শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

১৫ আগস্টের শিক্ষা

বস্তুত বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার রক্তাক্ত লাশ ধানমÐি ৩২ নম্বরের দ্বিতল বাড়ির সিঁড়িতে রক্ত ঝরাচ্ছিল একদিকে অপর দিকে খোন্দকার মোশতাক আহমেদ শপথ নিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে। একই দিন একের পর এক সামরিক বাহিনীর হতার্কতার্রা আনুগত্য প্রকাশ করছিলেন তথাকথিত রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাকের ওপর।
রণেশ মৈত্র
  ১৬ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

দীঘর্কাল পর সমাবতর্ন উৎসবের আয়োজন হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বঙ্গবন্ধু তখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপাচাযর্ও। তাই তিনি সম্মতি দিয়েছিলেন সমাবতর্ন উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের।

যেহেতু রাষ্ট্রপতি যাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাই স্বভাবতই কঠোর নিরাপত্তার আয়োজন করা হয়েছিল ধানমÐির ৩২নং বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন তাবৎ এলাকায়-ছাত্রাবাস ছাত্রীবাসগুলিসহ। সেনাবাহিনীর যানবাহন ও চলাচল করছিল তাদের ট্যাংকসহ। ট্যাংক যদিও এ জাতীয় কমর্সূচিতে রাজপথে নামানোর কথা নয় তবুও তাকে ততটা অস্বাভাবিক বলে বিবেচনা করেননি অনেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিরাপত্তার কথা ভেবে। তিনি তো শুধু একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন না ছিলেন বাংলাদেশের জনগণের জীবন মরণের সাথী। স্বাধীন এই দেশটির স্থপতি। আজ প্রশ্ন জাগে ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫, এ প্রকৃতই কি বাংলাদেশে ভোর হয়েছিল? রাতের নিকষ কালো অন্ধকার কেটেছিল আদৌ? সূযর্? প্রখর উত্তাপ নিয়ে সূযর্্য করোজ্জল প্রভাতের উদয় কি ঘটিয়েছিল? অন্তত বাংলাদেশের আকাশে? আকাশে সেদিন কি বাতাস বইতে দেখেছিল বাঙালি? নদীর জল বা সমুদ্রের ঢেউ এ কি দোলা দিয়েছিল প্রবল বাতাস তার নিত্যদিনের অভ্যাসমত? পাহাড় কি সেদিন মাথা উঁচু করে দঁাড়িয়েছিল পাহারা দিচ্ছিল কি বাংলাদেশকে অপর পাড় থেকে কোনো শত্রæ যেন এসে বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে না পারে তা নিশ্চিত করতে?

জীবজন্তু প্রাণিকুল? তারাই বা কি করছিল ঐ ১৫ আগস্টের ভোরে? নিদ্রিত ছিল কি? শত্রæর আগমন টের পেয়ে ‘ঘেউ ঘেউ’ করে আতর্নাদ করে গৃহস্থকে সজাগ করতে সচেষ্ট ছিল কি পোষা কুকুরগুলো? ফেঁাস ফেঁাস করে উঠেছিল ঘরের বেড়ালগুলো? সাপ কি ফণা তুলতে উদ্যত হয়েছিল শত্রæর দেহে ছোবল মেরে দেহগুলোকে নীলাভ করে দিতে?

আর বঙ্গবন্ধু প্রিয় মানুষগুলো? নেতা কমীর্ মুক্তিযোদ্ধারা কৃষক মজুর খেটে খাওয়া মানুষেরা? তারা কি রোজকার মতো নিরুদ্বিগ্ন একটি ভোরের সুবাতাস ও প্রাকৃতিক সবুজ দৃশ্য অবলোকন করেছিলেন। জেলেরা কি নিত্যদিনের মতো নদীতে মাছ ধরছিল? বাজারে কি দোকানপাট খোলা হয়েছিল? কঁাচা বাজারে কি মাছ মাংস তরি-তরকারি শাক-সবজির দোকানগুলো খোলা ছিল? কেনাবেচা কি স্বাভাবিক ছিল সেদিন?

কিষাণ কিষাণীরা কি মাঠে শস্য বুনন-কতর্ন করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল? কিষাণীরা কি ঢেঁকিতে পার ফেলে চাপ দিয়ে ধান ভানছিলেন? শ্রমিকেরা কি তাদের নিজ নিজ কারখানায় কাজ করতে, মেসিনের চাকা ঘুরাতে হাজির হয়েছিলেন?

ছাত্র-ছাত্রীরা কি তাদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে পাঠগ্রহণ করতে উপস্থিত হয়েছিলেন? শিক্ষক শিক্ষিকারাও কি এসেছিলেন শিক্ষাঙ্গনে পাঠদান করতে? যেমনটি তারা নিত্যদিন করে থাকেন?

না। কেউ আসেননি। উপরের সব প্রশ্নেরই উত্তর হলো, না। কেউ সেদিন কাজ করেনি। কাজে যাবার মতো মানসিক পরিস্থিতি কারওই ছিল না। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সবই অঘোষিত বন্ধ। সব শিক্ষাঙ্গন নিস্তব্ধ হয়েছিল সারাদিন সেদিন তরুণ-তরুণীদের পদচারণায় নিত্যদিনের মতো মুখরিত হয়নি বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাঙ্গন।

আকাশ-বাতাস-পাহাড়-পবর্ত-নদ-নদী-সমুদ্র সাগর মহাসাগর সবই ছিল নিস্তরঙ্গ, নিস্তব্ধ।

আর হাজার হাজার কমীর্-মুক্তিযোদ্ধারা? বেতারে বঙ্গবন্ধুর নিমর্ম হত্যার খবর এক মেজরের কণ্ঠে (মেজর ডালিম) বারবার শুনলেও বিশ্বাস করতে কেউই পারছিলেন না প্রথমত। শেষ অবধি যখন বুঝাই গেল সত্যই ওরা হত্যা করেছে জাতির দিশাহীন বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ কমীর্রা ঘরে বসে হাহুতাশ না করে ছুটলেন একের পর এক নেতার বাড়িতে। অনেকেই দেখতে পেয়েছেন নিজ নিজ বাসভবনে নেতারা অনুপস্থিত। হয়তো বা তারা কোথাও গোপন কোনো সভায় মিলিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন করণীয় নিধার্রণ করছেন। আবার কেউ কেউ হয়তো আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মোট কথা, কমীর্রা, সারাদিন অতিবাহিত হলেও কোনো দিক নিদের্শনা না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়লেন।

আবার অওয়ামী লীগেরই একটি মহল প্রচার করে বসলেন, বঙ্গবন্ধু নেই বটে, কিন্তু ক্ষমতায় আওয়ামী লীগই আছে কারণ বাকশালের দুই নম্বর নেতা এবং সাবেক আওয়ামী লীগের প্রথম সহসভাপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদই রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

বস্তুত বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তার রক্তাক্ত লাশ ধানমÐি ৩২ নম্বরের দ্বিতল বাড়ির সিঁড়িতে রক্ত ঝরাচ্ছিল একদিকে অপর দিকে খোন্দকার মোশতাক আহমেদ শপথ নিচ্ছেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে। একই দিন একের পর এক সামরিক বাহিনীর হতার্কতার্রা আনুগত্য প্রকাশ করছিলেন তথাকথিত রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাকের ওপর।

বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সদস্যদের সিংহভাগ অংশও খোন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে একের পর শপথ নিলেন। অসহনীয় সেই দৃশ্যাবলি বেদনাদায়কও বটে। কিন্তু নেতাদের এহেন আপোষকামিতা ও সুবিধাবাদী ক্রিয়াকলাপ তরুণ কমীের্দর মনে একদিকে যেমন চরম বিভ্রান্তি-অপরদিকে মারাত্মক হতাশাও দানা বেঁধেছিল। ফলে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিবাদ সংগঠিত করতে দেখা যায়নি। প্রতিবাদ সংগঠিত হয়েছে কিন্তু তা অনেক দেরিতে।

যারা ওই মুহ‚তের্ নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসতে পারতেন সেই সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামরুজ্জামান প্রমুখ তাৎক্ষণিকভাবেই সামরিক বাহিনীর প্রহরাধীনে থাকাবস্থায় স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মুশতাকের নিদেের্শ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের সকলকে আটকে রাখা হয়। প্রস্তাব দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রিত্ব গ্রহণের তাদেরকে একে একে জেলাখানার অফিসকক্ষে ডেকে এনে। সবাই তারা এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর আদশের্ অবিচল। তার নীতি, আদশর্ বাস্তবায়ন করা হবে মমের্ প্রথমে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হোক। তারপর তারা ভেবে দেখবেন। নতুবা নয়।

পরিণতি দঁাড়াল ৩ নভেম্বরের মমাির্ন্তক হত্যালীলা। ওই দিন ভোররাতে খোন্দকার মোশতাকের নিদেের্শ সামরিক বাহিনীর সশস্ত্র কয়েকজন কারা আইন, দেশের প্রচলিত আইন-সব কিছু লংঘন করে কারারুদ্ধ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে নিমর্মভাবে হত্যা করে কাপুরুষের মতো। ওরা এতটাই ভীত-সন্ত্রস্ত ছিল যে, এই হত্যালীলার খবর দেশের কোনো সংবাদ পত্রে, বেতার টেলিভিশনে প্রচার করতেও দেওয়া হয়নি।

কিন্তু যে দিন ভোরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়, ঐদিনই সন্ধ্যাবেলায় প্রদত্ত আকস্মিক এক বেতার ভাষণে খোন্দকার মোশতাক নিজেকে রাষ্ট্রপতি বলে দাবি করে বঙ্গবন্ধুকে “গণতন্ত্র ও ইসলামবিরোধী” ভূমিকা অবলম্বনের দায়ে অভিযুক্ত করে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ও মানবাধিকার ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ঘোষণা করেছিলেন অথচ তার নিদেের্শই দেশের সব প্রথম স্থানের নেতাকে বঙ্গবন্ধুসহ নিমর্মভাবে বিনাবিচারে হত্যা, আটক ও কারাগারে হত্যা প্রভৃতি চালানো হলোÑ সমস্ত মিডিয়ার ন্যূনতম স্বাধীনতাও হরণ করা হলো। স্তম্ভিত হলো বাঙালি জাতি, স্তম্ভিত হলো গোটা বিশ্ব।

ফলে এসব নিমর্ম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে দেশবাসী, মুক্তিযোদ্ধাদের সব বিভ্রান্ত দূর হলো এবং দেশের নানাস্থানে সংগঠিতভাবে ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ ধ্বনিত হতে থাকল। যখন প্রকৃতই সকলের উপলব্ধিতে এলো যে, এই দুটি হত্যালীলার অন্তনিির্হত অঘোষিত উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকেই হত্যা করা, বাংলাদেশকে নেতৃত্বহীন করা মুক্তিযুদ্ধ ও তার পূবর্বতীর্ দুই দশকেরও বেশিকাল ধরে ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত বাঙালি জাতির গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার আইনের শাসন, ধমির্নরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্রের সুমহান সংগ্রামী আদশর্গুলোকে হত্যা করে, উধাও করে দিয়ে তার পরিবতের্ ১৯৪৭ এর আগস্ট-পরবতীর্ পাকিস্তানি ভাবাদশর্ ফিরিয়ে আনা হলো।

এবারে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়। ফিরে তাকাতে হয় নেহায়েতই এত কিছু দুঘর্টনার উৎস সন্ধানে। সেই উৎসে যা পাওয়া যাবেÑ যা দেখা যাবেÑ তেমন ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে দেশ পরিচালনার মধ্য দিয়ে শুধু বাংলাদেশকে বঁাচানো তার আদশর্মালাকে বঁাচানো, তার সঠিক ইতিহাসকে পুনরুদ্ধার করতে পারব সেগুলোকে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণও করতে পারব।

ইতিহাসে দেখেছি যে খোন্দকার মুশতাককে বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে আস্থা বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ ও পরবতীের্ত বাকশালের দুই নম্বর নেতা বানিয়েছিলেন সেই মোশতাকই ছিল প্রকৃত বিশ্বাসঘাতক, স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধী এবং পুরোপুরি পাকিস্তানপন্থি ও সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্ববাসী। আওয়ামী মুসলিম লীগের অসাম্প্রদায়িকীকরণ তিনি চাননি-তিনি তার বিরোধিতা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের তিনি বিরোধী ছিলেন তাই, কলকাতায় বসেও ১৯৭১-এ তিনি মাকির্ন রাষ্ট্রদূতের সাথে গোপন সলাপরামশর্ করছিলেন কোনো একটি কনফেডারেশনের কাঠামোর মাধ্যমে যাতে পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখা যায়। কিন্তু এই গোপন কাযর্কলাপ ভারত সরকার জানতে পেরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদকে জানালে তিনি তাকে নাম-কা-ওয়াস্তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে রেখে সকল ক্ষমতা নিজের ও আব্দুস সামাদ আজাদের হাতে অপর্ণ করেন-ভারত সরকার ডিসেম্বর ’৭১ পযর্ন্ত তাকে গৃহবন্দি করে রাখেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধের পর সেই মোশতাকের প্রতিই বঙ্গবন্ধু অতটা বিশ্বাস স্থাপন করে কী মারাত্মক ভুলই করেছিলেন যার ফলে তাকে সবংশে নিহত হতে হলোÑ বাংলাদেশকে তার মৌল আদশর্ থেকেও বিচ্যুত করা হলো।

একই ভুল আরও মারাত্মক দুঘর্টনা ঘটাতে সক্ষম হলো। বিশ্বস্ত নীতিবাদ মন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে বঙ্গবন্ধু স্বহস্তে ১৯৭৩-এ মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করলেন কিন্তু রেখে দিলেন খোন্দকার মোশতাককে চরমভাবে আদশির্ক শত্রæÑ এ কথা জানা সত্তে¡¡ও।

সেই মোশতাকের বহুদিন আগে মৃত্যু ঘটলেও তার ছায়া-তার প্রেতাত্মারা যেন আজও প্রশাসনের ওপর ভর করে আছে সগবের্-সদম্ভে।

সেই সাম্প্রদায়িকতাবাদী দলগুলো আজও দিব্যি ধমের্র নামে সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে বজায় আছে, রাষ্ট্রধমর্ দিব্যি নতুন করে সংবিধানে স্থায়ী আসন গেড়ে বসেছে, সংবিধানের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ স্থাপন করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াতে ইসলামী-হেফাজতে ইসলাম প্রমুখ ঐ বৈধতার সুযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে ও গোপনে নানা সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্ম দিয়ে চলেছে। বাংলাদেশকে যেন বাংলা-পাকিস্তানি ভাবধারা ও আদশর্ সংবিধানে রাখলে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের প্রকৃত অস্তিত্ব বজায় থাকে না। কোনো সচেতন দেশ প্রেমিক নাগরিক ও চিন্তাশীল দায়িত্ব জ্ঞান সম্পন্ন মুক্তিযোদ্ধা কিছুতেই ভুলতে পারেন না যে বাঙালি জাতি কদাপি আপোষ করে না-করেননি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যদি তার ঐতিহাসিক ৬ দফা ও ছাত্র সমাজের ১১ দফা নিয়ে আপোষ করতেন সমগ্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন কিন্তু যে পথে হঁাটেননি তিনি। তাই না দেশটা স্বাধীন হতে পেরেছে।

তবে বঙ্গবন্ধু কিছু ভুল করে ছিলেন যার মাশুল তাকে এবং বাঙালি জাতিকে দিতে হয়েছে-আজও দিতে হচ্ছে।

এখন আমরা কি করব? আমরাও হঁাটব ভুলের পথে? আপোষের পথে? বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, তার আদশর্ বঁাচবে কি তাতে? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে ওই পথে?

আপোষ দেবে না সমাধান-তার প্রমাণ বঙ্গবন্ধু। ওই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে জিয়া এরশাদের বিসমিল্লাহ, জামায়াত-হেফাজতের বৈধতা ও রাষ্ট্রধমর্ সংবিধান থেকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে ৭২-এর মূল সংবিধান চালু করে গণতন্ত্রের পথে অভিযাত্রা ছাড়া গত্যন্তর নেই।

বঙ্গবন্ধু অমর হোন

ধমির্নরপেক্ষ-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দীঘর্জীবী হোক

রণেশ মৈত্র: সভাপতি মÐলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ

ৎধহবংযসধরঃৎধ@মসধরষ.পড়স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<8031 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1