সবকিছু প্রায় গোছগাছ থাকলেও পরিচালকের শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে শাকিব খানের ‘বীর’ ছবিটি। এই ছবির মাধ্যমেই প্রথমবার কাজী হায়াৎ-এর কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দীঘর্ কয়েক বছর ধরেই হৃদরোগ ও শরীরের বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক কাজী হায়াৎ। চলতি বছরের শুরুতে নিউইয়কের্র মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। তখন কিছুটা ভালো বোধ করলেও সম্প্রতি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। জানালেন শরীরে রক্তচাপে সমস্যা হচ্ছে। তাই দ্রæতই দেশের বাইরে যাবেন খ্যাতিমান এ পরিচালক।
কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আমার শরীরের অবস্থা ভালো নয়। বেশ কয়েক দিন ধরে শরীরে বøাড সাকুের্লশনের সমস্যা হচ্ছে। ঘাড়ের দিকে ফুলে যাচ্ছে। ডাক্তার বলেছেন, মাথায়ও বøাড সাকুের্লশন কম হচ্ছে। আবারও জরুরিভাবে একটি বাইপাস সাজাির্র করাতে হবে। এখন আমার প্রয়োজন সরকারের সহযোগিতা। কারণ এত টাকা খরচ করে চিকিৎসা করানোর মতো অবস্থা আমার নেই। আমি বঁাচতে চাই, বঁাচার জন্য সহযোগিতা চাই।’
কাজী হায়াৎ আরও বলেন, ‘জাপান, আমেরিকা বা সিঙ্গাপুরে এই চিকিৎসাটা ভালো হয়। আমি আমেরিকায় চিকিৎসা করাতে চাই। সেখানে আমার ছেলে রয়েছে। আবার চিকিৎসা খরচও তুলনামূলকভাবে সেখানে কম।’
এদিকে শাকিব খানকে নিয়ে ‘বীর’ শিরোনামে একটি চলচ্চিত্রের আগামী মাস থেকে শুটিং শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরিচালকের অসুস্থতার কারণে সেই ছবির শুটিং এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে পরিচালক কাজী হায়াৎ বলেন, ‘এখনো বলতে পারছি না, কবে থেকে কীভাবে শুটিং শুরু করব। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আমি আমেরিকা যাব, তার আগে শাকিব খানের ছোটবেলার অংশ শুটিং করে যাব ভাবছিলাম। আমেরিকা থেকে ফিরে ১০ জানুয়ারি থেকে বাকি শুটিং করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এখন শরীরের যে অবস্থা, তাতে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।’
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে হৃৎপিÐে দুটি রিং বসানো হয়েছিল প্রখ্যাত এই চলচ্চিত্র নিমার্তার। এরপর ২০০৫ সালে ওপেন হাটর্ সাজাির্র করা হয় কাজী হায়াৎ-এর। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে আবারও হৃৎপিÐে সমস্যা দেখা দিলে বরেণ্য এই নিমার্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তারপর চলতি বছর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান পান কাজী হায়াৎ।