শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
মির্জা ফখরুলের ঘোষণা

শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে নিবার্চনে লড়ব

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সব অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। আর সে অস্ত্র হলো ভোটের অস্ত্র। সবাই মিলে ভোট দিয়ে এই দানব সরকারকে হঠাতে হবে
যাযাদি রিপোটর্
  ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১১:১৩
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোটর্ বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মিজার্ ফখরুল ইসলাম আলমগীর Ñফোকাস বাংলা

এবারের নিবার্চনকে বিএনপির অস্তিত্বের লড়াই উল্লেখ করে এতে জয়ী হতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে প্রচেষ্টা চালাতে দলীয় নেতাকমীের্দর প্রতি আহŸান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে নিবার্চনে লড়াই করব। ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকে দেশে স্বাধীন মানুষের পতাকা উড়বে। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোটর্ আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই আহŸান জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ এখন কঠিন সময় পার করছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধের দেয়াল তৈরি করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নিবার্চন অনুষ্ঠানে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় এবং দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট সেলিনা হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন প্রমুখ। মিজার্ ফখরুল বলেন, আগামী নিবার্চনকে সামনে রেখে বিএনপির সামগ্রিক তৎপরতায় সরকার প্রচÐ ভয় পেয়ে গেছে। তাই তারেক রহমানকে দলীয় কাযর্ক্রমে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে স্কাইপ বন্ধ করেছে। তফসিল ঘোষণার পরও চারদিকে বিএনপির নেতাকমীের্দর গ্রেপ্তার, নিযার্তন চালানো হচ্ছে। এ থেকে আমাদের মুক্তি চাইলে সব অস্ত্র ব্যবহার করতে হবে। আর সে অস্ত্র হলো ভোটের অস্ত্র। সবাই মিলে ভোট দিয়ে এই দানব সরকারকে হঠাতে হবে। তিনি বলেন, জনগণকে শক্তি হিসেবে নিয়ে সুষ্ঠু নিবার্চন দিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। এর বিকল্প নেই। মামলার ভয়ে পালিয়ে না বেড়িয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইতে হবে। আমাদের এই ভোট আন্দোলনকে চূড়ান্ত জয়ের দিকে নিয়ে যেতে হবে। আমরা সবাইকে নিয়ে এই নিবার্চনে জয়যুক্ত হব এবং ৩০ ডিসেম্বরের পর এ দেশে স্বাধীন মানুষের পতাকা উড়বে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচাযর্ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, এই নিবার্চনকে আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি। তারেক রহমান আজ দেশের বাইরে এবং খালেদা জিয়া কারাগারে। এই অমানবিক অবস্থায় আর থাকতে হবে না। সবাই মিলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। নাগরিক ঐক্যের আহŸায়ক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না দাবি করেন, বতর্মান সরকারের দুঃশাসনে ভেতরে ভেতরে সাগরের মতো ফুঁসছে সারাদেশের মানুষ। পরিবতের্নর জন্য তারা কেবল একটি সুযোগের অপেক্ষায়। আগামী নিবার্চনের মাধ্যমে সেই পরিবতের্নর সুযোগ এসেছে। যেহেতু নিবার্চনের হুইসেল (তফসিল) বেজেছে, তাই আগামী ৩০ ডিসেম্বর আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিবার্চনের রায় ঘোষণা করব। এই নিবার্চনে এই জালিম সরকারের পতন ঘটানো হবে। নিবার্চনের আগে ২১ দিন প্রচারণার সুযোগ পাব, তখন সারাদেশ চষে বেড়াব। তিনি বলেন, লন্ডন থেকে একটা মানুষ (তারেক রহমান) স্কাইপে কথা বলে আর এখানে ঢাকায় বসে ক্ষমতাসীনরা কঁাপে। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে মনে রাখতে হবে, আমরা যখন অন্য নেতাকমীর্, সাধারণ মানুষের কাছে যাব, তখন তারা যেন ভাবে, আমাদের জন্য সুন্দর বাংলাদেশ ওরাই গড়ে দেবে। বতর্মান ব্যবস্থায় আসন্ন নিবার্চনে অংশ নিলে তা শুধু একটি প্রহসন হবে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সুপ্রিম কোটর্ আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে সবচেয়ে আতঙ্কিত যে ব্যক্তি, তিনি হলেন তারেক রহমান। সে কারণেই তারা আদালতের কঁাধে বন্দুক রেখে নিয়ন্ত্রিত বিচারব্যবস্থা দিয়ে একের পর এক তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করছে। আমাদের দুঃখ হয় বিচারবিভাগ স্বাধীন থাকলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হতো না আর খালেদা জিয়াকেও কারাগারে থাকতে হতো না। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে নিবার্চনকে একটি আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়ে পরিবতের্নর আগে আরেকটি পরিবতর্ন এনে এই দানব সরকারের হাত থেকে মুক্তি পেতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে