প্রিয় শিক্ষাথীর্, আজ তোমাদের জন্য বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় থেকে সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর দেয়া হলো
সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর
প্রথম অধ্যায়
১। সারণি-ক
সারণি-খ
গ) সারণি-ক থেকে পূবর্ পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর যে বৈষম্য ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ) সারণি-খ এ প্রদশির্ত বৈষম্যের পরিপ্রেক্ষিতে পূবর্ পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের অথৈর্নতিক প্রকৃত অবস্থা মূল্যায়ন কর।
গ) উত্তর : ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মলগ্ন থেকেই পশ্চিম পাকিস্তান পূবর্ পাকিস্তানের প্রতি সবির্দক থেকে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে। সে মোতাবেক প্রদত্ত সারণি ‘ক’-তে পূবর্ পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর সামরিক বৈষম্য ফুটে উঠেছে। সেখানে একশত সেনা কমর্কতার্ নিয়োগ করা হলে পূবর্ পাকিস্তান থেকে নিয়োগ দেয়া হতো মাত্র পঁাচ জনকে। সাধারণ সৈনিক নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রেও এ বৈষম্য চরম আকার ধারণ করে। একশ জনের মধ্যে চার জন পূবর্ পাকিস্তানের আর বাকি ছিয়ানব্বই জন পশ্চিম পাকিস্তানের। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়া সত্তে¡ও নৌবাহিনীর উচ্চপদের কমর্কতার্ নিয়োগের ক্ষেত্রে একশ জনের মধ্যে একাশি জন পশ্চিম পাকিস্তানের আর উনিশ জন পূবর্ পাকিস্তানের এবং নৌবাহিনীর অন্যান্য পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে একশ জনের মধ্যে নয় জন পূবর্ পাকিস্তানের আর পশ্চিম পাকিস্তানের বাকি একানব্বই জন। অথচ পূবর্ পাকিস্তানের জন্যসংখ্যা বেশি ছিল কিন্তু সেনা ও নৌবাহিনীর নিয়োগের ক্ষেত্রে ছিল প্রচÐ বৈষম্য। অতএব, পূবর্ পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর সামরিক বৈষম্যটি ছিল খুবই প্রকট।
ঘ) উত্তর : ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলেও শুরু থেকেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূবর্ পাকিস্তানের প্রতি সাবির্ক বৈষম্যের নীতি গ্রহণ করে। তার মধ্যে অথৈর্নতিক বৈষম্যের দিকটি ছিল অত্যন্ত প্রকট। তাই সারণি ‘খ’-তে পূবর্ পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর অথৈর্নতিক বৈষম্য ফুটে উঠেছে। এর আলোকে পূবর্ পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের অথৈর্নতিক বৈষম্যের প্রকৃত অবস্থা মূল্যায়ন করা যায়। এখানে প্রদশির্ত হয়েছে যে, ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পযর্ন্ত পূবর্ পাকিস্তানের ...