আজকের যায়যায়দিন

নিজের সংসদীয় আসন গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া) থেকে বুধবার নিবার্চনী প্রচার শুরু করতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কাযার্লয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে সড়কপথে যাত্রা করবেন। সেখানে পৌঁছে প্রথমে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর টুঙ্গিপাড়ায় একটি জনসভায় বক্তৃতা করবেন। এরপর দুপুরে কোটালীপাড়ায় এক বিশাল জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার মধ্য দিয়েই নিবার্চনী প্রচার শুরু করবেন। শেখ হাসিনা এবার গোপালগঞ্জ-৩ ছাড়াও শ্বশুরবাড়ি রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি রংপুরের আসনটি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ছেড়ে দেন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের কাছে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ কাজী নিশাত রসুল স্বাক্ষরিত এক ফ্যাক্স বাতার্য় শেখ হাসিনার কমর্সূচির কথা জানানো হয়েছে। বাতার্য় জানানো হয়েছে, বুধবার সকাল ৮টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে সড়ক পথে রওনা হয়ে বেলা ১২টায় টুঙ্গিপাড়ায় পেঁৗছবেন। ১২টা ৩০ মিনিটে তিনি জাতির জনকের সমাধিতে পুষ্পস্তক অপর্ণ, ফাতিহাপাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। দুপুর আড়াইটায় শেখ হাসিনা নিজ নিবার্চনী এলাকা কোটালীপাড়া সদরের শেখ লুৎফর রহমান আদশর্ সরকারি কলেজ মাঠে নিবার্চনী জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। ওইদিন টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাতযাপন করে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকমীর্রা কাজ করছেন। জনসভাকে কেন্দ্র করে কোটালীপাড়ায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। শেখ হাসিনার জনসভায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সোমবার কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ হলরুমে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় প্রধানমন্ত্রীর নিবার্চনী এজেন্ট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহসহ জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারি কমর্কতার্সহ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।