অনুপ্রেরণা ...
ছোট থেকেই মা-বাবা ও দিদার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে বড় হয়েছি। হয়ত স্বচক্ষে যুদ্ধ দেখিনি, তবে গল্পে গল্পে মনের মধ্যে যুদ্ধের ভয়াবহের চিত্র এঁকেছি। ব্যক্তিগত এই উপলব্দি আমার অভিনীত চরিত্রকে প্রভাবিত করেছে। সত্যি বলতে, আমার সৌভাগ্য একাধিকবার মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি।
ভীতু মেয়ে আসমা ...
'মেঘমলস্নার' চলচ্চিত্রটি আমার কাছে বিশেষ কিছু। আমি শুনেছি, কোথাও কোথাও মুক্তিযুদ্ধ বিষয় পড়ানোর সময় এই ছবিটি রেফারেন্স হিসেবে দেখানো হয়। আমার ভালো লাগে। চরিত্র একদম সাদামাটা পরিবারের। যে তার স্বামী-সন্তান ও ছোট ভাইকে নিয়ে সারাক্ষণ টতস্থ থাকে। সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকের এত সাড়া পেয়েছিলাম, তা ভুলবার নয়।
সাহসী মেয়ে ফরিদা ...
'ভূবন মাঝি' ছবির ফরিদা চরিত্রটি করতে গিয়ে মনে হয়েছে, এটি আমিই। মঞ্চে কাজ করি। যুদ্ধে যেতে বন্ধুদের সাহস জোগাই। একেবারে গ্রামের সাহসী মেয়ে। যার মনের মধ্যে দেশপ্রেম ছাড়া আর কিছুই নেই। ইতিহাস ও প্রেম, বিদ্রোহ ও মানবিকতা, স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি- এসব নিয়েই গড়ে ওঠেছে ভূবন মাঝির গল্প।
হাওয়া বদল ...
আগে অবসর সময় আমরা টেলিভিশন দেখতাম, এখনকার ছেলে-মেয়েরা কিন্তু অবসরে তা দেখা না। মোবাইল আর ইন্টারনেট নিয়ে পড়ে থাকে। সুতরাং আমাদের কনটেন্টগুলো তাদের হাতে না পৌঁছে দিলে তারা দেখবে কিভাবে? তাই ডিজিটাল পস্নাটফর্মভিত্তিক কাজগুলোকে আমি সাধুবাদ জানাই।
গত বছর বাংলাফিক্সের জন্য একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছিলাম। কাজটি করে ভালোই লেগেছিল। ব্যাপক সাড়াও পেয়েছিলাম। আসলে আমরা কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল পস্নাটফর্মের দিকে যাচ্ছি। আমাদের দর্শকরাও ইদানীং ডিজিটাল পস্নাটফর্মমুখী হচ্ছে। ওয়েব সিরিজ বা ডিজিটাল পস্নাটফর্মের জন্য নির্মিত সব ধরনের কাজকেই ইতিবাচক মনে করি।