শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

করোনায় আরও ৫৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩০২৭ জন

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৮ জুলাই ২০২০, ০০:০০

একদিনে আরও ৫৫ জনের মৃতু্যর মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ১৫১ জন। মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ২৭ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জনে। আইডিসিআরের 'অনুমিত' হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৯৫৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। তাতে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল মোট ৭৮ হাজার ১০২ জনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা মঙ্গলবার দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ, তা দেড় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২ জুলাই। সেদিন ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ। আর ১৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃতু্যর খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ জুলাই তা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন একদিনেই ৬৪ জনের মৃতু্যর খবর জানানো হয়, যা একদিনের সর্বোচ্চ মৃতু্য। নাসিমা সুলতানা বলেন, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৪৬ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৯ জনের এবং বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১৫ জনের মৃতু্য হয়েছে। একজন হাসপাতালে মৃত অবস্থায় এসেছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন ঢাকা বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ৭ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন রংপুর বিভাগের, ২ জন বরিশাল বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এই ৫৫ জনের মধ্যে একজনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। এছাড়া ৬ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ২১ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছিল। দেশে এ পর্যন্ত যে ২ হাজার ১৫১ জন করোনাভাইরাসে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১ হাজার ৭০৩ জন পুরুষ এবং ৪৪৮ জন নারী। তাদের মধ্যে ৯৪০ জনের বয়স ছিল ষাটের বেশি; আর ১৩ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের নিচে। এছাড়া ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৭১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৫৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩২৩ জন এবং ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৬২৪ জনের মৃতু্য হয়েছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। বুলেটিনে জানানো হয়, ঢাকার আহছানিয়া মিশন ক্যানসার হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব চালু হওয়ায় দেশে এখন ৭৪টি গবেষণাগারে কোভিড-১৯ এর নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। এসব পরীক্ষাগারে গত একদিনে ১৩ হাজার ১৭৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে; এ পর্যন্ত দেশে পরীক্ষা হয়েছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮০টি নমুনা। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৪৬ দশমিক ৩১ শতাংশ, মৃতু্য হার ১ দশমিক ২১ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে