গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকমীের্দর সঙ্গে সংঘষর্ চলাকালে পুলিশের গাড়িতে দেশলাই দিয়ে যে যুবককে আগুন দিতে দেখা যায়, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম ওয়াসিম (২৮)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে পাঠানো এক খুদে বাতার্য় এ তথ্য জানানো হয়।
ঘটনার দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন উপলক্ষে বিএনপির মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসার সময় হাজারখানেক নেতাকমীর্র মিছিল পুরোরাস্তা আটকে দেয়। মিছিলটিকে রাস্তা থেকে সরিয়ে একটি লেন চালু করার চেষ্টায় পুলিশ লাঠিপেটা করলে সংঘাতের সূত্রপাত
হয়। বিএনপির নেতাকমীর্রাও খুব দ্রæত মারমুখী হয়ে ওঠেন। তাদের লক্ষ্য করে পুলিশ প্রচুর কঁাদানে গ্যাসের শেল ও ছররা গুলি ছোড়ে। গুলি-কঁাদানে গ্যাসের শেলের দ্রæম দ্রæম শব্দ, গ্যাসের ধেঁায়া, নেতাকমীের্দর হইচই, ধর ধর চিৎকার, মানুষের ছোটাছুটি, হুড়মুড় করে দোকানের ঝঁাপ নামানোর শব্দ সব মিলিয়ে কিছুক্ষণের জন্য পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। কিছু যানবাহন ভাঙচুর ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। দেড় ঘণ্টার সংঘষের্ ২৩ পুলিশ সদস্য এবং অধর্শতাধিক নেতাকমীর্ আহত হন বলে দাবি উভয় পক্ষের।
এ ঘটনার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সংঘষের্র জন্য বিএনপি নেতা মিজার্ আব্বাস, তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির আরেক নেতা আখতারুজ্জামান ও নবীউল্লাহ দায়ী। সংঘষের্র ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজার্ আব্বাসকে আসামি করে পুলিশ তিনটি মামলা করেছে।
তবে মিজার্ আব্বাসের ভাষ্য ছিল, ‘এটা সরকার বা আওয়ামী লীগের সাবোটাজ হতে পারে।’
ঘটনার পরদিন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের সহকারী কমিশনার মিশু বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পুলিশের গাড়িতে যে যুবক আগুন দিয়েছে, তিনি পল্টন থানা ছাত্রদলের আহŸায়ক কমিটির সদস্য। তার নাম শাহজালাল খন্দকার।