প্রধানমন্ত্রীর প্রতি জাভেদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
বিনোদন রিপোর্র্ট
দেশীয় চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান তারকা ও নৃত্যপরিচালক ইলিয়াস জাভেদ বিগত বেশ কিছুদিন ধরে গুরুতর অসুস্থাবস্থায় দিন যাপন করছেন। মূত্রথলিতে টিউমার থেকে তা ক্যান্সারের পর্যায়ে রূপান্তরিত হয়ে যাওয়ায় দেড়মাস আগে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে ডা. সাব্বির আহমেদ খান তার অপারেশন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে জাভেদ ও তার পরিবার ভীষণ আর্থিক সংকটে পড়ে যান বলে জানান জাভেদের সহধর্মিণী ডলি জাভেদ। জাভেদের পরিবার আর্থিক সংকটে অন্যদিকে দেশ তখন করোনা মহামারির ভীষণ সংকটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার বিপর্যয় থেকে দেশকে, দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য দিন-রাত তখন ব্যস্ত। কিন্তু এমন ব্যস্ততার মধ্যেও যখন জাভেদের আর্থিক সংকটের কথা অবগত হলেন তখন জাভেদের পাশে এসে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী। গেল ১৯ মে দেশের এমন মহাসংকটের মাঝেও জাভেদ ও তার পরিবারের হাতে তুলে দিলেন নগদ দশ লাখ টাকা। আর্থিক সংকটের কারণে জাভেদ ও তার পরিবার যখন ভীষণ হতাশায় নিমজ্জিত ঠিক তখনই প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন বড় অংকের আর্থিক অনুদান পেয়ে যেন প্রাণ ফিরে পেল জাভেদের পরিবার।
প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে জাভেদ বলেন, 'আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সত্যিকারের একজন মমতাময়ী মা তা আমি এবং আমার পরিবার আবারো প্রমাণ পেলাম। এতদিন শুনে এসেছি তিনি সবার পাশেই মায়ের মমতা নিয়ে দাঁড়ান। আমার পরিবার সেই সত্যটা নিজ চোখে দেখল। তিনি যদি আর্থিক সহযোগিতা না করতেন তাহলে হয়তো আমি শেষ হয়ে যেতাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পুরো দেশের মা, আমার মা। আমি যতদিন বাঁচব ততদিনই তার জন্য মন থেকে দোয়া করব, দোয়া করি আলস্নাহ যেন আমাদের মমতাময়ী এই মাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন এবং শত শত বছর বাঁচিয়ে রাখেন। দোয়া করি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেন আরও সম্মানিত হন।' জাভেদের স্ত্রী ডলি জাভেদ বলেন, 'করোনার এই ক্রান্তিকালে যখন চারদিকে অন্ধকার দেখছিলাম, ঠিক তখনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নগদ দশ লাখ টাকা পেয়ে আমরা যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। দোয়া করি আলস্নাহ যেন মমতাময়ী এই মাকে সুস্থ রাখেন, ভালো রাখেন। আমরা আজীবন তার কাছে কৃতজ্ঞ।'
চলে গেলেন ভারতীয় সংগীত পরিচালক ওয়াজিদ খান
বিনোদন ডেস্ক
আবারও শোকস্তব্ধ বলিউড। মারা গেলেন সুরকার সংগীত পরিচালক ওয়াজিদ খান। তার বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। রোববার গভীর রাতে মুম্বাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। মুম্বাইয়ের বেশকিছু সংবাদমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন ওয়াজিদ। বেশ কয়েক বছর আগেও একই সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল তাকে। সে বার সুস্থ হয়ে ফিরে এলেও এবার পারলেন না। যদিও চিত্র সমালোচক এবং সাংবাদিক ফরিদুন শাহরিয়ার এ দিন টুইটারে লিখেছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়েই মৃতু্য হয়েছে তার।
ওয়াজিদের অকালপ্রয়াণে বলিউডে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গায়ক সোনু নিগমই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটা জানান। তিনি লেখেন, বন্ধু ওয়াজিদ আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছে। শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী প্রিয়াংকা চোপড়াও। তিনি লিখেছেন, ওয়াজিদ ভাই, তোমার ওই হাসিটা খুব মিস করব। বড্ড তাড়া ছিল তোমার! ওয়াজিদের আকস্মিকভাবে চলে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন গায়িকা সোনা মহাপাত্র, গায়ক সেলিম মার্চেন্টসহ অনেকে। তবলাবাদক উস্তাদ সারফত আলী খানের ছেলে ওয়াজিদ। ভাই সাজিদের সঙ্গে জুটি বেঁধে গত কুড়ি বছর ধরে বলিউড কাঁপিয়েছেন তিনি। 'তেরে নাম', 'ওয়ান্টেড', 'দাবাং'-এর মতো বক্স অফিস কাঁপানো বহু ছবিতে সুর দিয়েছিলেন ওয়াজিদ।