অধ্যায় ৭
প্রশ্ন : যক্ষ্ণা প্রতিরোধের উপায় ৫টি বাক্যে বর্ণনা কর।
উত্তর : যক্ষ্ণা একটি বায়ুবাহিত রোগ। এ রোগ প্রতিরোধে নিচের কাজগুলো করতে হবে-
১. শিশুকে বিসিজি টিকা দিতে হয়।
২.রোগীর বিছানা, থালা-বাসন, গস্নাস ইত্যাদি আলাদা রাখতে হয়।
৩. যক্ষ্ণা রোগীর কফ, থুতু, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এর জীবাণু বাতাসে ছড়ায়।
৪. হাঁচি-কাশির সময় মাস্ক বা রুমাল দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
৫. প্রয়োজনে রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।
প্রশ্ন : কোন মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়? ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ৪টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়।
ডেঙ্গুজ্বরের ৪টি লক্ষণ নিম্নরূপ-
১. শরীরে জ্বর থাকবে।
২. মাথা ব্যথা করবে।
৩. শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলে উঠবে।
৪. বমি হবে।
অধ্যায় ৮
প্রশ্ন : মহাবিশ্বের বিভিন্ন সদস্যের মধ্যে সূর্য ও পৃথিবী আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কেন? ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : আমাদের নিকটতম নক্ষত্র সূর্য থেকেই আমরা তাপ ও আলো পাই। সূর্য থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় সব শক্তি পাচ্ছি এবং দিন-রাতের পরিবর্তন ঘটছে সূর্যের জন্য। এক কথায় সূর্যের জন্য পৃথিবীতে জীবনের উদ্ভব সম্ভব হয়েছে। আবার সৌরজগতের ৮টি গ্রহের মধ্যে শুধু পৃথিবীতেই জীবন সম্ভব হয়েছে। কারণ এখানে বায়ুমন্ডল বিশেষ তাপমাত্রা, দিন-রাতের পরিবর্তন, পানি, মাটি ও সার্বিক আবহাওয়া আছে বলে আমরা বাস করতে পারি।
প্রশ্ন : আমাদের নিকটতম নক্ষত্রটি কী? এটি কিভাবে আমাদের উপকারে আসে ৪টি বাক্যে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমাদের নিকটতম নক্ষত্র সূর্য। পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্ব নির্ভর করে সূর্যের ওপর। সূর্য থেকে আমরা তাপ ও আলো পাই, যা কাজে লাগিয়ে গাছপালা আমাদের জীবন রক্ষাকারী অক্সিজেন সরবরাহ করে। এ ছাড়া সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী ঘোরে যার ফলে দিন-রাত সংঘটিত হয়। পৃথিবীতে জীবনের উদ্ভব সম্ভব হয়েছে সূর্যের জন্য এবং সে জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সব শক্তি সূর্যই সরবরাহ করে।
প্রশ্ন : আমাদের দেশে যখন দিন তখন পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে রাত হয়- এর কারণ ৫টি বাক্যে লেখ।
উত্তর : পৃথিবীর সম্পূর্ণ পৃষ্ঠে সূর্যের আলো একই সময়ে পড়ে না। কারণ পৃথিবী সর্বদা তার নিজ অক্ষের ওপর আবর্তনশীল। ফলে আমাদের দেশ পৃথিবীর যে অংশে অবস্থিত সে অংশ যখন সূর্যের দিকে থাকে তখন আমাদের দেশে দিন হয়, আবার এর বিপরীত পৃষ্ঠের দেশগুলোয় তখন সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে না বলে সে দেশগুলোয় রাত। একইভাবে আমাদের দেশে যখন রাত হবে তখন সেই দেশগুলো সূর্যের দিকে থাকবে এবং সেখানে দিন হবে।
প্রশ্ন : তুমি কি সব সময় আকাশের চাঁদ একই রকম দেখ? উত্তরের কারণ ৫টি বাক্যে ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমি সব সময় আকাশের চাঁদ একই রকম দেখি না। কারণ, পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার ফলে কখনো কখনা আমরা চাঁদের আলোকিত অংশের সবটাই দেখতে পাই, তখন চাঁদকে পূর্ণাঙ্গ থালার মতো দেখি। কখনো আবার আলোকিত অর্ধেক গোলকের অংশবিশেষ দেখতে পাই, এর ফলে চাঁদের অন্ধকার অংশ কখনো কখনো পৃথিবীর দিকে থাকে। পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে একসময় চাঁদ পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে চলে আসে, এতে আমরা অমাবস্যা দেখতে পাই। কিন্তু চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার পরবর্তী পর্যায়ে এর আলোকিত অংশবিশেষ পৃথিবীর দিকে চলে আসে, তখন আমি চাঁদের ফালি দেখতে পাই। এভাবে পর্যায়ক্রমে সাড়ে ২৯ দিন পর চাঁদ এর পরিক্রমা শেষ করে, তখন চান্দ্রমাস পূর্ণ হয়।
প্রশ্ন : সূর্য নক্ষত্রের বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : সূর্য একটি নক্ষত্র। এর প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো-
১. সূর্যের নিজস্ব আলো আছে।
২. সূর্য থেকে আমরা তাপ ও আলো পাই।
৩. এটি সৌরজগতের কেন্দ্রীয় নক্ষত্র।
৪. সূর্যকে কেন্দ্র করেই পৃথিবী নানা গতি লাভ করেছে।
৫. সূর্যের কারণেই পৃথিবীতে দিন-রাতের পরিবর্তন ঘটছে।
৬. সূর্য উজ্জ্বল ও উত্তপ্ত।
৭. এখানে প্রধানত হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম গ্যাস আছে।
৮. সূর্যের কারণেই পৃথিবীতে জীবনের উদ্ভব সম্ভব হয়েছে।