সৌভাগ্য...
এবার 'পুত্র' সিনেমায় অভিনয় করার জন্য আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি। একজন শিল্পীর জন্য এটা রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে এমন একটি পুরস্কার গ্রহণ করতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। এটা কতটা সৌভাগ্যের, কতটা গর্বের- তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। একটা সময় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলে বাবা খুশি হতেন। এখন আমার দুই মেয়ে খুশি হয়। নিজেকে তখন সার্থক মানুষ বলে মনে হয়। তাই এমন পুরস্কার পাঁচবার কেন, বার বার পেতে চাই।
পাঁচবার...
সংখ্যাটা আমার কাছে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। সত্যি বলতে, প্রথমবার যখন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাই, তখনই দ্বিতীয়বার পাওয়ার লোভ জন্মে। আমার মধ্যে এক ধরনের ভালো কাজ করার তাগিদ জন্মে। নিজ থেকেই চিত্রনাট্য খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতাম। অভিনয়ের প্রতি আরও যত্নশীল হয়েছি। আবার যখন দ্বিতীয়বার পেলাম, তখন তৃতীয়বার পাওয়ারও লোভ জেগেছে। সংখ্যাটা এভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সব কিছুর নেপথ্য কারণ ছিল ভালো কাজের স্পৃহা।
উপস্থাপনাও...
এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে আমি ও পূর্ণিমা একসঙ্গে উপস্থাপনা করেছি। এটা আমাদের জন্য বাড়তি পাওয়া। বিশেষ করে আমার জন্য। আগে শুধু পুরস্কার গ্রহণ করতেই মঞ্চে উঠেছি, এবার উপস্থাপনাও করেছি। আমাকে এমন একটি সুযোগ দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।
অটিজম নিয়ে...
'পুত্র'র পুরো টিমকে ধন্যবাদ জানাই, কারণ অটিজমের মতো বিষয় নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করে তা দর্শকের সামনে তুলে ধরেছে। আমি যতোগুলো সিনেমার জন্য পুরস্কার পেয়েছি সবগুলোই কোনো না কোনোভাবে সমাজ সচেতনতামূলক চলচ্চিত্র। আমি কখনোই জুটি প্রথায় বা নাম্বার ওয়ান হতে হবে এই রীতিতে বিশ্বাসী ছিলাম না। দেশের জন্য, দেশের মানুষের কাজে লাগে এমন সিনেমা করেছি। তবে কিছুতো বিনোদনমূলক ছিলই। আগামীতে আরও পুরস্কার চাই এটা সত্যিই। তবে পুরস্কারের চেয়ে দর্শকের ভালোবাসাটাই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের কারণেই আমি আজকের ফেরদৌস।
এবং আরও...
'গাঙচিল' ও 'জ্যাম' সিনেমার কাজ প্রায় শেষের দিকে। দুটোতেই আমার বিপরীতে আছেন পূর্ণিমা। এছাড়াও সম্প্রতি লন্ডনে জি এম ফুরুকের 'যদি আরেকটু সময় পেতাম' সিনেমার কাজ শেষ করেছি। মাহমুদ দিদারের 'বিউটি সার্কাস' ও অরণ্য পলাশের 'গন্তব্য' সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি নিয়মিত বিজ্ঞাপন ও উপস্থাপনা করছি।