বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
নয়াপল্টনে সংঘষর্

ভিডিও ও ছবি দেখে ৬ জন শনাক্ত: দাবি পুলিশের

পুলিশ কমর্কতার্ মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য এই হামলা চালানো হয়। যারা হামলার পরিকল্পনা করেছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল উসকানি দিয়ে পুলিশকে অ্যাকশনে যেতে বাধ্য করা।
যাযাদি রিপোটর্
  ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ের সামনে সংঘষের্ জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ Ñযাযাদি

পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কাযার্লয়ের সামনে দলটির নেতাদের নিদেের্শ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিল কমীর্রা। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে দেশলাই জ্বেলে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়া ব্যক্তিকে এখন পযর্ন্ত শনাক্ত করা যায়নি।

মঙ্গলবার মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির কমীর্-সমথর্কদের সংঘষের্র ঘটনার ভিডিও ও ছবি থেকে শনাক্ত করে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ১১ নম্বর ওয়াডর্ ছাত্রদল সভাপতি প্রাথীর্ মো. এইচ কে হোসেন আলী, শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ভূঁইয়া, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্বাস আলী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুল ইসলাম ওরফে রবিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র দলের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন ওরফে উজ্জ্বল এবং তিতুমীর কলেজ ছাত্র দলের সহসভাপতি মাহবুবুল আলম। সোমবার রাজধানীর সূত্রাপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মনিরুল ইসলাম বলেন, মামলার

তদন্ত, গোয়েন্দা তথ্য ও আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, যারা এই হামলার পরিকল্পনা করেছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল উসকানি দিয়ে পুলিশকে অ্যাকশনে যেতে বাধ্য করা। যেন তারা নেতা-কমীের্দর ওপর পুলিশের অ্যাকশনের ও লাঠিচাজের্র ভিডিও দেখিয়ে বিভিন্ন মহলে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে পারে। বড় নেতারা তাদের পৃষ্ঠা ২ কলাম ২

হেলমেট পরে যেতে বলেন যাতে নাশকতার সময় কেউ তাদের শনাক্ত করতে না পারে।

এ ছাড়া সেখানে আগে থেকেই লাঠিসেঁাটা রাখা ছিল উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আসামিদের মধ্যে হোসেন আলী হেলমেট পরে শাটর্ খুলে পুলিশের গাড়ির ওপর উঠে লাফিয়েছিলেন, সোহাগ শাটর্ খুলে লাঠি হাতে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন, আব্বাস আলী গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করেছেন, আশরাফুল ইসলাম পুলিশের পিকআপে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলা করেছেন। এ ছাড়া উজ্জ্বল ও মাহবুবুল পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সড়ক অবরোধ করেছেন। তবে যে ব্যক্তি দেশলাই জ্বেলে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল তাকে এখন পযর্ন্ত শনাক্ত করা যায়নি।

নয়াপল্টনে ঘটনার দিন পুলিশ অ্যাকশনে যায়নি। বরং অসীম ধৈযর্ ধারণ করেছে মন্তব্য করে মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সেদিন কোনো অ্যাকশনে যায়নি। এটা ঠিক যে পুলিশ বিভিন্ন কাজে নিবার্চন কমিশনের আদেশ- নিদের্শ পালনে ন্যস্ত। কিন্তু সেদিন ঘটনাস্থলের আশপাশে অনেক পুলিশ আহত হয়, তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজন অবরুদ্ধ ছিলেন, তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উদ্ধার করা হয়। কোনো অ্যাকশনে যায়নি, ডিএমপির ৫-৭ মিনিটের মধ্যে সহস্রাধিক লোককে সরানোর সক্ষমতা আছে। পুলিশের অ্যাকশনের ইচ্ছা থাকলে তাদের হটিয়ে দেয়া সম্ভব ছিল।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ও প্রত্যাশা সব রাজনৈতিক দলের শুভবুদ্ধি উদয় হোক। কিন্তু কেউ যদি নাশকতা করার চেষ্টা করে, সে যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। পল্টনের ঘটনায় আসামিরা ফেসবুকের অ্যাকাউন্টে ডিঅ্যাকটিভ করেছিল, তবুও তারা পালাতে পারেনি। অপরাধ করে কেউ পালাতে পারবে না।’

গত বুধবার দুপুরে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকমীের্দর সংঘষর্ হয়। সংঘষের্ পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানসহ দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ওই দিন রাতে বিস্ফোরক ও বাংলাদেশ দÐবিধি, বিশেষ আইনে এবং বাংলাদেশ দÐবিধি আইনে পল্টন থানায় তিনটি মামলা করে পুলিশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<23451 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1