শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটে রাষ্ট্রপতির কাছে সেনা চাইবে ইসি

যাযাদি রিপোটর্
  ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

একাদশ সংসদ নিবার্চনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সশস্ত্র বাহিনী চাইবে নিবার্চন কমিশন। যে দাবিটি আগামী ১ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতে তুলে ধরা হবে।

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার লক্ষ্য নিয়েই বঙ্গভবনে যাবেন প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার কমিশন। রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতি সংসদ নিবার্চনের তফসিল ঘোষণা পূবের্ই এমন সাক্ষাৎ করে থাকে ইসি।

সাক্ষাতে নিবার্চনের সাবির্ক প্রস্তুতি সম্পকের্ রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবে ইসি। একইসঙ্গে সুষ্ঠু নিবার্চনের চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবেলা করার জন্য দাবি তুলে ধরা হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না হওয়ার আশঙ্কা করলেও প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি ভাবনায় নিয়েই এগুচ্ছে

কমিশন। আর এ ভাবনা থেকেই ১ নভেম্বরের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কাছে দাবিটি রাখবে সংস্থাটি।

বিষয়টি জানিয়েছেন নিবার্চন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা সাবির্ক প্রস্তুতি মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করবো। একইসঙ্গে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন হলে আমাদের তা দেবেন একথাও বলব। কেননা, তিনিই সশস্ত্র বাহিনীর সবাির্ধনায়ক।’

তিনি বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর পরিস্থিতি সেনা মোতায়েনের মতো হলে সশস্ত্র বাহিনী প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের সঙ্গে আমরা কথা বলব। এক্ষেত্রে কীভাবে সেনা নামানো যাবে তিনিই সে বিষয়ে রাষ্ট্রপতি কিংবা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগটা করে নেবেন।’

কেবল ২০০৮ সালের নিবার্চনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সেনা বাহিনীকে অন্তভুর্ক্ত করে মাঠে নামানো হয়েছিল। অন্য নিবার্চনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে নামেনি। দেশের প্রচলিত আইনেই নিয়োজিত করা হয়েছিল।

রফিকুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসকের এলাকার মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সেনা নামানোর আলাদা আইনই আছে। তাকে সে ক্ষমতা দেয়া আছে। কাজেই দেশে সেনা নিয়োজিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তভুর্ক্ত করার প্রয়োজন নেই।

এদিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাবে কেবিনেটের অনুমোদন নিয়ে সংসদে ওঠার সম্ভাবনা দেখছেন না অনেকে। কেননা, তফসিল ঘোষণার আগে চলমান অধিবেশনই শেষ। তাই সংসদ নিবার্চনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের ব্যবহারসহ বেশকিছু বিষয় অনিশ্চয়তার মাঝে রয়েছে। তবে কমিশন আশাবাদী। সংস্থাটি মনে করছে অধিবেশন না বসলেও সরকার চাইলে অধ্যাদেশ জারি করেও সংশোধনী এনে দিতে পারে।

সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম বলেন, সংসদ ছাড়াও সংশোধনের আরেকটি উপায় হচ্ছে অধ্যাদেশ। সরকার কী করবে তা তো আমরা জানি না।

সংবিধান অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নিবার্চন সম্পন্ন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি শেষের পথে। তাই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেই তফসিল দিতে চায়। এক্ষেত্রে নভেম্বরের প্রথম দিকে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষের দিকে ভোট করতে চায় নিবার্চন কমিশন।

নিবার্চনের সময় সরকারের কমর্চারীরা ইসির অধীনে থাকবে। এক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে কারো গাফিলতি বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান নিবার্চন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এ পযর্ন্ত বিভিন্ন নিবার্চনে অনেক পুলিশ কমর্কতার্র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় নিবার্চনে এ বিষয়ে আরো বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<19119 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1