আজ তোমাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় থেকে অধ্যায়ভিত্তিক
কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো
অধ্যায় ৪
প্রশ্ন-১৬ : কুটির শিল্প কাকে বলে? বৃহৎ শিল্প ও ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখ।
উত্তর: যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়ি-ঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তখন তাকে কুটির শিল্প বলে।
\হবৃহৎ শিল্প বড় বড় কারখানায় অবস্থিত। অন্যদিকে ক্ষুদ্র শিল্প ছোট ছোট কারখানায় অবস্থিত।
বৃহৎ শিল্পে মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যদিকে ক্ষুদ্র শিল্পে মূলধন বিনিয়োগের পরিমাণ কুটির শিল্প অপেক্ষা বেশি।
বাংলাদেশের বৃহৎ শিল্পের মধ্যে পাট শিল্প, সার শিল্প, সিমেট শিল্প, কাগজ শিল্প প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য। অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র শিল্পের মধ্যে সাবান শিল্প, হোসিয়ারি শিল্প, রেশম শিল্প প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য।
প্রশ্ন-১৭ : বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি আমাদের কীভাবে সহায়তা করে তা পাঁচটি বাক্যে লেখ।
উত্তর : বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে কৃষি আমাদের কীভাবে সহায়তা করে তা পাঁচটি বাক্যে দেয়া হলো-
\হবাংলাদেশের উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ফলন বাড়িয়ে নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
পৃথিবীতে ভারতের পর বাংলাদেশেই সবচেয়ে পরিমাণ পাট উৎপাদিত হয়। পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
চা রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করা যায়।
হিমায়িত চিংড়ি ও হিমায়িত মাছ রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করা সম্ভব।
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
প্রশ্ন-১৮ : ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়িঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তাকে কোন শিল্প বলে? এ ধরনের একটি শিল্পের নাম লেখ। শিল্পটি সম্পর্কে তিনটি বাক্য লেখ।
উত্তর : যখন কোনো পণ্য ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়িঘরে অল্প পরিমাণে তৈরি করা হয় তাকে কুটির শিল্প বলে।
কাঁসা একটি অন্যতম কুটির শিল্প। কাঁসা শিল্প সম্পর্কে তিনটি বাক্য-
গৃহস্থালির নানা কাজে কাঁসার তৈরি জিনিস ব্যবহার করা হয়।
জামালপুর জেলার ইসলামপুর এবং টাঙ্গাইল জেলার কাগমারি কাঁসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত।
ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে প্রচুর কাঁসার জিনিসপত্র তৈরি করা হয়।
প্রশ্ন-১৯ : আমাদের দেশের উর্বর দোআঁশ ও বেলে মাটি আলু চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী? উক্ত ফসলটি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখ।
উত্তর : আমাদের দেশের উর্বর দোআঁশ ও বেলে মাটি আলু চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। আলু সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো-
১. আলু একটি প্রয়োজনীর খাদ্য।
২. আমাদের দেশের গোল আলু ও মিষ্টি আলুর চাষ বেশি হয়।
৩. দেশে উৎপাদিত আলু দেশের মানুষের চাহিদা পূরণ করে।
৪. দেশের চাহিদা মেটানোর পর উদ্ধৃত আলু দেশের বাইরে রপ্তানি করা হয়।