আজকের যায়যায়দিন

‘বহিরাগতরা সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ/প্রক্টরের পূবার্নুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে অবস্থান ও ঘোরাফেরা এবং কোনো ধরনের কাযর্ক্রম পরিচালনা করতে পারবে না’ বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ যে ঘোষণা দিয়েছিল তা অস্বীকার করে নতুন আরেকটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে দাবি করা হয়, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খÐিতভাবে তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সিদ্ধান্তের বিষয়ে দেশের কিছু গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খÐিতভাবে তথ্য প্রচারের ফলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কাউকে প্রবেশ বা গমনাগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের মাধ্যমে অশুভ শক্তিকে উৎসাহিত না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।’

আরও বলা হয়, যেসব সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের কথা প্রভোস্ট কমিটি বলেছে সেগুলো ঐতিহ্যবাহী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত রীতিনীতি ও সিদ্ধান্তের আলোকে নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সভা-সমাবেশসহ যেকোনো ধরনের কমর্সূচি পালনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের পূবার্নুমতি আবশ্যক হয়, এটা নতুন কিছু নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে সবসময়েই পূবের্র ন্যায় বতর্মানেও নিরাপত্তা প্রহরী দায়িত্ব পালন করছে। তাদের দায়িত্ব পালনের অনুক‚ল কমর্-পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। নিরাপত্তা প্রহরীদের দায়িত্ব ও কমর্দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কতৃর্পক্ষ মাঝে মধ্যে বিভিন্ন দিক-নিদের্শনা প্রদান করে থাকেন। বতর্মান পদক্ষেপ তার অংশ মাত্র।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীের্দর জন্য একটি পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ ক্যাম্পাস পরিচালনার লক্ষ্যে যা করণীয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ তা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উল্লেখ করে এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা কামনা করেছে ঢাবি কতৃর্পক্ষ।

ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী / সংলাপে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন, যুদ্ধকে 'না' বলুন

উল্লেখ্য, গত ৯ জুলাই পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস শুধুমাত্র এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাথীের্দর জন্য উন্মুক্ত। এখানে বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ/প্রক্টরের পূবার্নুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে অবস্থান ও ঘোরাফেরা এবং কোনো ধরনের কাযর্ক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেবেন।’