পরিবারকে সময় দিচ্ছি...
কয়েকদিন ধরে বাসাতেই আছি। এমনিতেও পরিবারের মানুষগুলোকে সময় দিতে পারি না। সকালে বের হই, রাতে আসি। এখন যেহেতু বাসায় থাকার একটি কারণ তৈরি হয়েছে, তাই পরিবারের মানুষগুলোকে সময় দিচ্ছি। সবার সঙ্গে গল্প করছি। টেলিভিশন দেখছি। বন্ধুদের সঙ্গে সময় নিয়ে ফোনে কথা বলতে পারছি। বলতে পারেন, সব মিলিয়ে ভালোই সময় কাটছে আমার।
\হ
কাজ নাও হতে পারে...
বর্তমান পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, আন্দাজ করা মুশকিল। হয়তো শিগগিরই ঠিক হবে। তবে এর প্রভাব কিন্তু রয়ে যাবে। বিশেষ করে শোবিজ অঙ্গনে। এবারের কথাই ধরুন, এই সময়টা নাটকের মৌসুম। কিন্তু এখন শুটিং লোকেশনগুলো শূন্য। আমরা ঘরে বসে আছি। যদি এ মাসেও এ অবস্থার উন্নতি না হয়, আগামী মাসে গিয়ে কয়টা নাটক বানানো যাবে? হয়তো তাড়াহুড়া করে হাতে গোনা কয়েকটা নির্মাণ হবে। আদতে ভালো কিছুই হবে না। আমি তো ধরেই রেখেছি, এবারের ঈদে কোনো নাটকের কাজই হবে না। যদি দু-একটা হয়, সেটা ভালো।
এখনো সময় আছে...
আমি সবাইকে বলব, এখনো সময় আছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হবেন না। কয়েকটা দিন সতর্কতার সঙ্গে ঘরে থাকলেই এ দুর্যোগ মোকাবিলা করা আমাদের জন্য সহজ হবে। নাহলে এর ভয়াবহতা মারাক্তক রূপ নেবে। যদি ঘরে থাকতে থাকতে একঘেয়ামি চলে আসে, ইউটিউবে নাটক দেখুন, বই পড়ুন। তাও অযথা রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার দরকার নেই।
ওয়েবের গল্প ভালো...
প্রয়োজনে ওয়েব সিরিজ দেখুন। ওয়েব সিরিজেও ভালো মানের গল্প নিয়ে কাজ আছে। আমি নিজেও পাঁচটির ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছি। তার মধ্যে 'এডমিশন টেস্ট', 'আনমেরিট ওয়াইফ' ওয়েব সিরিজে দর্শকদের সাড়া ছিল আকাশচুম্বী। বিজ্ঞাপনে অতিষ্ঠ হয়ে অনেকেই টিভিতে নাটক দেখার বিষয়টি এড়িয়ে যান। ফলে ওয়েব সিরিজ বা ইউটিউব নির্ভর কাজগুলো বেশি জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আমি ওয়েব সিরিজকে ইতিবাচক হিসেবেই মূল্যায়ন করছি। এখন যেহেতু ঘরে থাকাটা জরুরি, তাই বিনোদনের খোরাক হিসেবে ওয়েবে চোখ রাখতে পারেন।