শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

'আব্বা, এনামুল পুইড়া মইরা গেছে, লাশ পাইছি'

যাযাদি রিপোর্ট
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
বাবাকে ভাই এনামুলের মৃতু্যর সংবাদ জানানোর সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তুহিন -যাযাদি

রাজধানীর চকবাজার এলাকায় রাজ্জাক ভবনে লাগা আগুনের ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে লাশ আসছে। হাসপাতালে মানুষের ভিড়। স্বজনের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী। কেউ ডুকরে কাঁদছেন। কেউ স্বজনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন। একজন আরেকজনকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের চিত্র এমনই হৃদয়বিদারক। লাশের সংখ্যা বাড়ছে, আর মানুষের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে পরিবেশ।

তুহিন নামের একজন কেঁদে মোবাইল ফোনে বলছে, 'আব্বা, আমি তুহিন, এনামুল পুইড়া মইরা গেছে। আমি আর রাজীব খুঁইজ্যা খুঁইজ্যা ঢাকা মেডিকেল এসে তাকে খুঁইজ্যা পাইছি।'

এনামুলের পুরা নাম কাজী এনামুল হক অভি। তিনি ঢাকা সিটি কলেজ থেকে বিবিএ পড়েছেন। রূপালী ইন্সু্যরেন্সে ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। এনামুলের বাড়ি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ। তিনি ওই এলাকায় থাকতেন। রাতে দাঁতের চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন। তুহিন, কাজী আর নিহত এনামুল সমবয়সী। সম্পর্কে তুহিনের ভাতিজা এনামুল।

অগ্নিকান্ডে নিহত সিদ্দিকুলস্নাহ চকবাজারে কসমেটিকসের ব্যবসা করতেন। তার বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে। তিনি বুধবার রাতে বাড়িতে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু তার আর বাড়িতে যাওয়া হয়নি। তিনি একটি হোটেলে খেতে বসেছিলেন। আগুন লাগায় আর বেরোতে পারেননি। তার ছেলে মোহাম্মদ বাবু (২০) মেডিকেলের সামনে বসে বিলাপ করছিলেন।

হাসপাতালের সামনে ডুকরে কাঁদতে দেখা যায় জরিনা বেগমকে। তার দুই ভাই মোহাম্মদ আলী ও অপু। মোহাম্মদ আলীর তিন বছরের ছেলে আরাফাত পুড়ে মারা গেছে। ঘটনার সময় তারা রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে ছিলেন।

একটি মসলা কোম্পানিতে কাজ করতেন মো. জুম্মন। তার দুই ছেলে রাশেদ ও রাব্বী। হাসপাতালের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। রাশেদ কাঁদতে কাঁদতে বলেন, এতগুলো মানুষ পুড়ে মারা গেল। এটা সহ্য করার মতো নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<37820 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1