শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস পেলেই ফিরে যাবেন শিক্ষকরা

যাযাদি রিপোটর্
  ১১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ১১ জুলাই ২০১৮, ০০:১৫
এমপিওভুক্তির দাবিতে মঙ্গলবারও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কমর্চারী ফেডারেশন আমরণ অনশন কমর্সূচি পালন করে Ñফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান নন-এমপিও শিক্ষক-কমর্চারীরা। তবে শিক্ষামন্ত্রীর সুনিদির্ষ্ট আশ্বাস দিলে তারা বাড়ি ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন নন-এমপিও শিক্ষক কমর্চারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ বিনয় ভ‚ষণ রায়। তিনি জানান, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাযার্লয়ে তিনটি প্রস্তাবনা জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শিক্ষকদের দাবির বিষয়টি তুলে ধরার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পিএস-২ ওয়াজেদ আক্তার তাদের প্রস্তাবনাটি গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, তাদের দাবি যৌক্তিক। শিক্ষক-কমর্চারীরা দাবি আদায়ে গত একমাস ধরে রাস্তায় বসে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অবগত রয়েছেন। শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নে তাদের প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দ্রæত পৌঁছে দেয়া হবে বলেও ওয়াজেদ আক্তার নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়াও তিনি (পিএস) তাদের শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই শিক্ষক নেতা আরও বলেন, এমপিওভুক্তির দাবিতে তারা গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসেনের কাছে প্রস্তাব জমা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের প্রতি তাদের আস্থা রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী তাদের সুনিদির্ষ্টভাবে আশ্বস্ত করলে তারা আন্দোলন ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাবেন। শিক্ষকদের তিন প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে- স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে, বরাদ্দকৃত অথর্ অপযার্প্ত হলে বতর্মান অথর্বছরে সকল নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও’র আওতায় এনে আংশিক বেতন চালু করে পরবতীর্ অথর্বছরে তা সমন্বয়করণ এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা তৈরিতে এমপিওভুক্তির পর কমপক্ষে তিন বছর পযর্ন্ত সময় দেয়া। এদিকে, এমপিওভুক্তির দাবিতে প্রতিদিনের মতো শনিবার ১৬তম দিনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে বসে আমরণ অনশন পালন করে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, এমপিওভুক্ত না হওয়ার কারণে তারা খুব কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে তারা না খেয়ে মরবেন। এ আন্দোলনে ২২৫ জন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রথম দিকে তারা হাসপাতাল গিয়ে ও স্যালাইন লাগিয়ে চিকিৎসা নেন। বতর্মানে তারা অসুস্থ হলেও আর কোনো ধরনের চিকিৎসা নিচ্ছেন না। রাজপথে শুয়েই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চান। তারা বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন স্তরের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৫ হাজার ২৪২টি নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক-কমর্চারী নিয়োজিত রয়েছেন। প্রায় ২০ লাখ শিক্ষাথীের্ক এসব প্রতিষ্ঠান পাঠদান দেয়া হলেও প্রায় ২০ বছর ধরে বিনা বেতনে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই ঘর-সংসার ছেড়ে পথে নেমে আন্দোলন করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে