শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন

আওয়ামী লীগে ৭ বিএনপিতে ৫ প্রার্থী

সুনামগঞ্জ-১ (ধমর্পাশা, তাহিরপুর জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর )
মিঠু মিয়া, ধমর্পাশা (সুনামগঞ্জ)
  ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২০ অক্টোবর ২০১৮, ০০:৩৫

আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চনকে সামনে রেখে হাওর এলাকা সুনামগঞ্জ-১ (ধমর্পাশা-তাহিরপুর-জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য প্রাথীর্রা তৎপরতা শুরু করেছেন । ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে এখন পযর্ন্ত ৭ জন, বিএনপি থেকে ৫ জন প্রাথীর্ নিবার্চনী মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। রাজনৈতিক কমর্সূচি ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে নিজেদের প্রাথির্তা জানান দিচ্ছেন ভোটারদের। দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রাথীর্রা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ব্যাপক লবিং ও দৌড়ঝঁাপ করছেন। কে পাবেন আ’লীগ-বিএনপির মনোনয়ন নামের সোনার হরিণÑ এ নিয়ে যেন আলোচনার শেষ নেই। এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রাথীর্ হলেন দুইবারের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সাবেক এমপি সৈয়দ রফিকুল হক সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জামালগঞ্জের সাচনাবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ রেজাউল করিম শামীম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিনয়ভ‚ষণ তালুকদার ভানু, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল হাসান চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামীমা শাহরিয়ার, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহŸায়ক ড. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার। অন্যদিকে বিএনপির প্রাথীের্দর মধ্যে প্রচারণায় রয়েছেনÑ সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নিবার্হী কমিটির সদস্য এবং গত ২০০৮ এর সংসদ নিবার্চনের ধানের শীষের প্রাথীর্ অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল, সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত সাবেক এমপি সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. আনিসুল হক ও ধমর্পাশা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল মোতালিব খান। জানা গেছে, এ আসনটি পুনরায় ধরে রাখার জন্য দুইবারের জনপ্রিয় বতর্মান এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, আওয়ামী লীগের নেতাকমীর্ ও সমথর্কদের নিয়ে হাওরের গ্রামে গ্রামে ঘুরে উন্নয়ন কাজ করে সভা, সমাবেশ, গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন ও শেখ হাসিনার উন্নয়ন বাতার্ মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন। অন্যদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক এমপি সৈয়দ রফিকুল হক সোহেল নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে দলীয় নেতাকমীের্দর সঙ্গে নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন তিন উপজেলা। দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে কোমর বেঁধেই নেমেছেন তিনি। তার সঙ্গে আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের একটি অংশ সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করছেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আবদুল হেকিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি রফিকুল হাসান চৌধুরী। তিনি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ত্যাগী নেতাকমীের্দর সঙ্গে নিয়ে দীঘির্দন ধরে নিবার্চনী এলাকায় গণসংযোগ ও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। বতর্মান সরকারের সাবির্ক উন্নয়ন কমর্কাÐের কথা জনসম্মুখে তুলে ধরছেন। এ আসনে অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম। তিনি হাওর অধ্যুষিত এ আসনটিতে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে দলীয় নেতাকমীের্দর সঙ্গে নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন নিবার্চনী এলাকা। তার সঙ্গে আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের একটি অংশ সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করছেন। এ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন চাইবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব বিনয়ভ‚ষণ তালুকদার। ইতোমধ্যেই তিনি নিবার্চনী এলাকায় গণসংযোগ করছেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এ ছাত্রলীগ কমীর্ চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবার্চন পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য হিসেবে প্রধানত সিলেট বিভাগের কাজ করেছেন । সুনামগঞ্জ-১ আসনে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তৃতীয় বারের মতো তার সমথর্ক ও দলীয় নেতাকমীর্ নিয়ে কোমর বেঁধে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন দীঘির্দন ধরে। জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহŸায়ক ড. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার, তিনি নিবার্চনী এলাকায় গণসংযোগ ও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছেন। বতর্মান এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, তিনি দুইবার নিবাির্চত হওয়ার পর এ আসনে যে পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে অতীতে এমন উন্নয়ন কেউ কখনো কল্পনাও করেনি। তিনি নিবাির্চত হয়ে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, বিদ্যুতায়ন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান, দরিদ্র ভ‚মিহীনদের ভ‚মিদানসহ সব ক্ষেত্রেই সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার যে যুগান্তকারী উন্নয়ন করছে তা সঠিকভাবে জনসাধারণের মধ্যে তুলে ধরছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নিবার্চনে এলাকার উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত করতে নৌকা প্রতীক নিয়েই নিবার্চন করবেন। সবাইকে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহŸান জানান তিনি। অন্য প্রাথীর্ সাবেক এমপি সৈয়দ রফিকুল হক সোহেল বলেন, তার আমলে যথেষ্ট পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে হাওর এলাকায়, স্মরণকালের অকাল বন্যায় সৃষ্ট দুযোের্গ ভাটি অঞ্চলের মানুষের পাশে বারবার গিয়ে সাহস জুগিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি তাকে মনোনয়ন দেন তাহলে তিনি নিবার্চনের জন্য প্রস্তুত আছেন। নিবার্চনী এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম বলেন, দলের জন্য জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন। তৃণমূলে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে শক্তিশালী অবস্থানে রেখেছেন। নিবার্চনী এলাকায় তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। তৃণমূল নেতাকমীর্ ও দলীয় সমথর্করা তাকে নিবার্চন করতে উজ্জীবিত করছেন। এ আসনে দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেত্রীর কাছে তিনি নৌকা মাকার্য় ভোট চাইবেন। সাবেক যুগ্ম সচিব বিনয়ভ‚ষণ তালুকদার বলেন, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবার্চন পরিচালনা কমিটির একজন সদস্য হিসেবে প্রধানত সিলেট বিভাগের কাজ করে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সুনামগঞ্জ-১ নিবার্চনী এলাকাসহ জেলা পযাের্য় নেতাকমীের্দর সঙ্গে যোগাযোগ সৃষ্টি হয়। এ সুবাদে সেখানকার সামাজিক উন্নয়ন কমর্কাÐে অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সফলতা, উন্নয়ন কমর্কাÐ ও সামাজিক নিরাপত্তা কমর্সূচিগুলোর বিষয়ে জনগণকে অবহিতকরণসহ জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১-৪১ বাস্তবায়নে কাযর্কর অংশগ্রহণের লক্ষ্যে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে আসছেন। স্মরণকালের অকাল বানে সৃষ্ট দুযোের্গ ভাটি অঞ্চলের মানুষের পাশে বারবার গিয়ে সাহস জুগিয়েছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি তাকে মনোনয়ন দেন তাহলে তিনি নিবার্চনের জন্য প্রস্তুত আছেন। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক রঞ্জিত সরকার বলেন, তিনি এলাকার ছেলে, এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। সবার সঙ্গেই যোগাযোগ হচ্ছে, সবাই তাকে গ্রহণ করছেন। তৃণমূলের মতামত নিলে তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে তৃতীয় বারের মতো কাজ করছেন। সবার দোয়া নিয়ে এবার নিবার্চনে নৌকা মাকার্ নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন, আশা করেন প্রধানমন্ত্রী এবার তাকে নিরাশ করবেন না। রফিকুল হাসান চৌধুরী বলেন, তার পিতা মরহুম আবদুল হেকিম চৌধুরী এ সুনামগঞ্জ-১ আসনে ৪ বার সংসদ সদস্য নিবাির্চত হয়েছিলেন। তিনি এ আসনের সবর্স্তরের জনগণের আজীবন খেদমত করে গেছেন। জনগণের সেবক হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন তিনি। সন্তান হিসেবে তিনি সারাজীবন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদশের্র রাজনীতি করে এসেছেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছেন। বতর্মান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দঁাড়িয়েছে। তারই একজন সৈনিক হয়ে বিগত সব জাতীয় নিবার্চনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে তিনি নিবার্চনী এলাকায় আজীবন কাজ করে আসছেন। কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার বলেন, তিনি নিজে থেকে নিবার্চনে আসতে চান না। জনগণ চায় তিনি নিবার্চন করেন। আগামী নিবার্চনে যদি নৌকা প্রতীক পান তাহলে তার ভোটাররা স্বতঃস্ফ‚তর্ভাবে তাকে ভোট দেবেন। তিনি বলেন, তিনি দীঘির্দন ধরে নৌকার জন্য কাজ করে আসছেন। আগামী নিবার্চনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্যই তার কাজ করা। আগামীতে সরকার গঠন করতে নৌকার জয় নিশ্চিত করার জন্য মাঠে কাজ করছেন বলে জানান তিনি। জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের আহŸায়ক ড. মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, তিনি দীঘির্দন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদশের্র একজন সৈনিক হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে আছেন এবং তৃণমূলের মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে আছেন। তাই তৃণমূলের মানুষের জীবন-মানের উন্নয়নে যদি নেত্রী তাকে মনোনয়ন দেন তাহলে তিনি আগামী জাতীয় নিবার্চনে প্রাথীর্ হয়ে সাধারণ মানুষের অবকাঠামো উন্নয়নে নিজেকে উৎসগর্ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অন্যদিকে বিএনপির নেতাকমীর্ ও সমথর্করা এ আসনটি উদ্ধারে মরিয়া হয়ে প্রচারণায় নেমেছেন। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এ মুহূতের্ দাবি একটাই ২০ দলীয় জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি নিজেকে এ আসনে বিএনপির যোগ্য প্রাথীর্ দাবি করে তিনি বলেন, এক-এগারোর পর তিনি এলাকায় থেকে দলীয় নেতাকমীের্দর নিয়ে দলীয় সব কমর্সূচিতেই অংশগ্রহণ করে আসছেন। এই জুলুমবাজ সরকারের আমলে সারাদেশে বিএনপি নেতাদের কোণঠাসা করে রাখলেও তিনি ডাক্তার রফিক চৌধুরী মাঠে আছেন এবং থাকবেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকমীর্রা দমিয়ে রাখার জন্য তাকেসহ দলের স্থানীয় আড়াই শতাধিক নেতাকমীের্ক আসামি করে ৩টি মিথ্যা মামলায় তাদের জেল খাটিয়েও দমিয়ে রাখতে পারেনি। ডাক্তার রফিক চৌধুরী বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যদি তার আমলনামা বিচার করে আগামী নিবার্চনে এ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেন এবং সুষ্ঠু নিবার্চন হয় তবে নিশ্চিত, এ আসনে তিনি বিজয়ী হবেন। তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালের নিবার্চনে তিনি দলীয় প্রাথীর্ হিসেবে এ আসনে নিবার্চনে অংশগ্রহণ করে প্রায় এক লাখ ভোট পেয়েছিলেন, যা জেলায় বিএনপির অন্য প্রাথীের্দর চেয়ে অনেক বেশি ছিল। ধমর্পাশা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল মোতালিব খান বলেন, সব সময় মূল ধারার সঙ্গে ছিলেন, এখনো আছেন। অতীতে যারা দলের ঘোর বিরোধিতা করেছেন আশা করেন কেন্দ্রীয় নেতারা বিষয়টি পযের্বক্ষণ করবেন। মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে আছেন। দলের স্বাথের্ প্রতিটি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় সংগঠন সুসংগঠিত করতে গণসংযোগ করছেন। খালেদা জিয়া তাকে এ আসনের প্রাথীর্ মনোনীত করলে এ আসন তাকে উপহার দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন ইনশাল্লাহ। তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, এ মুহূতের্ দাবি একটাই, ২০ দলীয় জোটনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি। ওয়ান-ইলিভেনের সংস্কারপন্থি নেতা নজির হোসেন বলেন, তার নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন, উনার নিদেের্শই দলের স্বাথের্ এলাকায় গণসংযোগ করছেন। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করছি দলকে চাঙ্গা করতে, তৃণমূল নেতাকমীর্ ও সমথর্করা আমাকেই প্রাথীর্ হিসেবে দেখতে চান। অতীতে তার উন্নয়ন কাজ ও যোগ্যতা অনুযায়ী এ এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে আর থাকবে সব সময়, এবার তৃণমূলে উৎসাহজনক সাড়া পাচ্ছেন। তিনি মনে করেন, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নিবার্চন করলে এ আসনে বিজয় সুনিশ্চিত। নজির হোসেন বলেন, তিনি দলকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে কাজ করলে এই আসনটিতে নিশ্চিত তারা বিজয়ী হবেন। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুল হক বলেন, গত বছর তিনি মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন, দলীয় নেতাকমীের্দর নিয়ে মাঠ সরব রেখেছেন। ইতিমধ্যে তিনি দলীয় চেয়ারপারসন দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে নিবার্চন করার সুযোগ চেয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের নিদেের্শ ক্ষতিগ্রস্ত হাওর অঞ্চলের মানুষের খেঁাজ নিয়ে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। সাধ্যমতো হাওরবাসীর পাশে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে আগামী সংসদ নিবার্চনকে সামনে রেখে এ আসনে সব আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ত্যাগী নেতাকমীের্দর সঙ্গে নিয়ে কাজ করছেন। তিনি আশা করেন, কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে মূল্যায়ন করবেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে