বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানবসম্পদ সূচকে ভারতের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

যাযাদি ডেস্ক
  ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

মানবসম্পদ উন্নয়নে কোন দেশ কতটা সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রাখে, তার বিচার করে বিশ্বব্যাংক গ্রæপ নতুন একটি সূচক প্রকাশ করেছে, যার লক্ষ্য হলো সরকারগুলোকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও কাযর্কর বিনিয়োগে উৎসাহিত করা।

বিশ্বব্যাংকের এ ‘মানবসম্পদ সূচক’ বলছে, এ মুহূতের্ বাংলাদেশ মানবসম্পদ উন্নয়নে ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় এগিয়ে আছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা।

এই সূচকে সবচেয়ে বাজে অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলো। বিশ্বব্যাংকের সদস্য ১৫৭ দেশের মধ্যে সবার পেছনে রয়েছে শাদ আর সাউথ সুদান।

শিশুদের আরও সম্ভাবনাময় করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে এশিয়ার দেশগুলো। সূচকের শীষের্ রয়েছে সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও হংকং।

একটি শিশুর শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা এবং টিকে থাকার সক্ষমতা বিচার করে ভবিষ্যতে তার উৎপাদনশীলতা এবং আয়ের সম্ভাবনা বোঝার চেষ্টা করেছে বিশ্বব্যাংক। এর ভিত্তিতেই তৈরি হয়েছে তাদের ‘মানবসম্পদ সূচক’, দেখানো হয়েছে একটি দেশের অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা।

পঁাচ বছরের কময় বয়সী শিশুমৃত্যু হার, শিশুদের স্কুলে যাওয়ার গড় সময়, শিক্ষার মান, প্রাপ্তবয়স্কদের অন্তত ৬০ বছর বয়স পযর্ন্ত টিকে থাকার হার এবং শিশুদের সঠিক আকারে বেড়ে ওঠার হার- এই পঁাচটি মানদÐ ব্যবহার করা হয়েছে সূচক তৈরির ক্ষেত্রে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি শিশু আদশর্ অবস্থায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার পূণর্ সুযোগ পেয়ে বেড়ে উঠতে পারলে পূণর্বয়স্ক হওয়ার পর তার উৎপাদনশীলতা যে অবস্থায় পেঁৗছানোর কথা, বাংলাদেশে জন্ম হলে তার উৎপাদনশীলতা হবে তার ৪৮ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতে এই হার ৪৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৯ শতাংশ, মিয়ানমারে ৪৭ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৫৮ শতাংশ আর নেপালে ৪৯ শতাংশ।

সূচকের শীষের্ থাকা দেশগুলোর মধ্যে সিঙ্গাপুরে এই হার ৮৮ শতাংশ, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮৪ শতাংশ।

কানাডায় এই হার ৮০ শতাংশ, জামাির্নতে ৭৯ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৭৮ শতাংশ, যুক্তরষ্ট্র ও ফ্রান্সে ৭৬ শতাংশ, রাশিয়ায় ৭৩, চীনে ৬৭ শতাংশ, তুরস্কে ৬৩ শতাংশ, ব্রাজিলে ৫৬ শতাংশ।

আর সূচকের তলানিতে থাকা শাদে এই হার ২৯ শতাংশ, সাউথ সুদানে ৩০ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বতর্মানে বাংলাদেশে পঁাচ বছরের বেশি বয়স পযর্ন্ত টিকে যাওয়া শিশুর হার ৯৭ শতাংশ। ভারতে এই হার ৯৬ শতাংশ, পাকিস্তানে ৯৩ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৯৯ শতাংশ।

বাংলাদেশে একটি শিশু ১৮ বছর বয়স হওয়া পযর্ন্ত গড়ে ১১ বছর স্কুলে কাটায়। ভারতের ক্ষেত্রে এই সময় গড়ে ১০.২ বছর, পাকিস্তানে ৮.৮ বছর, শ্রীলঙ্কায় ১৩ বছর।

এই শিক্ষার মান বুঝতে বিশ্বব্যাংক হারমোনাইজড টেস্ট স্কোর পদ্ধতি ব্যবহার করেছে, সেখানে বাংলাদেশের শিক্ষাথীের্দর স্কোর ৩৬৮। এই দানদÐে শ্রীলঙ্কার শিশুদের স্কোর ৪০০, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি। নেপালে এই স্কোর ৩৬৯, ভারতে ৩৫৫, পাকিস্তানে ৩৩৯।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে এখন যাদের বয়স ১৫ বছর, তাদের মধ্যে ৮৭ শতাংশের প্রত্যাশিত আয়ু হবে ৬০ বছরের বেশি। এদিক দিয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে একই কাতারে। ভারতে এই হার ৮৩ শতাংশ, পাকিস্তানে ৮৪ শতাংশ, নেপালে ৮৫ শতাংশ।

বাংলাদেশে প্রতি ১০০ শিশুর মধ্যে ৬৪ জন কোনো ধরনের শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বেড়ে ওঠে। ভারতে এই সংখ্যা ৬২, পাকিস্তানে ৫৫, শ্রীলঙ্কায় ৮৩। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে চলমান বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফ বাষির্ক সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিশ্বব্যাংক গ্রæপের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম বলেন, এই সূচকে উন্নতির জন্য দেশগুলো স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে মনোযোগী হবে বলে তিনি আশা করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<17113 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1