শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঐক্যফ্রন্টে স্টিয়ারিং ও লিয়াজোঁ কমিটি গঠন

যাযাদি রিপোটর্
  ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থাকা দলগুলো শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর বিএনপির ৪ জন, নাগরিক ঐক্যের ৩ জন, জেএসডির ৩ জন, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার ৩ জনকে রেখে লিয়াজোঁ বা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া আগামী ৩০ অক্টোবর রাজশাহীতে জনসভা এবং এর আগে ২৬ অক্টোবর রাজধানীতে শীর্ষ স্থানীয় বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে তারা।

শুক্রবার বিকালে ধানম-িতে নাগরিক ঐক্যের নেতা মোবারক হোসেন খানের বাসায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী- পূর্বঘোষিত আগামী ২৩ অক্টোবর জনসভার অনুমতি না মেলায় একদিন পর ২৪ অক্টোবর সিলেটে হজরত শাহজাহাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতে যাবে ঐক্যফ্রন্ট।

বৈঠকে ফ্রন্টের নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত ও তা বাস্তবায়নে স্টিয়ারিং ও সমন্বয় কমিটি নামে পৃথক ২টি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। বিকাল ৪টা থেকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা এ বৈঠক চলে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ও কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সহ সভাপতি তানিয়া রব, শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু। তিনি বলেন, ২৩ অক্টোবর সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের জনসভার অনুমতি মেলেনি। প্রশাসন জানিয়েছে, ওইদিন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মসূচি রয়েছে, তাই দেয়া হয়নি। যদিও ঐক্যফ্রন্ট অনেক আগেই অনুমতি চেয়েছে। তারপরও ২৪ অক্টোবর সিলেটে জনসভা করতে চায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। যদি তাতেও অনুমতি না দেয় তাহলে হজরত শাহ জালাল (রহ.) ও হজরত শাহ পরান (রহ.) মাজার জিয়ারত করা হবে। এছাড়া ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রামে জনসভা হবে। সেখানেও আবেদন করা হয়েছে। এ সময় তিনি সমন্বয় কমিটি ও স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের কথাও জানান।

১৩ সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন: ১৩ সদস্যের কো অর্ডিটেশন কমিটিতে আছেন বিএনপির চারজন। এছাড়া গণফোরাম, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যের তিনজন করে সদস্য রয়েছেন। বিএনপির প্রতিনিধির মধ্যে রয়েছেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব ও মনিরুল হক চৌধুরী, গণফোরামের শফিকুল্লাহ, মোস্তাফা আহমেদ ও জগলুল হায়দার আফ্রিক, জেএসডির আবদুল মালেক রতন, তানিয়া রব ও শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন এবং নাগরিক ঐক্যের মমিনুল ইসলাম, শহীদুল্লাহ কায়সার ও ডা. জাহেদুর রহমান।

বৈঠকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে একটি ‘স্টিয়ারিং’ কমিটিও গঠন করা হয়। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সর্বোচ্চ সম্মানের জায়গায় রাখা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের সব বৈঠকে অংশ না নিলেও সব ধরনের সিদ্ধান্ত তার সঙ্গে পরামর্শ করা হবে। আর ঐক্যফ্রন্টে স্টিয়ারিং কমিটিতে রয়েছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জেএসডির সভাপতি আসম আব্দুর রবসহ ঐক্যফ্রন্টে থাকা দলগুলো শীর্ষ নেতারা। এর বাইরে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে স্টিয়ারিং কমিটিতে রাখা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে