রাজধানীর গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরঁা হলি আটির্জান বেকারিতে জঙ্গি হামলা মামলার চাজির্শটভুক্ত মোহাম্মাদ মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন ওরফে রেজাউল করিম ওরফে রেজার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার বিকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কনক বড়ুয়া তার বিরুদ্ধে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সবুজবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় আসামি রিপনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্তকারী কমর্কতার্ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার কফিল উদ্দিন।
পরে শুনানি শেষে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত শনিবার রাতে গাজীপুরের বোডর্ বাজারের একটি বাস থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। হলি আটির্জান মামলায় চাজির্শটভুক্ত ৮নং আসামি রিপন।
মামলাটির অন্যান্য আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ আসামির জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশিত হলে তাকে চাজির্শটভুক্ত আসামি করা হয়।
মামলায় তদন্তকারী কমর্কতার্ কফিল উদ্দিন আবেদনে বলেন, ‘আমরা রিপনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে ত্রিশালের মতো জঙ্গি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিল তারা। ত্রিশালের মতো আরেকটি ঘটনা ঘটিয়ে জঙ্গিদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছিল তারা। মূলত হলি আটির্জান হামলা মামলার চাজির্শটভুক্ত আসামিদের ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা ছিল তাদের। জেএমবির আমির আব্দুর রহমানের মেয়ের জামাই আউয়ালের ভাগ্নে হওয়ায় সংগঠনে রিপনের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।’
হলি আটির্জান মামলাটি বতর্মানে সাক্ষ্যগ্রহণের পযাের্য় রয়েছে। মামলাটিতে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
মামলার আসামিদের মধ্যে হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী ও হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ কারাগারে রয়েছেন।
রিপন গ্রেপ্তার হলেও অপর আসামি মো. শরিফুল ইসলাম এখনও ধরা-ছেঁয়ার বাইরে।