শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সম্ভাবনাময় আইটিশিল্পের প্রসার

বাংলাদেশে সফটওয়্যার রপ্তানি বাড়ছে। বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং দেশ। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে প্রথম স্থানটি দখল করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশের আইটিশিল্প দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে এও স্বীকার করতে হবে, আমরা প্রত্যাশিত মাত্রায় এগিয়ে যেতে পারছি না।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে আইসিটি নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে, যদিও এ নীতিমালা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে। সরকারের পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের আলোকে ২০২১ সালের মধ্যে 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' গড়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। হাই-টেক পার্ক অথরিটি গঠন করা হয়েছে ২০১০ সালে। সরকারের গৃহীত নীতিমালায় কোনো ঘাটতি আছে বলে আমার মনে হয় না। কিন্তু নীতি বাস্তবায়নে ধীরগতিসহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে, যার কারণে এখনো আমরা এ খাত থেকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য লাভ করতে পারিনি। সরকারের নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০১৩ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) 'ওয়ান বাংলাদেশ ভিশন' ঘোষণা করেছে চারটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে। এ ভিশনের আওতায় ২০১৮ সালের মধ্যে নিম্নের লক্ষ্যগুলো অর্জনের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছিল। এক. আইটি খাত থেকে ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করা, দুই. এ খাতে এক মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থান করা, তিন. প্রতি বছর ১০ মিলিয়ন বা এক কোটি লোককে ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় আনা এবং চার. জিডিপিতে আইটি খাতের অবদান ১ শতাংশে উন্নীত করা।

আইটি খাতে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার লোক কর্মরত। আরও প্রায় ২৫-৩০ হাজার ফ্রিল্যান্সার প্রোগ্রামার দেশে কাজ করছে। তারা বছরে ১৫-২০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। দেশে আইটি শিক্ষা দিচ্ছে ৭০টির মতো সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ২০০টির মতো পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। প্রতি বছর দেশে প্রায় পাঁচ হাজার আইটি গ্র্যাজুয়েট বের হয়। আইটি খাত সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে মত হলো, এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়া গ্র্যাজুয়েটদের মান যথাযথ নয় এবং তাদের আবার প্রশিক্ষণ দিতে হয়। এর বড় কারণ হচ্ছে, যে কারিকুলামে তারা পড়াশোনা করে, তাতে আইটি শিল্পের প্রয়োজনীয় ব্যবহারিক জ্ঞানের সম্মিলন তেমনভাবে ঘটেনা। তাই ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমির মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি হওয়া একান্ত প্রয়োজন, যাতে এ খাতের প্রয়োজনের দিকে নজর রেখে কারিকুলাম তৈরি করা যায়। এতে আরও বেশি করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কলসেন্টার স্থাপনের জন্য অনেক লাইসেন্স দেয়া হলেও কলসেন্টার তেমনভাবে গড়ে ওঠেনি। এর বড় কারণ হিসেবে বলা হয়, কলসেন্টার চালানোর জন্য ইংরেজিতে যে ধরনের দক্ষতা দরকার, তা আমাদের ছেলেমেয়েদের নেই। একদিকে আইটি খাতে যে ধরনের প্রশিক্ষিত লোকবল প্রয়োজন, তার ঘাটতি আমাদের দেশে রয়েছে। অন্যদিকে যে পরিমাণ গ্র্যাজুয়েট বের হচ্ছে (এদের অনেকে অন্য পেশায় চলে যায়), তা এ খাতের প্রয়োজনের তুলনায় কম। ধরা যাক, ভারতের ওহভড়ংুং যদি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসে এবং তাদের পাঁচ হাজার প্রশিক্ষিত আইটি কর্মী দরকার হয়, তাহলে আমাদের দেশের পক্ষে এ পরিমাণ কর্মী সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। এ বাস্তবতার নিরিখে ২০১৮ সালের মধ্যে ১০ লাখ কর্মসংস্থানের যে ঘোষণা বেসিস দিয়েছে, তার শক্ত কোনো ভিত্তি নেই। তবে লক্ষ্যমাত্রা আরও বাস্তবভিত্তিক করে তা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো কী হতে পারে এ বিষয়ে বেসিস সরকারকে পরামর্শ দিতে পারে।

বিপুল সম্ভাবনার উন্মুক্ত দুয়ার এখন বাংলাদেশের সামনে। যদিও ১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে নানা প্রতিকূলতা পাড়ি দিতে হয়েছে। এখনো এখানে গণতন্ত্রচর্চার অভাব, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মতো নেতিবাচক প্রবণতার উপস্থিতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ ক্রমেই এগিয়ে চলেছে। মূলত দৃঢ়প্রত্যয়ী, পরিশ্রমী ও কর্মক্ষম তরুণ জনগোষ্ঠীই এই এগিয়ে যাওয়ার পেছনে প্রধান অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে। এ ছাড়া অর্থনীতিতে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছে বেসরকারি খাত। আমরা তৈরি পোশাকশিল্প (আরএমজি সেক্টর), ঔষধ শিল্প (ফার্মাসিউটিক্যালস), মৃৎশিল্পে (সিরামিক্স) সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। সোনালি আঁশখ্যাত পাট ও নতুন খাত হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) এখন প্রত্যাশিত আরও সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। একুশ শতকে সারা বিশ্বের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে এই আইসিটির নাটকীয় ঢেউ আমরা লক্ষ্য করেছি। বর্তমানে, আমরা এমন একটি পৃথিবীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যেটা সম্পূর্ণভাবে আইসিটিনির্ভর। হার্ডওয়্যার, সফ্‌টওয়্যার, নেটওয়ার্ক ও মিডিয়ার মাধ্যমে গঠিত এই আইসিটি মূলত বাচনিক উপায়ে, উপাত্ত, বিষয়বস্তু ও ছবির মাধ্যমে তথ্য আকারে মানুষের মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে। আর এসব যন্ত্রাংশ ও কম্পিউটার প্রোগ্রামগুলোর পরিসর টেলিফোন, রেডিও, টেলিভিশন থেকে ইন্টারনেট পর্যন্ত বিস্তৃত। বাংলাদেশে আইটি ক্ষেত্রের অনেক সমস্যার কথা ভেবে অনেকে হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে যান। অনেকে হয়তো ভেবেই বসেন, এ দেশে আইটির কোনো সম্ভাবনাই নেই। এ দেশের উলেস্নখযোগ্য নব প্রজন্মের স্বপ্নিল চোখের দিকে তাকিয়ে বারবার এই হতাশা কাটিয়ে ওঠা যায়।

সত্যিকার অর্থেই অনেক অনেক সমস্যার পরও এ েেদশে আইটি ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আর এই সম্ভাবনার পতাকাকে সর্বদা ঊর্ধ্বে তুলে রেখেছে এ দেশের একঝাঁক তরুণ আইটি প্রেমিক, প্রতিনিয়ত যারা স্বপ্ন দেখে এ দেশে বসে এক একটি বিল গেটস হয়ে ওঠার। সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশে আইটি নামক আশার প্রদীপ জ্বেলে রেখেছে এরাই। এ দেশের একপ্রান্তে বসে দলাদলি, সংকীর্ণতা, আমলাতান্ত্রিক সীমাবদ্ধতা বা অসচেতন অভিভাবকের কড়া শাসনের মধ্যেও তারা নিয়মিত আইটির নানা ক্ষেত্রে নিয়ে নিজ নিজ উদ্যোগে ডেভেলপমেন্ট বা গবেষণায় ব্যস্ত। মাঝেমধ্যে এর চমক আমরা দেখতে পাই, দেশের কোনো অঞ্চলে একদল তরুণ যখন হঠাৎ করে বিশ্বমানের কোনো সফটওয়্যার করে ফেলে, বা চোখে ধাঁধার অ্যানিমেশন ও গ্রাফিক্স দিয়ে গড়ে তোলে নিজস্ব স্বপ্নের পৃথিবী, কিংবা কোনোমতে জোড়াতালি দিতে দিতেই হঠাৎ করে বানিয়ে বসে বিশ্বমানের কাছাকাছি কোনো কম্পিউটার গেমস। মূলত এরাই এই পিছিয়ে পড়া দেশের আইটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা যারা স্বপ্ন দেশে আইটির পৌরাণিক পেগাসাসের লাগাম নিজ হাতে তুলে নেওয়ার। বাবা-মাযের গালি খেয়ে অভিমান করে কিনে নেয়া কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে অনেকে বর্তমানে ঘরে বসেই অনেক টাকা আয় করছে। একজনের দেখাদেখি আরও অনেকে এভাবে একটি বিরাট সংখ্যা গড়ে উঠেছে। একজন ঠেকে গেলে আরেকজনের সহযোগিতা নিয়ে নিজে নিজেই ডেভেলপ হচ্ছে। তাই ওডেস্কের মতো বড় আউটসোর্সিং বাইয়ারের তথ্য মতে আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম দশে।

বাংলাদেশের আইসিটিতে সম্ভাবনার ক্ষেত্রে হয়তো কম কিন্তু তার বিস্তৃতি অনেক অনেক বেশি। আর এজন্যই বলা যেতে পারে বাংলাদেশ হচ্ছে আইটির বিপুল সম্ভাবনাময় একটি দেশ। তরুণ আগ্রহী ডেভেলপারের সংখ্যা এ দেশে অসংখ্য যারা আমাদের অজান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে দেশের আনাচে-কানাচে। সফটওয়্যার পাইরেসি এ দেশের ব্যাপক একটি সমস্যা হলেও এটি এ দেশের ডেভেলপারদের শাপে বর হয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশে যেখানে একটি প্রফেশনাল সফটওয়্যার দক্ষতা অর্জন ও তা পুরোপুরি বাধাহীনভাবে ব্যবহার করতে অসংখ্য সীমাবদ্ধতা পেরোতে হয়। অথচ এ দেশের ডেভেলপারদের এ ধরনের কোনো সমস্যা নেই, মায়া থেকে ম্যাক্স, ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর থেকে কোরেল সব কিছু হাত বাড়ালেই এখানে পাওয়া যায়। ফলে এখানকার ডেভেলপারদের শেখার গন্ডিটি অনেক সমৃদ্ধ। সর্বোপরি বিবেচনায় আনা যেতে পারে এ দেশের তরুণ ডেভেলপারদের ডেডিকেশনের ব্যাপারটা। ব্যাপক সীমাবদ্ধতা জানা থাকা সত্ত্বেও তারা কখনো কোনো প্রজেক্টে পিছিয়ে আসার কথা ভাবে না বরং যে কোনো মূল্যে তা সমাধান করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় তারা প্রতিনিয়ত লিপ্ত থাকে।

যত আলোচনা-সমালোচনা করি না কেন এই সত্য স্বীকার করতেই হচ্ছে যে হাজারো সীমাবদ্ধতা জর্জরিত বাংলাদেশের আইটি ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনাময়। যে বিপুল তারুণ্য আইটিকে নিয়ে তাদের স্বপ্নিল ক্যারিয়ার গড়তে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তাদের খানিকটা সঠিক নির্দেশনা ও যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রিত রাখার মাধ্যমে এই শক্তিকে সর্বোচ্চভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। আইটিতে সমৃদ্ধি অর্জনের পথটি যতটা কণ্টকাকীর্ণ হোক না কেন, আমার বিশ্বাস আমাদের নতুন সৃজনশীল প্রজন্ম সেই বাঁধাকে অতিক্রম করে আইটি উন্নয়নের পথ নির্মাণ করবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য। মাঝেমধ্যে ডিজিটাল প্রতারক দলের কাছে এ দেশের আগ্রহী আইটিপ্রেমিক তরুণরা প্রতারণার শিকার হতে দেখা যায়। এসব প্রতারকদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করতে হবে। দক্ষ জনশক্তির অভাবে যেখানে উন্নত বিশ্বের আইটি ক্ষেত্র হাজারটা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, সেখানে আমাদের জনগোষ্ঠী রয়েছে প্রচুর কিন্তু তারা দক্ষতাহীন। সামান্য কিছু সরকারি পরিকল্পনা বা বেসরকারি কিছু সফল উদ্যোগ খুব সহজেই এই জনগোষ্ঠীকে আইটি ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে পারে। ইন্টারনেটের এই যুগে জনশক্তি রপ্তানি প্রয়োজন নেই। দক্ষ জনশক্তি দেশে বসেই উন্নত বিশ্বের আইটি উন্নয়নের মূল ইঞ্জিন হয়ে উঠতে পারবে। পরিশেষে আমরা স্বপ্ন দেখব সেই দিনের যেদিন এ দেশের প্রতিটি প্রান্তেই পৌঁছে যাবে আইটির সত্যিকার সুফল। ভারতে হরিয়ানা রাজ্যের কৃষকদের মতো, যারা তাদের কৃষি ক্ষেত্রে বিপস্নব আনতে কম্পিউটারের আদলে তৈরি করেছিল স্বল্পমূল্যের কম্পিউটার। যা আজ ভারতের প্রত্যেক প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে আইটির সুফল।

তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আইটিশিল্প একটি নতুন শিল্প খাত। এখনো এ খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উলেস্নখযোগ্যভাবে তেমন কোনো অবদান রাখতে সক্ষম হয়নি। তবে এ খাত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রবৃদ্ধিশীল খাত। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের দিক থেকে দেশে এ খাতের অবস্থান তৃতীয় স্থানে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই খাত দেশের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত হবে, এমন সম্ভাবনা প্রবল। প্রতি বছর বেশি থেকে বেশিসংখ্যক ব্যক্তি, শিক্ষিত-প্রশিক্ষিত আইটি তরুণ এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার কাজ করে চলেছে এ খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য। বাংলাদেশে আইটি খাত যেভাবে বিকশিত হচ্ছে, আর কোনো খাতই সেভাবে বিকশিত হচ্ছে না। তবে এই খাতে বিদ্যমান রয়েছে নানা সমস্যা। এরপরও মোটামুটিভাবে আমরা আমাদের আইটি খাত নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী।

বাংলাদেশে সফটওয়্যার রপ্তানি বাড়ছে। বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং দেশ। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে প্রথম স্থানটি দখল করতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশের আইটিশিল্প দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে এও স্বীকার করতে হবে, আমরা প্রত্যাশিত মাত্রায় এগিয়ে যেতে পারছি না।

বিদ্যমান সমস্যাগুলো দূর করার ব্যাপারে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সবাই এগিয়ে এলে, তবেই আমরা হতে পারব আইটিসমৃদ্ধ এক জাতি। সেই সঙ্গে সমৃদ্ধ হবে আমাদের অর্থনীতিও।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ: লেখক, কলামিস্ট ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<79517 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1