শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আজ হানাদারমুক্ত হয় বগুড়া, মানিকগঞ্জ

যাযাদি রিপোটর্
  ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

আমাদের অকুতোভয় বীর যোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই দিকে দিকে হানাদারদের পলায়নপর করে তুলেছে। বিজয়ের বাতার্ আসছে। একাত্তরের এই দিনে হানাদার শত্রæমুক্ত হয় বগুড়া, মিজার্পুর, লালপুর, কাহালু, ধামরাই, মানিকগঞ্জ, তাড়াশসহ বিভিন্ন এলাকা।

মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সাথে মরণপণ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ’৭১-এর এই দিনে বগুড়া দখলমুক্ত হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে বীর মুক্তিবাহিনী বগুড়া শহর ও ক্যান্টনমেন্ট হানাদারমুক্ত করে। বগুড়া দখলমুক্ত করতে ৪ দিনের এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর কমপক্ষে ১০ জন শহীদ হন।

এই দিনে কাহালু উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দিনটি ছিল সোমবার। এর আগের দিন পাকসেনারা তাদের দোসর রাজাকার বাহিনীকে পাহারায় রেখে কৌশলে কাহালু ছেড়ে চলে যায়। হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমপের্ণর পর দখলদার মুক্ত হয় মিজার্পুর। এদিন মিজার্পুরের আকাশে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলার মুখে হানাদার বাহিনী ১৩ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার দিকে পালিয়ে যায়। বিকেলে ধামরাইয়ের মুক্তিযোদ্ধারা ও হাজার হাজার উল্লসিত মানুষ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ধামরাইয়ে বিজয় মিছিল করেন।

ডিসেম্বরের শুরুতেই দামাল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচÐ চাপে কোণঠাসা পাকবাহিনী মহকুমার সব জায়গা

থেকে তাদের ক্যাম্প গুটিয়ে আনতে বাধ্য হয় মানিকগঞ্জ শহরের পিটিআই ঘঁাটিতে। ১২ ডিসেম্বর রাতে প্রায় বিনা প্রতিরোধেই শহরের অধিকাংশ এলাকার দখল চলে আসে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে।

একাত্তরের এ দিনে মুক্তিবাহিনীর শক্তিশালী প্রতিরোধের মুখে পাকবাহিনী তাড়াশ অঞ্চল থেকে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<26849 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1