শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিডিউলজট শঙ্কায় ঈদ নাটকের শিল্পী ও কলাকুশলীরা

বিনোদন রিপোর্ট
  ২৪ মার্চ ২০২০, ০০:০০
ঈদের জন্য নির্মিতব্য 'উচ্চতর ভালোবাসা' নাটকে মোশাররফ করিম ও মম

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থবির পুরো বিশ্ব। বন্ধ আছে শুটি, ছবি মুক্তি ও স্টেজ শো। এ অবস্থায় গত বুধবার সব ধরনের টিভি নাটকের শুটিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ডিরেক্টর গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘের প্রতিনিধিরা। এ নিষেধাজ্ঞা চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তবে দিনকে দিন পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নির্মাতাদের কপালে। তবে অভিনয় শিল্পীরাও কম দুশ্চিন্তায় নেই। করোনার স্থায়িত্বকাল কতদিন, সে চিন্তা না করেই শিউিউল মেলাবেন কীভাবে- এ নিয়ে এখনই হিসাব-নিকাশে নেমেছেন কেউ কেউ। অনেকে আবার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিকল্প কিংবা গোপনে শুটিং করার পরিকল্পনাও করছেন। এদিকে গোপন শুটিংয়ের খবর শুনে কড়া হুঁশিয়ারি জারি করেছে নাটকের প্রধান তিন সমিতি। ওদিকে আবার অনেক নির্মাতাই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নাটক প্রচারের দিন-ক্ষণও ঠিক করে রেখেছেন। সবমিলিয়ে টাল-মাটাল এক অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।

এক মাস পরেই রোজার ঈদ, তার আগে স্বাধীনতা দিবস ও পহেলা বৈশাখ। নাট্যপাড়ায় এ সময়টাতে সবচেয়ে বেশি নাটক নির্মাণ হয়। এক ঈদেই নির্মাণ হয় পাঁচ শতাধিক নাটক। ফলে মার্চের প্রথম থেকেই পুরোদমে শুরু হয়েছিল এসব নাটকের শুটিং।

নির্মাতাদের পাশাপাশি অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও আছেন উদ্বেগ ও আতঙ্কের মধ্যে। ইতোমধ্যে কেউ কেউ আছেন হোম কোয়ারেন্টিনে। কেউ আবার আগেই স্বেচ্ছায় সব ধরনের শুটিং প্যাকআপ করেছেন সতর্কতার জন্য। এর মধ্যে অভিনেতা মোশাররফ করিম, তাহসান খান অন্যতম।

বেশ কয়েকজন অভিনেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিষয়টি নিয়ে তারাও বেশ চিন্তিত। কারণ, নির্মাতাদের পুনরায় শিডিউল দিতে গেলে, আরেকজনের শিডিউল স্থগিত করতে হবে। ফলে ঈদের আগ মুহূর্তে বেশ জটিলায়ই পড়তে হবে তাদের।

এদিকে, শিডিউল জট ঠেকাতে কেউ কেউ লুকিয়ে শুটিং করার প্রস্তুতিও নিেেচ্ছন। গতকাল সোমবার উত্তরার আপনঘর শুটিংবাড়িতে এমন ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে টিভি সংগঠনের নেতারা দ্রম্নত শুটিং বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পরে একটি দৃশ্যের শুটিং বাকি রেখেই শুটিং বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় ওই শুটিং ইউনিট। এ বিষয়ে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সাজু মনতাসির বলেন, 'আমরা শুনেছি, দরজা-জানালা বন্ধ করে একটি টিম শুটিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আমরা শোনামাত্র সেটা বন্ধ করে দিয়েছি। এরপরও যদি কোনো শুটিং হয়, তাহলে আমরা সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেব। মানুষ করোনা নিয়ে আতঙ্কিত। যারা উৎসাহী, তাদের বিবেকের কাছে জিজ্ঞাসা করব, তারা কেন শুটিং করছেন। সারাদেশের মানুষ সতর্ক। মানুষ তারকাদের অনুসরণ করে। নিয়ম ভেঙে তারাই যদি বাড়ির বাইরে জমায়েত হন, শুটিং করেন, তাহলে বোঝা যায় আমরা কতটা বিবেকহীন।' যদিও মন্দিরা নামে উত্তরার আরও একটি শুটিংবাড়িতে করোনা প্রতিরোধে সচেতনতা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করা হয়। প্রয়োজনীয় বিবেচনায় সেই শুটিংটি করতে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

তবে ঈদের আগ মুহূর্তে বড় ধরনের শিডিউল জট বেঁধে গেলে অনেকেই চটজলদি কাজ সারতে চাইবেন। এসবের প্রভাব পড়বে পর্দায়। এমনকি দ্রম্নত কাজ করতে গিয়ে অনেকই মানসম্মত কাজ উপহার দিতেও ব্যর্থ হবেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন নাট্যসংশ্লিষ্টরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<93841 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1