মহান স্বাধীনতার স্থপতি স্বাধীন দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, পৃথিবী আজ দুই ভাগে বিভক্ত শোষণ ও শোষিত, আমি শোষিতদের পক্ষে। পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় তিনি উলেস্নখ করেন যে, 'শাসনযন্ত্র হতে দুর্নীতির মূলোচ্ছেদ করতে আমরা বদ্ধপরিকর। মন্ত্রী/এমপিরা যদি দুর্নীতি করেন, গণকর্মচারীরাও দুর্নীতি করবে এবং আমরা দুর্নীতি না করলে কেউ দুর্নীতির আশ্রয় নিতে সাহসী হবে না।' মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রম্নয়ারি ও বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে রাজধানীর গণভবনে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, উপরাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদ সদস্যসহ তাদের স্ত্রী, সন্তানদের নামে রাখা সম্পত্তির হিসাব মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট ৩০ এপ্রিল, ১৯৭৫ সালের মধ্যে দাখিল করতে হবে। (সূত্র : বাংলার বাণী, বুধবার, ১৯ ফেব্রম্নয়ারি এবং দৈনিক বাংলা, শুক্রবার ১৪ মার্চ ১৯৭৫ খ্রি.)। বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয় যে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্লাবে জুয়া, মদ বন্ধ করার বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট গভীর রাতে স্বাধীনতাবিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কুচক্রী মহলের চক্রান্তের মাধ্যমে পৃথিবীর জঘন্যতম হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা শহীদ হওয়ার পর থেকে পরবর্তী সরকার বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্লাবে জুয়া, মদ, ক্যাসিনো ইত্যাদি অবৈধ কার্যক্রম চালু করে। স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত সরকার এসেছে তার মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সরকার এবং তৎপরবর্তী তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারই বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। সে অনুযায়ী এদেশে অনাচার, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসবাদ, জলদসু্যতা, ভূমিদসু্যতা নির্মূল, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর সফল কার্যক্রম শুরু করেছেন। এছাড়া মেট্রোরেল স্থাপন, সমুদ্র সীমা নির্ধারণ, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণসহ এদেশের সশস্ত্রবাহিনীকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সব নাগরিকের জন্য নিরাপদ ও আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন এবং তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবেন, এটাই আজকে সব সচেতন নাগরিকের ঐকান্তিক কাম্য।
অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকল শ্রেণির মানুষ সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে আজ তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারই ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে দুর্বৃত্তায়নকারীদের নির্মূল করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযানের নির্দেশনা দিয়েছেন এতে সমাজের সব শ্রেণির দুর্বৃত্তায়নগ্রস্ত ব্যক্তিবর্গকে যথাযথ আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার মাধ্যমে বাংলার জনগণ যাতে যুগের পর যুগ ধরে শুদ্ধি অভিযানের সুফল ভোগ করতে পারে এটাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট চিনিশিল্প করপোরেশনের সব নেতা, শ্রমিক- কর্মচারী, কর্মকর্তা ও বাংলার শান্তিপ্রিয় জনগণের একান্ত প্রত্যাশা।
মো. খোরশেদ আলম
সভাপতি
বিএসএফআইসি
কেন্দ্রীয় কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ)