বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আসামি ছিনতাই মামলায় সোহেল ৫ দিনের রিমান্ডে

যাযাদি রিপোটর্
  ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আপডেট  : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:১৭
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল Ñফাইল ছবি

পুলিশের গাড়িতে হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে পঁাচ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। গত জানুয়ারি মাসে শাহবাগ থানার দায়ের করা ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করলে ঢাকার মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা এই অনুমতি দেন। মামলার তদন্ত কমর্কতার্ গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবদুল করিম বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিবকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। গত ৩০ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরার দিনে প্রেস ক্লাবের কাছে বিক্ষোভরত বিএনপিকমীের্দর কয়েকজনকে পুলিশ আটক করলে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়া হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি সোহেল ওই হামলার মদদদাতা ছিলেন বলে আদালতে দেয়া পুলিশ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুনীির্তর মামলার রায়ের আগের এই সংঘষের্র ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা আরেকটি মামলায় সোহেলের রিমান্ড শুনানি হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেলকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে অধর্শতাধিক মামলার আসামি সোহেলকে দীঘির্দন ধরেই খুঁজছিল পুলিশ। শান্তিনগরে তার বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশিও চালানো হয়েছে। তবে এর মধ্যেও দলীয় বিভিন্ন কমর্সূচিতে অংশ নিচ্ছিলেন সোহেল। গত ১ সেপ্টেম্বর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ের সামনে জনসভাতেও তাকে দেখা গিয়েছিল। আদালতে সোহেলের আইনজীবী নুরুজ্জামান তপন দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত বিএনপি নেতাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে। জাতীয় নিবার্চনের আগে তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সরকারের একটি মহল এই কাজ করেছে। মামলা হয়েছে ১২৯ দিন আগে। এতদিনে তাকে কেন ধরা হলো না? তিনি তো প্রকাশ্যেই ছিলেন। এখন ধরার পেছনে উদ্দেশ্য আছে। অন্য কারণ আছে। এতদিনেও মামলার তদন্ত শেষ না হওয়াকে ‘পুলিশের ব্যথর্তা’ হিসেবে দেখান সোহেলের আইনজীবী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে