ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাজিয়াতলী সীমান্তে বাংলাদেশ ও ভারতের শূন্যরেখায় গত তিন দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে ৩১ জন রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে ৮ জন পুরুষ, ৬ জন মহিলা এবং ১৭ জন শিশু। গত তিন দিন ধরে তারা প্রচÐ শীত ও ঘন কুয়াশার মধ্যে ধানি জমিতে অবস্থান করছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের জোরপূবর্ক বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করলেও বিজিবির সতকার্বস্থানের জন্য তাদের বাংলাদেশে পাঠাতে পারেনি। ফলে তিন দিন ধরে ওরা সীমান্তের কাছেই খোলা আকাশের নিচে অমানবিক জীবনযাপন করছেন। বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের সাথে বিজিবির কয়েক দফা পতাকা বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম মান্নান জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করলেও বিজিবির পক্ষ থেকে কিছুই বলা হচ্ছে না।
ইউপি চেয়ারম্যান মান্নান জাহাঙ্গীর বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বিএসএফ ৩১ জন শিশু, নারী ও পুরুষকে কঁাটাতারের বেড়া পার করে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করে। তারা বতর্মানে কাজিয়াতলী সীমান্ত এলাকার ২০২৯/৩/এস পিলারের সামনে অবস্থান করছেন। যেটি দুই দেশের সীমান্তে শূন্যরেখা। তাদের আকার-আকৃতি দেখে ধারণা করছেন, তারা রোহিঙ্গা। তবে তারা যেন বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য বিজিবির সাথে তারাও সতকর্ আছেন।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির এক ঊধ্বর্তন কমর্কতার্ জানান, এরা রোহিঙ্গা কিনা তা যাচাই-বাচাই চলছে। এ বিষয়ে বিএসএফের সাথে কয়েকদফা পতাকা বৈঠক হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। পুনরায় বৈঠক হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর এ পযর্ন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
তাদের কক্সবাজারের কুতুপালংসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এর বাইরে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে আসা আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে চলেছে বাংলাদেশ।