আজকের যায়যায়দিন

‘আব্বাস ও টু’ অন্যান্য...

সম্প্রতি কলকাতার দুটি ছবির শুটিং শেষ করলাম। মেহের আফরোজ শাওনের সঙ্গে দেশের বাইরে থেকে ঘুরে এলাম। ফিরেই কাজে ফিরলাম আবার। দেশে এসে পরিচালক সাঈফ চন্দনের ‘আব্বাস ও টু’ ফাইট দৃশ্যের শুটিং করছি। আমার বিপরীতে কাজ করছেন মডেল ও চিত্রনায়ক নিরব। ছবিটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ ছাড়াও কয়েকটি ছবি নিয়েও কথা চলছে। নতুন বছরে কাজগুলো শুরু করব।

ছোটপদার্ বনাম বড়পদার্...

একজন অভিনয়শিল্পীর কাছে অভিনয়ই হলো সবচেয়ে বড় কিছু। হোক সেটা বড়পদার্ কিংবা ছোটপদার্। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে ছোট পদার্র চেয়ে বড় পদার্য় বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হয়। বড় পদার্য় কাজ করতে এসে অনেক লোকের সমাগম, লাইট-ক্যামেরা সব কিছুই বড় পরিসরে। এ জন্য চলচ্চিত্রে কাজ করতে অন্যরকম একটা অনুভ‚তি কাজ করে মনে।

শাবনূর হয়ে উঠতে ত্রিশ বছর লেগেছে

আস্থার জায়গা...

চিত্রনায়িকা কবরী আপার পরিচালনায় ‘আয়না’ চলচ্চিত্র দিয়ে অভিষেক হয় আমার। পরে ‘খেলাঘর’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘প্রিয়তমেষু’, ‘বৃহন্নলা’র মতো বড় বড় ছবি করার পর আমার অভিনয়ের আস্থা আরও বেড়ে যায়। চলচ্চিত্রই আমার আস্থার জায়গা মনে এখন। অনেক কিছু পেয়েছি চলচ্চিত্র থেকে। তবে আমার কোনো অপ্রাপ্তি নেই।

চলচ্চিত্রের চলমান পরিবেশ...

আমরা সবাই জানি, বতর্মানে আমাদের চলচ্চিত্রের পরিবেশ খুব একটা ভালো নেই। বলতে চাচ্ছি, চলচ্চিত্রপাড়া এখন বিজ্ঞাপন পাড়ায় পরিণত হয়েছে। এফডিসির প্রায় ফ্লোরই বিজ্ঞাপন আর টিভি অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেয়া হয়েছে। আর আমরা শুটিং করছি পুরান ঢাকায় এসে। বিষয়টা লজ্জাজনক। আর বাকি যারা আছেন তারা তো সমিতিতে চেয়ার নিয়ে বসে আছেন। এভাবে চলতে থাকলে দিনের পর দিন চলচ্চিত্র এমনিতেই হারিয়ে যাবে।

যেভাবে কাটলো ২০১৮...

ভালো-মন্দ মিশিয়েই কেটে গেল বছরটি। প্রত্যাশা অনুযায়ীই প্রাপ্তি মিলেছে। কোনো আক্ষেপ ছিল না। আগামী বছরটিও আরও গুছিয়ে চলতে চাই। ইচ্ছে আছে, নতুন বছরে ছোট পদার্র পাশাপাশি চলচ্চিত্র নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকার। ভক্ত এবং পাঠকদের বলি, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। যেন অনেক ভালো থাকতে পারি আর আপনাদের ভালো কাজ উপহার দিতে পারি। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।