শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা

সেনবাগে বিএনপি কাযার্লয়ে হামলা ও ভাঙচুর নরসিংদীতে মঈন খানের প্রচারে হামলা চট্টগ্রামে নোমানের সমাবেশে হামলা মানিকগঞ্জে জাপা প্রাথীর্র গাড়ি আক্রান্ত
যাযাদি ডেস্ক
  ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে নিজের গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে রোববার জেলা প্রশাসক কাযার্লয়ের সামনে অবস্থান ধমর্ঘট পালন করেন সাবেক মন্ত্রী ও আ’লীগ নেতা এবং আসন্ন সংসদ নিবার্চনে স্বতন্ত্র প্রাথীর্ আবদুল লতিফ সিদ্দিকী Ñযাযাদি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা এবং আসন্ন সংসদ নিবার্চনে স্বতন্ত্র প্রাথীর্ আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে রোববার দুপুরে হামলা হয়েছে। এর প্রতিবাদে দুপুর দুইটা থেকে জেলা প্রশাসক ও রিটানির্ং কমর্কতার্র কাযার্লয়ের সামনের রাস্তায় বসে তিনি অবস্থান ধমর্ঘট পালন করছেন। এ ছাড়া গতকাল নোয়াখালীর সেনবাগে বিএনপি কাযার্লয়ে হামলা-ভাঙচুর করেছে একদল দুবৃর্ত্ত। নরসিংদীতে বিএনপি নেতা মঈন খানের নিবার্চনী প্রচারণায় হামলার খবর পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের শোভাযাত্রাপূবর্ সমাবেশে হামলার অভিযোগ এসেছে। হরিরামপুরে জাতীয় পাটির্র প্রাথীর্র গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে বিএনপি প্রাথীর্ এস এ জিন্নাহর গাড়িবহর আক্রান্ত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বিএনপি প্রাথীর্ খাদেল হোসেন মাহবুব শ্যামলের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন :

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রাথীর্ লতিফ সিদ্দিকীর গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। রোববার সকালে নিবার্চনী প্রচারণা চালানোর সময় কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়া ইউনিয়নের সরাতৈল এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এর প্রতিকার চেয়ে তিনি দুপুর ২টার দিকে জেলা প্রশাসক ও রিটানির্ং কমর্কতার অফিসের সামনে অবস্থান ধমর্ঘট শুরু করেন।

হামলার বিষয়ে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, সকালে কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ি এলাকায় নিবার্চনী প্রচারণায় যাওয়ার সময় সেখানকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকমীর্রা বতর্মান সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খানের ইন্ধনে তার গাড়িবহরে হামলা করে। তারা তার ব্যক্তিগত গাড়িসহ আরও তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এ সময় ইট-পাটকেলের আঘাতে তার কয়েকজন নেতাকমীর্ আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, যে পযর্ন্ত নিবার্চনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি না হবে ততক্ষণ পযর্ন্ত তিনি অবস্থান কমর্সূচি পালন করবেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের নিবার্চনের পর মহাজোট সরকারে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্যও হন তিনি। ২০১৪ সালের নিবার্চনে তিনি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় টাঙ্গাইল-৪ আসনে সংসদ সদস্য নিবাির্চত হন। এ সময় তিনি তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়কের্র একটি অনুষ্ঠানে হজ, তাবলিগ জামাত এবং দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ সম্পকের্ বেফঁাস মন্তব্য করে দেশ ও বিদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সবোর্চ্চ সমালোচিত হন আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

এ কারণে ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার ও মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। পরবতীের্ত ধমীর্য় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার নামে বেশ কয়েকটি মামলা হয়। এ অভিযোগেই তিনি দেশে ফিরে আত্মসমপর্ণও করেন। কয়েক মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পান। কারাগার থেকে মুক্ত হয়েই তিনি সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবতীের্ত ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ আসনের উপ-নিবার্চনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে হাসান ইমাম খান সংসদ সদস্য নিবাির্চত হন।

পরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানির্ং কমর্কতার্ মো. শহীদুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ঘটনাস্থলে যান। তারা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাকে ধমর্ঘট প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানান। তখন লতিফ সিদ্দিকী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতাের্ক (ওসি) প্রত্যাহারের দাবি জানান। তিনি লিখিত একটি অভিযোগও রিটানির্ং কমর্কতাের্ক দেন।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, স্বতন্ত্র প্রাথীর্ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী হামলার ঘটনায় অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টাঙ্গাইল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রাথীর্ ও বতর্মান সাংসদ হাসান ইমাম খান বলেন, গণসংযোগকালে লতিফ সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় দলীয় কমীর্রা ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালিয়েছে। এতে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

সেনবাগে হামলা-ভাঙচুর

আহত ৬

নোয়াখালীর সেনবাগ দক্ষিণ বাজারে উপজেলা বিএনপির কাযার্লয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে একদল দুবৃর্ত্ত। হামলায় সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। রোববার সকাল পৌনে নয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহত বাকি পঁাচজনের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন পাটোয়ারী, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শিহাব উদ্দিন ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ।

গুরুতর আহত আবুল কালাম আজাদ ও শিহাব উদ্দিনকে নোয়াখালী শহরের প্রাইম হসপিটালে নেয়া হয়। বাকি ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মুক্তার হোসেন পাটেয়ারীর ভাষ্য, উপজেলা প্রশাসন থেকে সকাল সাড়ে নয়টায় বিএনপিকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দেয়ার সময়সূচি দেয়া হয়। সে অনুযায়ী উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ নেতা-কমীর্রা সকাল সাড়ে আটটার পর দলীয় কাযার্লয়ে যান। সকাল পৌনে নয়টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জনের একদল লোক অতকিের্ত তাদের কাযার্লয়ে হামলা করে। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কমীর্। হামলাকারীরা বিএনপির নেতা-কমীের্দর লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কাযার্লয়ের ভেতরে ঢুকে বিএনপির নেতাদের পিটিয়ে আহত করে। তারা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। একপযাের্য় তারা কাযার্লয়ের ভেতর থেকে আসবাবপত্র ও নিবার্চনী পোস্টার রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেয়।

নোয়াখালী-২ আসনে বিএনপির প্রাথীর্ ও দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক অভিযোগ করে বলেন, তিনি অল্পের জন্য হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। ঘটনার সময় তিনি কয়েক শ গজ দূরে ছিলেন। স্থানীয় লোকজন তাকে নিষেধ করায় তিনি ঘটনাস্থলে যাননি। গেলে তিনিও হামলার শিকার হতেন।

জয়নুল আবদিন ফারুকের ভাষ্য, হামলার সময় পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে।

হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শওকত হোসেন বলেন, তিনি এ সম্পকের্ কিছু জানেন না।

নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রাথীর্ মোরশেদ আলম বলেন, হামলার বিষয়ে তিনি পরস্পরবিরোধী কথা শুনেছেন। আসল ঘটনা কী হয়েছে, তা জানতে পারেননি।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, তেমন কিছু ঘটেনি। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কমীের্দর মধ্যে সামান্য পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। বিএনপি কাযার্লয়ে কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তবে অফিসের সামনে পোস্টারে আগুন দেয়া হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।

নরসিংদীতে মঈন খানের

প্রচারে হামলার অভিযোগ

নরসিংদীর পঁাচদোনা বাজারে বিজয় দিবসের দিনে বিএনপি প্রাথীর্ ড. আব্দুল মঈন খানের নিবার্চনী প্রচারে হামলার খবর পাওয়া গেছে।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতাকমীর্রা ওই হামলা চপ’রণ বলে বিএনপির অভিযোগ।

এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও হামলার পর পঁাচদোনা মোড়ে হকিস্টিক ও লাঠি হাতে কিছু যুবককে ‘জয় বাংলা’ এবং নৌকার পক্ষে ¯েøাগান দিতে দেখা গেছে।

হামলায় মঈন খানের সঙ্গে থাকা কয়েকজন নেতাকমীর্ আহত হলেও তিনি অক্ষত আছেন। তবে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

নরসিংদী-২ আসনে মঈন ধানের শীষ প্রতীক একাদশ সংসদ নিবার্চনে লড়ছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রাথীর্ আনোয়ারুল আশরাফ খান।

মঈন খানের ব্যক্তিগত সহকারী বাহাউদ্দিন ভূঁইয়া অভিযোগ করেন, তাদের শান্তিপূণর্ কমর্সূচিতে আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা করেছে।

তিনি বলেন, “স্যার স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। লিফলেট বিলি করছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকমীর্রা দুদিক থেকে আমাদের ওপর আক্রমণ করে। তারা গুলি ছুড়েছে।

হামলায় নেতাকমীর্ ও স্থানীয় লোকজনসহ ৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন বাহাউদ্দিন।

প্রত্যক্ষদশীর্রা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পঁাচদোনা বাজারে গণসংযোগ করতে যান আব্দুল মঈন খান। কিছুক্ষণের মধ্যেই লাঠিসেঁাটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে কিছু যুবক।

মঈন খান নেতাকমীের্দর নিয়ে বাজারের একটি চালের দোকানে আশ্রয় নেন। সেখানেও হামলা চালানো হয়। পরে সেখান থেকে চলে যান তিনি।

দুপুর একটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধানের শীষের কিছু লিফলেট, গাড়ির ভাঙা কঁাচ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে মাধবদী থানার ওসি আবু তাহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হামলার খবর তিনি শুনেছেন।

“আমি বিষয়টি শুনেছি। সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি।”

হরিরামপুরে জাতীয় পাটির্র

গাড়িবহরে হামলা

হরিরামপুর সংবাদদাতা জানান, মানিকগঞ্জ-২ (মানিকগঞ্জ-সিংগাইর-হরিরামপুর) আসনের জাতীয় পাটির্র মনোনীত প্রাথীর্ প্রাক্তন সংসদ সদস্য এস এম আব্দুল মান্নানের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার নিবার্চনী প্রচারণার সময় হরিরামপুর উপজেলা চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা ওই প্রাথীর্র ল্যান্ডক্রুজার গাড়ির কাচসহ আরও কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে।

প্রাথীর্র ভাতিজা জাতীয় পাটির্র জেলা সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমাদের হরিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটি নিবার্চনী পথসভা করার কথাছিল। এ উদ্দেশ্যে কয়েকটি গাড়ি আমাদের নেতাকমীর্রা হরিরামপু উপজেলার কাছে পেঁৗছালে ১৫-২০ জনের ছাত্রলীগের কমীর্ আমাদের গাড়িবহরে হামলা চালায়। তারা প্রাথীর্ এস এম মান্নানের গাড়ির সামনের ও পেছনের কাচ ভাঙচুর করে। এ সময় কয়েকজন নেতাকমীর্ আহত হন। জাতীয় পাটির্র কমীর্রা বলেন, এস এম মান্নান হলেন মহাজোটোর প্রাথীর্। আর মহাজোট প্রাথির্তা উন্মুক্ত করে দেয়াতেই আমরা প্রাথীর্ হয়েছি। আমাদের ওপর এ ধরনের হামলা না করে তারা সভা করতে নিষেধ করলেই আমরা চলে যেতাম। ছাত্রলীগ/যুবলীগের কমীর্রা এ হামলা চলিয়েছে বলে তারা জানান। এ ব্যাপারে রিটানির্ং কমর্কতার্ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

দৌলতপুরে জিন্নাহ কবীরের

গাড়িবহরে হামলা

দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, মানিকগঞ্জ-১ আসনের (শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর) আসনের বিএনপির প্রাথীর্ এস এ জিন্নাহ কবীরের গাড়ি বহরে হামলা হয়েছে। এতে তার বহরে থাকা ৪টি প্রাইভেটকার ও দুটি হায়েস গাড়ি ভাঙচুরসহ তার ৫ জন কমীর্ আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে শনিবার রাতেই মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা রিটানিং কমর্কতার্ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলা সদরে মোটরসাইকেল ও গাড়ির বহর নিয়ে প্রচারণায় যান বিএনপির প্রাথীর্ জিন্নাহ কবীর। এর পরপরই ওই স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কদ্দুস ১৫-২০ জন যুবক নিয়ে জয় বাংলা ¯েøাগান দিয়ে তাদের ওপর অতকির্ত হামলা চালায়। একদল তাদের বহরে থাকা ৪টি প্রাইভেটকার ও ২টি হায়েস গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ছাড়া হামলায় তার ৫ কমীর্ আহত হন। এ ঘটনায় জেলা রিটানির্ং কমর্কতার্র কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন জিন্নাহ কবীর।

বিজয়নগরে বিএনপি

প্রাথীর্র গাড়ি ভাঙচুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি জানান, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রাথীর্ ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের গাড়ি ভাঙচুর করেছে দুবৃর্ত্তারা।

গতকাল রোববার সকালে বিজয়নগর উপজেলার মিজার্পুরে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ৫ জন আহত হয়েছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। বিএনপি এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে।

জেলা বিএনপির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাশেদ কবীর আকন্দ জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিজয়নগর উপজেলা সদরের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তক অপের্ণর জন্য বিএনপি মনোনীত প্রাথীর্ ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব দলীয় নেতাকমীের্দর নিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শহীদ মিনারে যাচ্ছিলেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের কাছে মিজার্পুর এলাকায় গাড়িতে হামলা করা হয়। হামলাকারীরা গাড়ির গøাস ভাঙচুর করে। এতে ৫ জন নেতাকমীর্ আহত হন।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ মো. নবীর হোসেন জানান, ‘ঘটনার খবর পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রাথীর্র গাড়ির একটি গøাস কে বা কারা ভেঙে দিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে খেঁাজখবর নেব।’

নেত্রকোনায় হামলার অভিযোগ

সিপিবি প্রাথীর্র

নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ, মদন, খালিয়াজুরী) আসনের সিপিবি প্রাথীর্ জলি তালুকদার তার ওপর সরকারি দলের হামলার অভিযোগ করেছেন।

রোববার দুপুরে জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কাযার্লয়ে সংবাদ সম্মেলন তিনি বলেন, শনিবার রাতে এ হামলায় তিনিসহ দলের অন্তত ছয় নেতাকমীর্ আহত হয়েছেন।

এ সময় তিনি নিবার্চন কমিশনের সমালোচনা করেন।

জলি তালুকদার বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে মোহনগঞ্জের মানশ্রী পালপাড়ায় সরকারি দলের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।

থানায় অভিযোগ দিলেও নেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।

আহতদের মধ্যে জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক পাথর্ প্রতীমকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভতির্ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

লিখিত বক্তব্যে জলি বলেন, এলাকায় নিবার্চনের ন্যূনতম পরিবেশ নেই। কমিশন নিজেই অতীতের মতো একটি একতরফা নিবার্চন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চায়।

‘নিবার্চন কাজ শুরুর পর থেকে নেতা-কমীের্দর হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছিল। পোস্টার-ব্যানার লাগানো ও লিফলেট বিতরণে বিভিন্ন স্থানে বাধা দেয়া হয়েছে। অনেক স্থানে পোস্টার-ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে।’

এসবের সুরাহা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় থাকলেও প্রশাসন ও নিবার্চন কমিশনে অভিযোগ জানাবেন বলে তিনি জানান।

“অবাধ প্রচার-প্রচারণা ও নিবার্চনী কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে নিবার্চন কমিশন ব্যথর্ হয়েছে। নিবার্চন কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনের পরে শহরের সাতপাইয়ের জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র কাযার্লয় থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

বাগেরহাটে বিএনপি প্রাথীর্র

গাড়িবহরে হামলা

বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাট-১ ও ২ আসনে গণসংযোগের সময় প্রকাশ্য দিবালোকে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির প্রাথীের্দর গাড়িবহরে হামলা করেছে দুবৃত্তর্রা। পৃথক দুই হামলায় বিএনপির কমপক্ষে ২১ নেতাকমীর্ আহত হয়েছেন। রোববার দুপুরে বাগেরহাট জেলা শহরের হরিণখানা পাঁচ রাস্তার মোড়ে বাগেরহাট-২ (সদর ও কচুয়া) আসনের ঐক্য ফ্রন্টের প্রাথীর্ জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালামের গাড়িবহরে হামলা হয়। এ হামলায় বিএনপির কমপক্ষে ৯ নেতাকমীর্ আহত হয়েছেন। আহতরা হলেনÑ জেলা ছাত্রদল নেতা মারুফ খান, নিয়ামুল কবির রাহুল, আজমাইল শেখ, হৃদয় হাচান, শেখ রনি, পৌর যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান মনি, নাসির উদ্দিন হাওলাদার পৌর শ্রমিক দলের কমীর্ জসিম শেখ ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোহসিন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মারুফ খানের অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জেলা বিএনপির সভাপতি ও বাগেরহাট সদর আসনের প্রাথীর্ এম এ সালাম বলেন, সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় নিবার্চনী প্রচারণা করছিলেন। দুপুরে শহরের হরিণখানা এলাকার পঁাচ রাস্তার মোড় থেকে যাওয়ার সময় নৌকা মাকার্র কমীর্রা তার গাড়িবহরে হামলা করে। এতে তার ৯ নেতাকমীর্ আহত হন। বহরে থাকা ৪টি মাইক্রোবাসের গøাস ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি করা হয়েছে। এদিকে মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া বাজারে গণসংযোগের সময় বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফিকরাহাট) আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রাথীর্ বিএনপি নেতা শেখ মাসুদ রানার গাড়িবহরে হামলা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এ হামলায় প্রাথীর্ মাসুদ রানাসহ ১২ নেতাকমীর্ আহত হয়েছেন। আহতরা হলেনÑ শেখ দেলোয়ার, জিয়া, মোদাচ্ছের মল্লিক, মামুন, আব্দুল আলী, বাবু শেখ, পলাশ, হেদায়েত, তরিকুল ইসলাম, সুমন ও সোহাগ। আহতের খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে ভতির্ করা হয়েছে।

ভোলার বোরহানউদ্দিনে

আ’লীগ-বিএনপির সংঘষর্

ভোলা প্রতিনিধি জানান, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় উদয়পুর রাস্তার মাথা এলাকায় ও হাকিমুদ্দিন এলাকায় আওয়ামী লীগের নিবার্চনী প্রচারণা চলাকালে প্রতিপক্ষ বিএনপির প্রাথীর্ হাফিজ ইব্রাহিমের কমীর্রা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় আওয়ামী লীগের ৫টি নিবার্চনী অফিস ও ৫টি মাইক্রোবাস ভাঙচুরসহ অন্তত ২০টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ছাড়া সাংবাদিকদের মারধর করে ক্যামেরা ছিনতাই করা হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় ও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘষের্ অন্তত অধর্শতাধিক লোক আহত হন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদশীর্রা জানান, রোববার সকালে ভোলা-২ আসনের বিএনপির প্রাথীর্ হাফিজ ইব্রাহিম ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিনে আসেন। কিন্তু তিনি আসার আগেই সকালে বোরহানউদ্দিনের হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাট এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের গণসংযোগ চলাকালে বিএনপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিমের নেতৃত্বে অতকির্র্ত হামলা চালানো হয়। এ সময় ২০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলা হয়। উদয়পুর রাস্তার মাথা এলাকায় ৫টি আওয়ামী লীগের নিবার্চনী অফিসসহ ৫টি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়। একপযাের্য় আওয়ামী লীগের নেতাকমীের্দর প্রতিরোধ গড়ে তুললে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে অধর্শতাধিক নেতাকমীর্ আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতরদের বোরহানউদ্দিন হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভতির্ করা হয়। এ ছাড়া সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে এশিয়ান টিভি, চ্যানেল এস টিভির ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়। মারধর করা হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক নেয়ামতউল্যাহ, এনটিভির সাংবাদিক আফজাল হোসেনকে। অপরদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিএনপির প্রাথীর্ হাফিজ ইব্রাহিম ঘাটে এসে পেঁৗছালে পুলিশের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তার বাসায় গিয়ে পেঁৗছেন।

রামগঞ্জে নৌকার গণসংযোগে

হামলায় আহত ৬

রামগঞ্জ (ল²ীপুর) সংবাদদাতা জানান, ল²ীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার নয়নপুর গ্রামে শনিবার রাত ১০টার দিকে নৌকার পক্ষে গণসংযোগে ঐক্যফ্রন্ট প্রাথীর্ শাহাদাত হোসেন সেলিমের বাহিনী অতকির্ত হামলায় করে। হামলায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৬ জন নেতাকমীর্ আহত হন। খবর পেয়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় ইছাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জহির হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মো. সাকিব হোসেনকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভতির্ করে। ঘটনার মূল হোতা শিবির সভাপতি ওয়াসী উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ওয়াসীম উদ্দিন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নিবার্চনে ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার ২ মামলার আসামি।

সূত্র জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন উপলক্ষে ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদ উল্যার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকমীর্ নয়নপুর গ্রামে গণসংযোগ করে নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পেঁৗছামাত্রই গ্রামের আনজী বাড়ির মো. ছাত্তারের ছেলে ওয়াসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে যুবলীগ নেতা মো. জহির হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা মো. সাকিব হোসেন, মো. সুজন. জসিম উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, মো. সজিবসহ ৬ জনকে গুরতর আহত করে।

ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদ উল্যা জানান, তারা নৌকার পক্ষে শান্তিপূণর্ নিবার্চন আশা করলে প্রতিপক্ষ ঐক্যফ্রন্ট প্রাথীর্ তার সন্ত্রাসী কমর্কাÐ চালিয়ে অরাজগতা সৃষ্টি করতে চায়।

রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) মো. তোতা মিয়া জানান, খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত ওয়াসীম উদ্দিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

চান্দিনায় সংঘষের্

আহত ৯

চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লার চান্দিনায় ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রাথীর্ ড. রেদোয়ান আহমেদ এবং নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রাথীর্ অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপির সমথির্ত নেতাকমীের্দর মধ্যে সংঘষর্ ঘটে। আওয়ামী লীগের অভিযোগ এত তরফা হামলা আর ধানের শীষ প্রতীকে ঐক্যফ্রন্ট প্রাথীর্র অভিযোগ দুই পক্ষের সংঘষর্।

শনিবার বিকালে উপজেলার বরকরই ইউনিয়নের ফতেহপুর বাজার এলাকায় এ ঘটনায় অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক গিয়াস উদ্দিনসহ ৯ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় আহত গিয়াস উদ্দিনের ভাই সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বিএনপি ও এলডিপির ৩৩ নেতা-কমীর্র নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত নামা ১২ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

রোববার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করে। তারা হলেন- চান্দিনার মহারং গ্রামের আকমত আলীর ছেলে পৌর এলডিপি সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম (৫০), বেলাশহর গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের আহবায়ক তারেকুল ইসলাম বাবু (৩০) এবং চিলোড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শাহআলম (৩০)।

এর আগে শনিবার বিকালে ফতেহপুর গ্রামে দুই পক্ষের সংঘষের্ আহত অন্যরা হলেন- বরকরইট গ্রামের মনির হোসেন মাস্টারের ছেলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুল ইসলাম এলাহী (৩৫), ফতেহপুর গ্রামের আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে ইউসুফ (২৯), মনির হোসেনের ছেলে সোহেল (২৫), নাটিঙ্গী গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে সোহেল (৪০), ইব্রাহীম খলিলের ছেলে ফারুক (৩৮) এবং ধানের শীষ প্রতীকের ড. রেদোয়ান আহমেদ সমথির্ত তিন ভাই আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফতেহপুর গ্রামের মন্দির মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (২৬), জুয়েল হোসেন (২০), জাকির হোসেন (৩০)। আহত গিয়াস উদ্দিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

জীবননগরে বিএনপি প্রাথীর্র

অফিসে হানা

জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় বিএনপি প্রাথীর্র নিবার্চনী অফিসে অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগ এবং নেতাকমীের্দর প্রচার-প্রচারণায় বাধা ও সবের্শষ প্রচার মাইক ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপির নেতাকমীের্দর মধ্যে আতঙ্ক ছাড়িয়ে পড়েছে। বিএনপি নেতকমীের্দর অভিযোগ আওয়ামী লীগের নেতাকমীর্রা এসব হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছেন এবং নেতাকমীের্দর ভোটের মাঠে না থাকার জন্য হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। গত বুধবার গভীর রাত থেকে এ হামলার ঘটনা শুরু হয়েছে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রাথীর্ মাহমুদ হাসান খান বাবুর বাড়ি জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামে। দেশ স্বাধীনের পর মাহমুদ হাসান খান বাবুই প্রথম ব্যক্তি যিনি জাতীয় সংসদ নিবার্চনে এমপি পদে নিবার্চন করছেন। মাহমুদ হাসান খান বাবু একজন সফল গামের্ন্টস ব্যবসায়ী এবং দেশের বৃহত্তর ব্যবসায়িক সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি। বিএনপি প্রাথীর্ মাহমুদ হাসান খান বাবু এলাকায় একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। নিবার্চনে প্রাথীর্ হওয়ার সাথে সাথে উপজেলাবাসীর মধ্যে আলোচনায় উঠে আসেন। নেতাকমীর্রা সরব হয়ে ওঠেন তার বিজয় নিশ্চিত করতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<27486 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1