স্বাধীনতা তুমি...
রুম্মান রশীদ খানের রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন নাজমুল রনি। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তানজিন তিশা। এ নাটকের মাধ্যমে নির্মাতা রনি বর্তমান প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা দিবসের একটি আলাদা বার্তা দিতে চেয়েছেন। জাতীয় সংগীত, স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ নিয়ে বেশকিছু তথ্য উপস্থাপন করেছেন। এতে আমার চরিত্রে নাম থাকে শুদ্ধ। আমি একটি প্রজেক্টের কাজে বিদেশ থেকে দেশে এসেছি। পরদিনই মহান স্বাধীনতা দিবস। এভাবেই শুরু হয় নাটকের গল্প। কাজটি করেও ভালো লেগেছে।
অন্যান্য নাটক...
হাবিবুর রহমান হাবিবের পরিচালনায় হ্যামেলিনের গানওয়ালা, মেহেদী হাসান রনির লাস্ট গুডবাই, কে এম নাঈমের পরিচালনায় আই হ্যাট লাভ, ইমরুল রাফাতের পরিচালনায় 'টাইম পাস' নাটকের কাজ শেষ করলাম। এ ছাড়া ঈদের বেশকিছু নাটকের কাজ আছে। শিগগিরই এসব নাটকের কাজ শুরু হবে।
চরিত্র বাছাই...
দু'চারটা নাটকে কাজ করলাম, হিট হলো, বছর পাঁচেক পরে মানুষ আমাকে ভুলে গেল। এমন অভিনেতা হতে চাই না। আর একই ধরনের চরিত্রে বারবার অভিনয় করতে চাই না। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। হাতে কোনো চিত্রনাট্য এলেই চরিত্রগুলো নিয়ে পড়াশোনা করি। সে জন্যই দর্শক 'অলটাইম দৌড়ের উপর', 'ল্যান্ড ফোনের দিনগুলোতে প্রেম' এখনো দেখে। আমাকে ভালোবাসে। ক্ষুদ্র এই অভিনয়জীবনে সৌভাগ্য হয়েছিল হুমায়ূন আহমেদ স্যারের গল্পে 'আজ জুরির বিয়ে' শিরোনামে একটি নাটকে কাজ করার। বেশি কিছু চাই না, শুধু ভালো ভালো চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। যেমন একজন অটিস্টিকের চরিত্রে, একজন পাগলের চরিত্রে একজন ধর্ষকের চরিত্রে অভিনয় করতে চাই।
বর্তমান নাটকের মান...
নাটকের মান খারাপ হচ্ছে এ কথা বলার অবকাশ নেই। হয়তো মানুষ টিভিতে নাটক কম দেখছে, এটা আমাদের ব্যর্থতা না। চ্যানেল মালিকদের ব্যর্থতা। নাটক থেকে দর্শকরা যে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি, তার প্রমাণ মেলে ইউটিউবের দিকে তাকালেই। লাখ লাখ ভিউ হয় একেকটি নাটকে। তাদের কাছে ভালো লাগে বলেই তারা দেখে। আর টিভিতে চলিস্নশ মিনিটের একটি নাটকে বিজ্ঞাপন দেয় এক ঘণ্টা। মানুষ দেখবে কীভাবে!