেকে। তিনি বলেন তার নতুন মন্ত্রিসভা ‘সেই একই দৃষ্টিভঙ্গি বহন করে যেখানে প্রগতিশীল সমাজের কথা ভাবা হচ্ছে, যা একসঙ্গে আধুনিক এবং প্রো-ইউরোপিয়ান।’ সাম্প্রতিক বছরে রাজনীতিতে নারীদের অজর্ন বিরাট সারাবিশ্বের প্রায় সবদেশেই নারী সংসদ সদস্যদের সংখ্যা বেড়েছে ১৯৯৭ সাল থেকে যখন ইন্টার পালাের্মন্টারি ইউনিয়ন বা আইপিইউ ভোটের ফলাফল মিলিয়ে দেখা শুরু করল। ১৯৯৭ সালে জাতীয় আইন সভায় নারীদের অংশগ্রহণের চিত্র। দুই দশক আগে কেবল সুইডেন, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, ডেনমাকর্ এবং নেদারল্যান্ডসের ৩০ শতাংশ এর বেশি নারী সংসদ সদস্য ছিল। এর মধ্যে সুইডেন ৪০.৪ শতাংশ সদস্য নিয়ে তালিকার শীষের্ ছিল। ২১ বছর পর, তালিকার শীষের্ থাকা দেশগুলোর ক্ষেত্রে আরও বৈচিত্র্য এসেছে এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোকে টপকে যায় রুয়ান্ডা এবং মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশ। বলিভিয়া, গ্রেনাডা, মেক্সিকো, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা এবং কিউবার ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ এগুলো সবই শীষর্ দশম অবস্থানে আছে যেখানে নারী সংসদ সদস্য সংখ্যা ৪০ শতাংশের বেশি। কিন্তু আইপিইউ এর জেন্ডার পাটর্নারশিপ কমর্সূচির দায়িত্বে থাকা জেইনা হিলাল বলেন, নারী ও পুরুষের সমান প্রতিনিধিত্বের অগ্রগতির ধারা গেল দুই কিংবা তিন বছরে স্থির হয়ে আছে বলে মনে হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা হতাশ এবং কিছুটা বিস্মিত হয়েছি কারণ কিছু বছর আগে অগ্রগতির হার ছিল প্রায় ০.৬%। কিন্তু ২০১৬ ও ২০১৭ পরপর দুই বছর অগ্রগতির হার ছিল ০.১ শতাংশ । এটা সত্যিই উদ্বেগের।’ আইপিইউ ধারণা করছে, যদি বতর্মান এই ধারা চলতে থাকে, তাহলে পালাের্মন্টে নারী-পুরুষ জেন্ডার সমতা অজের্ন কমপক্ষে আড়াইশ’ বছর সময় লেগে যাবে। জেন্ডার কোটা কতটা কাযর্কর? যেসব দেশ সংসদে বড় সংখ্যায় নারী প্রতিনিধি পেয়েছে তারা লিঙ্গ কোটা চালু করেছে। আজেির্ন্টনা প্রথম দেশ যারা নরীদের জন্য যে মিনিমাম টাগের্ট সেট করে ১৯৯১ সালে এক আইনপ্রণয়নের মাধ্যমে। আইপইউ বলছে, ২০টি দেশে মেয়েরা ৩০ শতাংশ আসন পেয়েছে সে দেশে ২০১৭ সালে কোটা চালু করা হয়। যেসময় ১৬টি দেশে কোনো কোটা চালু করা হয়নি সেখানে ১৫.৪ শতাংশ সিট নারীদের দখলে। ক্যালগারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রধান অধ্যাপক সুসান ফ্রাঞ্চেসচেট বলেন, ‘আমার মনে হয় দশকের পর দশক ধরে আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে, যদি তারা বাধ্যতামূলক না করে তবে দলগুলো মহিলা প্রাথীের্দর নিবার্চন করবে না বা যেভাবে অনেক নারী প্রাথীর্ আমরা চাই তা হবে না। অনেক নারী প্রাথীর্ আমরা চাই না।’ প্রধানত দুই ধরনের কোটা-বিধান রয়েছে। যেখানে কোনো দেশ নিদির্ষ্ট সংখ্যক নারী প্রাথীর্ হিসেবে মনোনীত না হলে আইন দ্বারা শাস্তিযোগ্য করে তোলে এবং স্বেচ্ছাসেবী পাটির্ কোটা, যেমনটা যুক্তরাজ্যে রয়েছে যেখানে লেবার পাটির্ নারী কোটা যেমন যুক্তরাজ্যে শ্রম পাটির্ শুধু মহিলাদের নিয়ে শটর্-লিস্ট চালু করেছে । অধ্যাপক ফ্যাঞ্চেসসেট বলেন, কোটা পদ্ধতি কোনো বিশেষ পাথর্ক্য তৈরি করতে ব্যথর্ হয়েছে এমন দেশের সংখ্যা খুব কম। কিন্তু ব্রাজিল তার একটি। বতর্মান দেশটির প্রতি ১০ জন এমপির একজন নারী। বাজে আইনকে দোষারোপ করে এ অধ্যাপক বলেন, কোটাকে অমান্য করার শাস্তি যথেষ্ট কঠোর নয়। সবেচেয়ে বেশি নারী প্রতিনিধি থাকা দেশের তালিকায় শীষের্ রুয়ান্ডা আইপিইউ কেবল তিনটি দেশকে তালিকাভুক্ত করেছে যাদের পালাের্মন্টের নিম্নকক্ষ রয়েছে এবং সেখানে ৫০ শতাংশ এর বেশি প্রতিনিধি নারী। তারা হচ্ছে রুয়ান্ডা, কিউবা এবং বলিভিয়া। মেক্সিকো ৪৮.৬ শতাংশের নিচে। অন্যান্য দেশের তুলনায় রুয়ান্ডার আইনসভায় মহিলাদের উচ্চ অনুপাতের কারণে এগিয়ে আছে রুয়ান্ডা। দেশটির সংবিধানে ২০০৩ সালে পরিবতর্ন আনা হয় এবং ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়। এরপর থেকে প্রতিটি নিবার্চনে আরও অনেক বেশি নারী এসেছে। ১৯৯৪ সালে গণহত্যার পর আইনটি পরিবতির্ত হয় যে গণহত্যায় ৮ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয় বলে মনে করা হয় যাদের বেশিরভাগই পুরুষ। নারীদের এরপর দেশ গঠনের অংশ হিসেবে অনেক নতুন নতুন ক্ষেত্রে দায়িত্ব নিতে হয় । রুয়ান্ডা বতর্মানে আফ্রিকা মহাদেশে দ্রæত ক্রমবধর্মান অথর্নীতির দেশ । যদিও এর সাবেক নেতা পল কাগামে বিরোধী দলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সমালোচিত। হিলাল জোর দিয়ে বলেন, রুয়ান্ডা হচ্ছে সাফল্যের উদাহরণ। পালাের্মন্টে নারীর সংখ্যা বেশি থাকার বৃহত্তর প্রভাব আছে-উদাহরণস্বরূপ উত্তরাধিকার আইনের পরিবতর্ন করা হয়েছে ফলে এটা নারীদের জন্য আর বৈষম্যমূলক নয়। তিনি বলেন, ‘এটা কোন জাদুকরী সমাধান নয়; কিন্তু নিশ্চিতভাবে আমরা দেখছি যে, যখন সংসদে নারীরা থাকে তখন অনেক ইস্যু আছে যা রাজনৈতিক এজেন্ডায় স্থান পায়।’ শীষর্স্থানীয় অন্য চারটি দেশের মধ্যে দুটি হচ্ছে বলিভিয়া এবং মেক্সিকো। তাদেরও জেন্ডার কোটা রয়েছে। কোন দেশের নারী প্রতিনিধির সংখ্যা সবচেয়ে কম? নারী প্রতিনিধিত্বের দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ রেকডর্স আছে যেসব দেশের তার মধ্যে ইয়েমেন, ওমান, হাইতি, কুয়েত, লেবানন এবং থাইল্যান্ড- এসব দেশের নারী এমপিদের হার ৫ শতাংশ বা তারও কম। অনেক ছোট দ্বীপরাষ্ট্র রয়েছে যাদের কোনো নারী সংসদ সদস্য নেই যেমন ভানুয়াতু, মাইক্রোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি। আবার এলো সালভাদর এবং সিয়েরালিওনের মতো দেশ আছেন যেখানে আসলে প্রকৃত ক’জন নারী সংসদ সদস্য আছেন তা অজানা। ইংলাক সিনাওয়াত্রা ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন এবং ইতিহাস রচনা করেন। তখন থাই পালাের্মন্টে সবোর্চ্চ ১৬ শতাংশ এমপি ছিলেন যাদের একজন ছিলেন ইংলাক সিনাওয়াত্রা। কিন্তু ২০১৫ সালে দুনীির্তর দায়ে তাকে ইমপিচ করা কয় এবং তিনি দেশত্যাগ করেন। এরপর থেকে নারী এমপিদের সংখ্যা পঁাচ শতাংশে নেমে আসে। ইয়েমেনের পালাের্মন্টে ৩০১ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র একজন নিবাির্চত নারী প্রতিনিধি আছেন। ৩০ শতাংশ কোটা প্রবতের্নর চেষ্টা ব্যথর্ হয়েছে । অধ্যাপক ফ্রান্সেসেট বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে লিঙ্গ সমতা একটি ‘বাস্তবসম্মত এবং গুরুত্বপূণর্ উচ্চাভিলাষ’ কিন্তু তা অজর্ন করার পথে অনেক দেশ এখনো অনেকটাই পিছিয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে যেসব দেশে নারীদের অগ্রগতি ধীরে ধীরে হচ্ছে তারা চাইলে রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে নারী প্রাথীের্দর জন্য আরও সুযোগ তৈরি করতে। নারী সংগঠনগুলোর অব্যাহত চাপ প্রয়োগ ছাড়া তা সম্ভব বলে আমি মনে করি না’। বিবিসি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে