মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন

মনোনয়ন দৌড়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সাবেক নেতারা

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বড় দুই দলের প্রাথীর্ তালিকায় এবার সাবেক ছাত্রনেতাদের গুরুত্ব বাড়তে পারে।
যাযাদি রিপোটর্
  ১২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে রাজনৈতিক দলগুলোতে নতুন মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ছড়াছড়ি। ২০১৪ সালের নিবার্চনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ফলে তখন অভিযোগ ওঠে অনেক আসনে ‘অযোগ্য’ প্রাথীের্ক মনোনয়ন দিয়ে জিতিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু এবার বিএনপি নিবার্চনে আসবে সেটি মাথায় রেখেই প্রাথীর্ ঠিক করছে আওয়ামী লীগ। আর তাই অনেক ছাত্রনেতা প্রথম বারের মতো মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে বিএনপির সাবেক ও বতর্মান ছাত্রনেতারাও বসে নেই। নিজেদের শক্তি জানান দিতে নিজ নিজ এলাকায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন অনেক আগে থেকেই।

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, প্রাথীর্ তালিকায় এবার সাবেক ছাত্রনেতাদের গুরুত্ব বাড়তে পারে। বিভিন্ন সময়ে রাজনীতির বাইরের ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়া নিয়ে বড় সমালোচনা রয়েছে। তাছাড়া, প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক নিবার্চন হলে এবার রাজনীতির সঙ্গে দীঘির্দন ধরে সম্পৃক্ত, এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে এমন প্রাথীের্দরই বাছাই করবে সব পক্ষ। জোটের হিসেব বাদ দিলে বড় দুটি দলে সাবেক ছাত্রনেতাদের অনেকেই প্রাথীর্ হতে চাচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তরুণ নেতারা বলছেন, অনেক সময় প্রাথীর্ বদলের কারণে আগের সাংসদের অনেক দোষ ঢাকা পড়ে যায়। ফলে দেখা গেছে নতুন প্রাথীর্ দিলে দলের ভালো করার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে নতুন প্রাথীর্ দেয় দলগুলো।

আওয়ামী লীগের অন্তত ৭০ জন সাংসদের অবস্থা নিজ এলাকায় ভালো নয় বলে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী সংসদীয় দলের বৈঠকে বলেছেন। দলটির বিভিন্ন সূত্র বলছে, গত বার মনোনয়ন পেয়েছেন এবার পাবেন না এমন নেতার সংখ্যা একশ হতে পারে। এসব আসনে প্রাথীর্ হওয়ার চেষ্টা করছেন সাবেক ছাত্রনেতারা।

নিবার্চনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। ভোট হবে ২৩ ডিসেম্বর। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। শুক্রবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। ক্ষমতাসীন দলটিতে কেন্দ্রীয় কমিটি ও উপকমিটিতে ছাত্রলীগের সাবেক অনেক নেতাই রয়েছেন। উপদেষ্টা পরিষদেও আছেন বষীর্য়ান একাধিক নেতা।

এই প্রতিবেদন নব্বইয়ের দশক থেকে যারা ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের রাজনীতিতে ছিলেন, তাদের নিয়ে।

মনোনয়ন দৌড়ে

ছাত্রলীগের নেতারা

১৯৯০ সাল থেকে গত ২৮ বছরে ছাত্রলীগের ১৬ জন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে সংসদে যেতে পেরেছেন মাত্র দুজন। এরা হলেনÑ দিনাজপুর-৩ আসন থেকে ইকবালুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসন থেকে নজরুল ইসলাম বাবু। আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো বলছে, এবারও দলের পছন্দের তালিকায় তারা আছেন।

এছাড়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না পিরোজপুর-২ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেলেও জোটের সমীকরণে বাদ পড়েন। আসনটির সাংসদ বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি জাতীয় পাটির্ থেকে নিবার্চন করেন। এবারও জোটের সমীকরণেই আটকে আছে তার ভাগ্য। তবে পিরোজপুর-১ আসন থেকেও তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বাকি ১৩ জনের মধ্যে এবার চারজনের অবস্থা ভালো। এরা হলেনÑ এনামুল হক শামীম, অজয় কর খোকন, মাহমুদ হাসান রিপন ও এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। তবে তিনজনের আসনে আওয়ামী লীগের অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও শক্ত প্রাথীর্।

শরীয়তপুর-২ আসনে সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীমকে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানায়। সাংসদ ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার কনের্ল (অব.) শওকত আলী এবার নিবার্চন নাও করতে পারেন। কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে অজয় কর খোকন দলীয় মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করছেন। তবে এর আগে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র নিবার্চন করতে চেয়েছিলেন। ফলে দলের একটি অংশ তার বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। এই আসনের বতর্মান সাংসদ আওয়ামী লীগের আফজাল হোসেন। তার সমথের্ন স্থানীয়ভাবে আলাদা জনসভাও হয়েছে।

গাইবান্ধা-৫ আসনে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার ভালো অবস্থান রয়েছে। তবে সেখানে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন প্রাথীর্ হওয়ার জোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পযর্ন্ত সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। তিনি এবার বাগেরহাট-৪ আসন থেকে নিবার্চন করতে পারেন। তার এলাকার বতমার্ন সাংসদ মোজাম্মেল হোসেন। তিনি একাধিকবার সাংসদ হয়েছেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন।

এর বাইরে সাবেক সভাপতি বাহাদুর ব্যাপারী শরিয়তপুর-৩ আসন থেকে ও লিয়াকত শিকদার ফরিদপুর-১ আসন থেকে মনোনয়নের চেষ্টা করছেন। ফরিদপুর-১-এর বতর্মান সাংসদও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ১৯৮৬ সাল থেকে ৮৮ সাল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সেদিক থেকে লিয়াকত শিকদার দলীয় কোনো পদে নেই।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী চঁাদপুর-৩ নিবার্চনী এলাকায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। কিন্তু সেখানে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি সাংসদ হিসেবে আছেন। সুজিত ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন।

দলটির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। আসনটির সাংসদ ওয়াকার্সর্ পাটির্র সভাপতি রাশেদ খান মেনন। দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখান থেকে মনোনয়ন চাওয়ার প্রধান কারণ এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় কাযার্লয় অবস্থিত। দলের নেতা-কমীের্দর দাবি, যেন এই আসনে আওয়ামী লীগের কোনো প্রাথীর্ নিবার্চন করেন। সেক্ষেত্রে তার শিক্ষাজীবন ও রাজনীতির বড় অংশই এখানে কাটায় তিনি এখান থেকে নিবার্চন করতে চান।

পিরোজপুর-৩ আসনে মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুর রহমান চেষ্টা করছেন। আসনটিতে গত নিবার্চনে স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তুম আলী ফরাজীর কাছে হেরে যান আওয়ামী লীগের প্রাথীর্ আনোয়ার হোসেন।

ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মারুফা আক্তার পপি জামালপুর-৫ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চান, কিন্তু এই আসনে ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা এখনো শক্ত প্রাথীর্। মারুফা আক্তার বলেন, ‘দলের নেতারা অনেক প্রাজ্ঞ। তারা সবকিছু বিবেচনা করে যার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনিই মনোননয়ন পাবেন। নিবার্চন আমাদের জন্য উৎসবের মতো। মনোনয়নপত্র কিনে আমরা সেই উৎসবে শামিল হব।’

২০০৭ সালে এক-এগারোর সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকীব বাদশার ভূমিকার বিষয়ে আওয়ামী লীগে ইতিবাচক সাড়া আছে। টিপু রাজবাড়ী-২ আসনে ও বাদশা পিরোজপুর-১ আসন থেকে নিবার্চন করতে চান। টিপুর মনোনয়নের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধনও করেছেন তার সমথের্করা। দুজনই বতর্মানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদে আছেন। সাজ্জাদ সাকীব বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগসহ সবগুলো অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে ভালো যোগাযোগ গড়ে তুলেছি। জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়েছি, আমি আশাবাদী।’

নিজেদের দখলে থাকা ময়মনসিংহ-৫ (ত্রিশাল) আসনটি ২০১৪ সালে জাতীয় পাটিের্ক ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। এবার জোটগত নিবার্চন না হলে আওয়ামী লীগ আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চাইবে। আওয়ামী লীগ থেকে বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতা মনোনয়ন চাইলেও নতুন প্রাথীর্ হিসেবে এগিয়ে আছেন ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক নুরুল আলম পাঠান মিলন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য।

এছাড়া, সাবেক নেতৃত্বের মধ্যে তরুণদের মধ্যে এবার মনোনয়ন চান সাবেক সহসভাপতি ইকবাল হোসেন অপু (শরীয়তপুর-১), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান আনসারী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), সাবেক সহসম্পাদক মাজহারুল ইসলাম মানিক (পাবনা-৫), সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুল কবির রাহাত (নেত্রকোনা-৩), সাবেক অথর্ সম্পাদক মোশের্দুজ্জামান সেলিম (ময়মনসিংহ-৩), শেখ ওবায়েদুর রহমান (বাগেরহাট-৩) প্রমুখ মনোনয়নপত্র নেবেন বলে আওয়ামী লীগের সূত্রগুলো জানিয়েছে।

পুরনো তবে নতুন মুখ

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন ১৯৮৮ সালের কমিটির। তিনি এবার প্রথমবারের মতো নিবার্চনে অংশ নিতে পারেন। তার আসন নেত্রকোনা-২। আসনটির সাংসদ আরিফ খান জয়ের বিরুদ্ধে সাংসদ থাকাকালীন বেশ কিছু অভিযোগ ওঠায় এবার তিনি বাদ পড়তে পারেন। একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার উকিল আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক। নেত্রকোনা-৩ আসন থেকে তিনি এবার নিবার্চন করতে চান।

ছাত্রদলের বতর্মান নেতারাও

মনোনয়ন চান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে একাদশ জাতীয় সংসদে মনোনয়ন পেতে চান ছাত্রদলের বতর্মান কমিটির সভাপতি, সহসভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন। দলটিতে এর আগেও ছাত্রদলের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নিবার্চনে অংশ নেয়ার নজির রয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানের আসন বরিশাল-৪। তিনি বলেন, দল যদি কনসিডার করে তবে অবশ্যই তিনি নিবার্চনে অংশ নিতে চান। তার আগ্রহ আছে এবং সাবির্ক কমর্কাÐের মাধ্যমে তা ফুটিয়ে তুলছেন।

সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রায়ই নরসিংদীতে নিজের এলাকায় (নরসিংদী-৩) যান। সেখান থেকে এবারই প্রাথীর্ হতে আগ্রহী। এই আসনটিতে বিএনপির সাবেক মহাসচিব মান্নান ভূইয়া ২০০১ সালে এবং ২০০৮ সালে তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার নিবার্চন করেছেন। বতর্মানে সানাউল্লাহ মিয়াও এই আসন থেকে আগ্রহী। সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন বরিশালের চাটখিল উপজেলার আসনে নিবার্চনী কাজ করছেন। তিনি বলেন, আসলে আসনটি দীঘির্দন অভিভাবকশূন্য। যার কারণে দীঘির্দন নেতা-কমীর্রা বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন। যোগ্য নেতৃত্ব নিবার্চন না করলে তারা ঐকবদ্ধ হওয়ার সাহস পাবে না।

সাবেকদের মধ্যে যারা

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্তত ১০ জন সাবেক ছাত্রনেতা বলছেন, খালেদা জিয়াকে কারা অন্তরীণ রেখে তারা নিবার্চনে অংশ নেবেন না। তারপরও দলীয়ভাবে আসন বণ্টনের কাজ এগিয়ে রাখছেন নেতারা। শেষ মুহ‚তের্ যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে দলের সবাই তার পক্ষেই কাজ করবেন। তবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রত্যেকেই এলাকায় প্রচারণা ও গণসংযোগ করছেন। এর মধ্যে বতর্মান কমিটির নেতারাও রয়েছেন।

নব্বইয়ের পর থেকে সাবেক হওয়া ছাত্র নেতাদের মধ্যে আমান উল্লাহ আমান ঢাকা-২ আসন থেকে একাধিকবার নিবার্চন করেছেন। তিনি ডাকসুর সহসভাপতি ছিলেন। এবারও এই আসনে তাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে বলে দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবু বতর্মানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি। তিনি ল²ীপুর-৪ আসন থেকে নিবার্চন করতে চান। তিনি বলেন, বিএনপিতে তরুণ নেতৃত্ব সব সময়ই থাকে। এর মাধ্যমে নতুনদের উৎসাহিত করা হয়। তাছাড়া আসনটি বিএনপি অধ্যুষিত। গ্রহণযোগ্য কাউকে দিলে তিনি অবশ্যই পাস করবেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূইয়া জুয়েল ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। তার আসন নরসিংদী-৪। ২০০১ সালে এই আসন থেকে বিএনপির প্রাথীর্ ছিলেন সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল, ২০০৮ সালে জয়নাল আবেদিন। জুয়েল বলেন, ‘এক-এগারোর পর থেকেই এলাকায় যাওয়া-আসা করি। মানুষের কাছ থেকেও প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। দলীয় নেতাকমীর্ ও সাধারণ মানুষ পরিবতর্ন চায়। নতুন নেতৃত্ব চায়। যারা দলের দুদিের্ন পালিয়ে যায় না এবং সুসময়ে চরিত্র হারায় না তাদের চায় জনগণ।’

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল ঢাকা-৮ আসন থেকে ২০০৮ সালে নিবার্চন করে হেরে গেছেন। এবারও এই আসনে তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে দলের নেতারা বলছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল খুলনা-৪ আসন থেকে নিবার্চন করতে চান। এর আগে তিনি ২০০৮ সালে ঢাকার একটি আসন থেকে নিবার্চন করেছেন। ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু টাঙ্গাইল-২ থেকে এর আগেও নিবার্চনে অংশ নিয়েছেন। এবারও তিনি মনোনয়ন পাবেন বলে দলীয় সূত্রগুলো বলছে।

পটুয়াখালী-৩ আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নিবার্হী কমিটির সদস্য হাসান মামুন দলীয় মনোনয়ন চান। তার আসনে জেলা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাও নিবার্চনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে চান। দল থেকে এর আগে শাহজাহান খানকে মনোনয়ন দিলেও তিনি জিততে পারেননি।

ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি হায়দার লেনিন বিএনপির কেন্দ্রীয় নিবার্হী কমিটির সদস্য। তিনি ভোলা সদর থেকে মনোনয়ন চান। আসনটিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অধীনে জেপির আন্দালিব রহমান পাথর্ নিবার্চন করেছিলেন। এবার জোটের হিসাব ও দলের অন্য প্রাথীের্দর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিভর্র করছে লেনিনের ভাগ্য।

ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি শহিদুল্লাহ এমরান নেত্রকোনা ৫ (পূবর্ধলা) আসন থেকে নিবার্চন করতে চান। ২০০১ ও ২০০৮ সালে বিএনপির প্রাথীর্ হিসেবে ডা. মোহাম্মদ আলী নিবার্চন করেছিলেন। ২০১২ সালে তিনি মারা গেছেন। শহিদুল্লাহ এমরান বলেন, ‘পারিবারিকভাবে বহু আগে থেকেই মাঠে ছিলাম। আমার বাবা-মা দুজনই থানা বিএনপিতে দায়িত্ব পালন করেছেন।’ এই আসন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদারও মনোনয়ন চান।

এর বাইরে ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবুল ফরিদপুর-২, আরিফা সুলতানা রুমা পাবনা-৩, আজমল হোসেন পাইলট নেত্রকোনা-১ আসন থেকে নিবার্চন করতে চান। এছাড়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ ঢাকা-৭ থেকে নিবার্চন করতে চান। তুলনামূলক পুরনোদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে শেখ মোহাম্মদ শামীম, ঝিনাইদহ-৩ থেকে আমিরুজ্জামান খান শিমুল, ঝিনাইদহ-৪ এ সাইফুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ নিবার্চন করতে আগ্রহী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<22144 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1