বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ছুটির দিনে জমে উঠেছে বাণিজ্যমেলা

যাযাদি রিপোটর্
  ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
আপডেট  : ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:১৬
রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় আন্তজাির্তক বাণিজ্যমেলায় শুক্রবার ছুটির দিনে দশর্নাথীের্দর ঢল নামে Ñফোকাস বাংলা

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় চলমান আন্তজাির্তক বাণিজ্যমেলা জমে উঠেছে পুরোদমে। ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় মেলা প্রাঙ্গণে দশর্নাথীের্দর ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে। শুক্রবার বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, এখনও প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি স্টলগুলোতে। তবুও দশর্নাথীর্র অভাব নেই। সকাল থেকে দশর্নাথীের্দর তেমন উপস্থিতি না থাকলেও জুমার নামাজের পর থেকে আসতে শুরু করেন দশর্নাথীর্রা। মেলার বিভিন্ন স্টলের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখনও বেচা-বিক্রি তেমন শুরু হয়নি। শুধু খাবারের দোকানগুলোতে বিক্রি চলছে। মানুষ এসে দেখছেন সব। আর সব স্টল, প্যাভিলিয়নে সব ধরনের পণ্য এখন পযর্ন্ত প্রদশর্ন করা সম্ভব হয়নি। কারণ তাদের বিক্রির জন্য পণ্যগুলো সাজানো সম্পন্ন পযাের্য় রয়েছে। তাদের মতে, রোববার না হলেও সোমবার থেকে মেলা একেবারে পরিপাটি থাকবে। আন্তজাির্তক বাণিজ্য মেলা-২০১৯’র মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পর প্রথম সারিতেই রয়েছে ডেলটা ফানির্শাসের্র প্যাভিলিয়ন। প্যাভিলিয়নটিতে গিয়ে দেখা যায়, এখনও তাদের সাজসজ্জার কাজ শেষ হয়নি। ডেলটা ফানির্শাসের্র বিক্রেতা সবুজ জানান, তাদের প্যাভিলিয়ন সাজানোর কাজ প্রায় শেষ। তবে অনেক দশর্নাথীর্ আসছেন, দেখছেন ও দাম জানতে চাইছেন। তাদের প্রথম প্রশ্নই থাকে ছাড়ের বিষয়ে। কিন্তু মেলার শুরুতে তো কোনো ছাড় থাকে না। মেলায় রামপুরা থেকে আগত সুনীল চক্রবতীর্ ও রানী তাদের দেড় বছরের ছোট শিশুকে নিয়ে এসেছেন। তারা জানান, তারা ছুটির দিনে ঘুরতে বের হন প্রায়ই। ঢাকা শহরে এমনিতেই ঘোরার জায়গা কম। এ কারণে এই প্রাঙ্গণ খুবই আকষর্ণীয় একটি জায়গা। তাই ঘুরতে এসেছেন। কেনাকাটা করলেও মেলার শেষের দিকে করবেন। তখন ছাড় থাকে অনেক। এখন দাম বেশি। এদিকে শুক্রবারে মেলা প্রাঙ্গণে সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় দেশীয় বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, জামা-কাপড়সহ রান্না করার জিনিসপত্রের স্টলে। তা ছাড়া অনেক দশর্নাথীর্র অভিযোগ, বিদেশি স্টলগুলো সেভাবে চোখে পড়ছে না। এ বিষয়ে মিরপুর থেকে আগত শারমিন আক্তার টুম্পা নামের এক দশর্নাথীর্ জানান, বিদেশি স্টলগুলো সেভাবে চোখে পড়ছে না। অথচ পত্রিকায় দেখছেন বিভিন্ন দেশের স্টল রয়েছে। আর এই মেলায় ভিন্ন ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। তার রান্না করার কিছু হাড়ি-পাতিল দরকার। সেগুলো কিনতে এসেছেন। বেসরকারি কোম্পানিতে কমর্রত রফিকুল আলম বলেন, মেলায় মূলত পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। আরেকটা লক্ষ্য ছিল বিদেশি স্টলগুলোতে কি কি পাওয়া যায় তা দেখতে। পছন্দ হলে নিয়ে নেবেন। কিন্তু যা দেখছেন এগুলো সারা বছর দেশে এমনিতেই পাওয়া যায়। পাকিস্তানি ও ভারতীয় বিভিন্ন কাপড়, খাবার এগুলো তারা হরহামেশা লোকাল মাকেের্ট পান। এখানে আরও ভিন্ন কিছু আশা করেছিলেন। এখন তা পাচ্ছেন না। আবার সাজানোর প্রক্রিয়াই সম্পন্ন হয়নি এখনও। আশা করছেন সাজানো শেষ হলে পাবেন নতুন কিছু। আগামী শুক্রবার বা অন্য কোনো ছুটির দিন আসতে হবে। মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরঁা ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরঁাসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জামাির্ন, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। এর আগে গত বুধবার বিকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ২৪তম ঢাকা আন্তজাির্তক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর তিনি মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদশর্ন করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে