মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শাহবাগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের ফের রাস্তা অবরোধ

যাযাদি রিপোটর্
  ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ২৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০৩
সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনবর্হালের দাবিতে ফের রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে মঙ্গলবার বিকালে রাস্তা অবরোধ করেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা Ñযাযাদি

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনবর্হালের দাবিতে ফের রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। মঙ্গলবার বিকালে তারা এ অবরোধ করেন। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সুনিদির্ষ্ট ঘোষণা না আসা পযর্ন্ত কমর্সূচি অব্যাহত রাখবেন বলে জানান মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। যেসব দাবিতে আন্দোলন করছেন সেগুলো হলো- ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল, স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তানদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বন্ধ, চাকরিতে বহাল স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা করে বরখাস্ত, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত, মুক্তিযোদ্ধাদের কটূক্তিকারীদের ‘হলোকাস্ট অ্যাক্ট বা জেনোসাইড ল’র অধীনে বিচার, কোটা আন্দোলনে ঢাবি উপাচাযের্র বাসভবনে হামলাকারীদের বিচার, রাজাকারদের পূণার্ঙ্গ তালিকা প্রকাশ, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিভিন্ন ফেসবুক পেজের এডমিনদের চিহ্নিত করে বিচার, সরকারি চাকরির বয়সসীমা ৩৫ বছর, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন, বিগত সময়ে গণহত্যা ও আগুন সন্ত্রাসকারীদের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার করা। গত ৪ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে পরিপত্র জারি করে সরকার। পরিপত্রে বলা হয়, নবম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ১৩তম গ্রেডের (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। এখন থেকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিল হলেও তৃতীয় ও চতুথর্ শ্রেণির পদে কোটা ব্যবস্থা আগের মতোই বহাল থাকবে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগে এতদিন ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ। পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘সরকার সকল সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৭ সালের ১৭ মাচর্ জারি করা কোটা পদ্ধতি সংশোধন করল।’ প্রসঙ্গত, কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস আগে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে সাধারণ শিক্ষাথীর্রা। এক পযাের্য় কোটা পদ্ধতি পযাের্লাচনা করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেয় সরকার। ওই কমিটি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কোটা সম্পূণর্ তুলে দেয়ার সুপারিশ করে, যা ৪ অক্টোবর মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে