মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

স্টেজ শো'র টাকা গরিব অসহায়দের জন্য ব্যয় করব

ফেরদৌস ওয়াহিদ। প্রখ্যাত এই সংগীতশিল্পী 'পপস্টার' বলে খ্যাত। আধুনিক বাংলা গানের পথপ্রদর্শক বলেও আখ্যায়িত করা হয় তাকে। ছেলেবেলায় রবীন্দ্রসংগীত ও পলিস্নগীতির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও ৮০'র দশকে পপগান দিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। মূলত এলভিস প্রিসলি, টম জোন্সের মতো শিল্পীদের গান ও অনুষ্ঠান দেখে তিনি খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন এবং একই আদলে বাংলায় পপগান করতেন। চলনে-বলনে এমনকি ফ্যাশনে এখনো যেন তরুণ ৬৭ বছর বয়সি এই তারকা। গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেও আলোচনায় এসেছেন তিনি। তবে চলতি বছরে হঠাৎ করে গান ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে ভক্ত ও সংগীতানুরাগীদের হতাশ করেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। তিনি জানান- ২০২০ সাল থেকে আর গান গাইবেন না। ক্যারিয়ারের শেষ সময়ে নিজের অসমাপ্ত কাজ নিয়ে ব্যস্ত তিনি। বিস্তারিত কথা হলো তার সঙ্গে...
নতুনধারা
  ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০
ফেরদৌস ওয়াহিদ

এইসব দিন রাত্রি...

আগের তুলনায় ব্যস্ততা অনেক কম। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, গল্প, আর গানে গানে সময় পার হচ্ছে বর্তমানে। এই বছরেই ২২টি গানের কাজ শেষ করব। আজ (বুধবার) থেকে বিক্রমপুরের শ্রীনগরের আশপাশে ২২টি গানের মধ্যে পাঁচটি গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। পাঁচটি গানই নিজের লেখা ও সুর করা। বাকি ১৭টি গানের সুরও তার করা। সবগুলো গানের সঙ্গীতায়োজন করেছেন মোশাররফ আজমী। আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই পাঁচটি গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত থাকব। এরপর বাকি গানগুলোর কাজ শেষ করব। চলতি বছরেই সঙ্গীতময় জীবন শেষ করব।

সম্মান নিয়ে থাকতে চাই...

সত্যি বলতে কী একটা বয়সে এসে সংগীতশিল্পীরা আর গাইতে পারেন না। শ্রোতা-দর্শকরা আমাকে ছুড়ে ফেলার আগেই আমি নিজেই সেখান থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছি। আশা করছি আমার ভক্তরা যেন তাতে কোনো কষ্ট না পান। কারণ আমি সম্মান থাকতেই বিদায় নিতে চাচ্ছি। কিন্তু এরপরও যদি কেউ আমাকে দিয়ে স্টেজ শো করাতে চান, তাহলে শো প্রতি আমাকে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। সেই টাকা আমি অসহায় গরিবদের জন্য ওয়াহিদ ফাউন্ডেশনে জমা রাখব। গরিব অসহায়দের জন্য সেই টাকা ব্যয় করব। এক গস্নাস কোমল পানীয় খাওয়ার চেয়ে আমার কাছে এক গস্নাস ঝরনার পানি ভীষণ তৃপ্তিকর।'

চলছে তিনটি চলচ্চিত্রের কাজ...

একসঙ্গে তিনটি চলচ্চিত্রের কাজ চলছে। ওয়াহিদ মুভিজ প্রযোজিত এ চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে 'দুর্ধর্ষ অভিযান', 'নিলাম' ও 'ইছামতি'। তিনটি সিনেমারই পঞ্চাশ ভাগ করে কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি চলচ্চিত্রই পরিপূর্ণ বিনোদন দেবে দর্শককে। গল্প ও গানই আমার চলচ্চিত্রের মূল উপাদান। তাছাড়া নির্মাণশৈলী, লোকেশনেও ভালোলাগার আবেশ রয়েছে।

স্ত্রীই আমার অনুপ্রেরণা...

'আমার আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনে যার অবদান কিংবা অনুপ্রেরণা সবচেয়ে বেশি তিনি আর কেউ নন, আমার সহধর্মিণী রোকসানা ওয়াহিদ। সারারাত গল্প করার মতো বন্ধু একজনই সে হচ্ছে স্ত্রী। আর স্ত্রী যদি প্রেমিকা হয়, তাহলে সুখের সীমা থাকে না। সে আমার প্রেমিকা, স্ত্রী, বন্ধু- সবই।

প্রিয় গান...

\হঅনেক গানই প্রিয়। প্রথম পেস্নব্যাক করি দেওয়ান নজরুল পরিচালিত 'আসামি হাজির' সিনেমায়। পরিচালকের লেখা ও আলম খানের সুর সংগীতে সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে 'আমার পৃথিবী তুমি' গানটি করেন। সিনেমায় তার আলোচিত গান হচ্ছে 'ওগো তুমি যে আমার কত প্রিয়', 'আমি এক পাহারাদার', 'শোন ওরে ছোট্ট খোকা', 'আমি ঘর বাঁধিলাম' ইত্যাদি। সিনেমার বাইরের আলোচিত গান হচ্ছে 'মামুনিয়া', 'আগে যদি জানতাম', 'এমন একটা মা দে না'। আবার নিজের প্রিয় গান হচ্ছে 'এমন একটা মা দে না', 'আগে যদি জানিতাম', এবং 'মামুনিয়া'। গানগুলো মাঝে মাঝে হৃদয়ে নাড়া দেয়।

ভালো লাগে হাবিবের সঙ্গে গান করতে...

একসঙ্গে অনেক অনুষ্ঠানে ছেলে হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গে গান করেছি। খুব মজা পাই তার সঙ্গে গান গাইতে। তার সুর সঙ্গীতেও অনেক গান গেয়েছি। অনেক প্রশংসাও পেয়েছি সেসব গানে। আগামী ২৯ নভেম্বর রাজধানীতে একটি কনসার্টে একসঙ্গে গান পরিবেশন করব আমরা। মনে হয়, সেটাই আমাদের শেষ কনসার্ট হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<76366 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1