শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিবার্চন করবেন না ড. কামাল

যাযাদি রিপোটর্
  ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০৩
কামাল হোসেন

একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন ঘিরে উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শীষর্ নায়কের ভ‚মিকায় অবতীণর্ হয়েছেন তিনি। ৫ বছর আগে যে বিএনপি নিবার্চন বয়কট করেছিল, সেই বিএনপি এখন কাযর্ত তার ওপর ভর করেই নিবার্চনে যাচ্ছে। অথচ তিনিই নিবার্চনে অংশ নিচ্ছেন না। নিবার্চনী আয়োজনে অনুঘটকের কাজ করলেও নিবার্চনে অংশ নিচ্ছেন না জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীষর্ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। নিবার্চন প্রসঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় জাতীয় এই নেতার সঙ্গে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাসাতেই থাকছেন গেল কয়েকদিন ধরে। তবে আগের থেকে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানান তিনি। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ড. কামালের বেইলি রোডের বাসাতে গিয়েই বৈঠকে মিলিত হচ্ছেন এখন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে অংশ নেবেন না জানিয়ে ড. কামাল বলেন, ‘আমার নিবার্চনে অংশ নেয়া বড় কথা নয়। দেশে ভারসাম্যের নীতি প্রতিষ্ঠা পাক। আমরা একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নিবার্চনের কথা বলে আসছি। নিবার্চনে কে হারলো, কে জিতলো সেটা বড় কথা নয়, দেশের মালিক জনগণ, তারা যেন নিজেদের পছন্দ মতো ভোট দিতে পারে সেটাই বড় কথা।’ কী কারণে নিবার্চনে অংশ নিচ্ছেন না তা উল্লেখ না করলেও, বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার বিষয়েই ইঙ্গিত দেন ড. কামাল। যদিও আগেও নিবার্চনে অংশ না নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। জাতীয় নিবার্চনকে সামনে রেখে ব্যাপকভিত্তিক যে বিরোধী রাজনৈতিক জোট গঠন হয়েছে, তার শীষর্ নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি এটিকে রাজনৈতিক জোট উল্লেখ না করে বলেন, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নিবার্চনের দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই তারা একজোট হয়েছেন। যদিও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বেই বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটও নিবার্চনে অংশ নিচ্ছে। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিবার্চনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় রাজনীতির চিত্রও বদলে গেছে। ড. কামাল হোসেন ১৯৩৭ সালের ২০ এপ্রিল বরিশালের শায়েস্তাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি অক্সফোডর্ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জুরিসপ্রæডেন্সে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৫৮ সালে ব্যাচেলর অব সিভিল ল’ ডিগ্রি লাভ করেন। লিংকনস ইনে বার-অ্যাট-ল’ অজের্নর পর আন্তজাির্তক আইন বিষয়ে পিএইচডি করেন ১৯৬৪ সালে। এই রাজনীতিক বাংলাদেশের সংবিধানের প্রণেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত। রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সব সময়ই সোচ্চার। ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নিবার্চনে পূবর্ পাকিস্তান থেকে আওয়ামী লীগের প্রাথীর্ হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পান। একই বছর স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান রচনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে আইনমন্ত্রী এবং ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পযর্ন্ত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ড. কামাল হোসেন জাতিসংঘের স্পেশাল রিপোটাের্রর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তজাির্তক কমর্কাÐে সক্রিয় রয়েছেন। ১৯৯১ সালে নিবার্চনী ফলাফল নিয়ে দ্ব›দ্ব সৃষ্টি হয় আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা এবং ড. কামালের মধ্যে। ১৯৯৩ সালে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে তিনি গণফোরাম নামের রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রে আসেন ড. কামাল হোসেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে