বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ

জেল-জুলুম ও নানাবিধ অত্যাচারের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী যতই অত্যাচার-জুলুম বৃদ্ধি করে ততই বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই অগণতান্ত্রিক শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির গণতন্ত্রপ্রীতি উচ্চকিত করে তুলতে থাকে। এভাবে দুই দফায় সামরিক শাসন প্রবর্তন করেও তারা প্রধানত গণতন্ত্রের দাবি মুখরিত বাঙালির কণ্ঠরোধ করার মানসে কিন্তু শেষতক সিভিল ও মিলিটারি উভয় শাসকগোষ্ঠীই ওই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।
রণেশ মৈত্র
  ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা ও দূরের ইতিহাস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে রাজনীতিতে আধুনিকতা, জনগণের ইচ্ছার স্বাধীন প্রতিফলনের সুযোগই বাঙালি জাতির ভাগ্যে শত শত বছরে কদাপি জোটেনি।

ব্রিটিশ শাসিত ভারতে দুই শত বছরের ঔপনিবেশিক আমলে তো গণতন্ত্রের অস্তিত্ব থাকার প্রশ্নই ওঠে না, তার আগে যে সুদীর্ঘ হিন্দু ও মুসলিম জোতদার জমিদারদের রাজত্বকালে শত শত বছরেও গণতন্ত্রের নূ্যনতম অস্তিত্বও ছিল না- থাকার প্রশ্নও ওঠে না সামন্তবাদী ওই অনির্বাচিত শাসকদের শাসনামলে।

ব্রিটিশ শাসন এলো। তারা এসেছিল প্রধানত বাঙালিদের সঙ্গে (নবাব সিরাজুদ্দৌলা) যুদ্ধ করেই। ওই যুদ্ধে ভারী অস্ত্রপাতি এবং মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজুদ্দৌলা তথা বাংলার এবং ধীরে ধীরে সমগ্র ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সূর্য দীর্ঘ দুইশত বছরের জন্য অস্তমিত হয়।

অতঃপর ধাপে ধাপে নানাভাবে গড়ে ওঠে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রাম। কখনো নিয়মতান্ত্রিকভাবে কখনো বা অনিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে। পরিণতিতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের (হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে) হাজারে হাজারে কারাবরণ, ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলা ও নানাবিধ অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। 'সভ্য' হিসেবে পরিচিত ইংরেজদের মুখোশ এভাবে উন্মোচিত হতে থাকে ভারতবর্ষের মানুষ ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন লৌহদৃঢ় ঐক্য ভারতের স্বাধীনতার দাবিতে।

নিরুপায় ইংরেজ শাসকগোষ্ঠী বহুবিধ কূটকৌশল অবলম্বন করতে শুরু করে এই ঐক্যের বিনাশ সাধনে। নানাবিধ টোপও ফেলতে শুরু করে। ইংরেজি শিক্ষাকে বর্জন করার মৌলবাদী আহ্বানে সাড়া দেয়ার ফলে মুসলমান সম্প্রদায় চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব কিছুতে পিছিয়ে পড়ায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের পক্ষে দারিদ্র্য পীড়িত 'মুসলমান সমাজের বন্ধু' সেজে ভারতবর্ষের মধ্যে গড়ে ওঠা ঐক্যে ভাঙন ধরানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়। সে সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহারও তারা করেছিল।

ব্রিটিশ শাসকরা ভর করল মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তথা মুসলিম সমাজের ওপর। একই সঙ্গে একই উদ্দেশ্যে তারা ভর করলো প্রধানত হিন্দু নেতৃত্বাধীন বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অভ্যন্তরে শুকিয়ে থাকা মুষ্টিমেয় সাম্প্রদায়িক হিন্দু নেতাদের ওপরও। পরিণতিতে ভারতজুড়ে দফায় দফায় হিন্দু-মুসলিম রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা। বিভক্ত হলো ব্রিটিশবিরোধী শতভাগ অসাম্প্রদায়িক চরিত্রের স্বাধীনতা সংগ্রাম আর তার ফলে ঝরা রক্তের বন্যায় উদ্ভব হলো সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের অনিবার্য হয়ে দাঁড়ালো ভারত বিভক্তি, জন্ম নিল মুসলিম দেশ হিসেবে অভিহিত গণবিরোধী রাষ্ট্র পাকিস্তানের।

পাকিস্তান ইসলামের নামে সৃষ্টি হলেও মুসলমানসহ সমগ্র বাঙালি, সিন্ধি, বালুচি পুশতু উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের কোটি কোটি মুসলমান ও হিন্দু স্বার্থবিরোধী। বাঙালি জাতি অতি দ্রম্নত মোহমুক্ত হয়ে ১৯৪৮ থেকেই ভাষা আন্দোলন ও অন্যান্য আন্দোলনের মাধ্যমে মুসলিম লীগ সরকারকে নাস্তানাবুদ করতে থাকে- সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদার স্বীকৃতিদানে দাবির মাধ্যমে।

জেল-জুলুম ও নানাবিধ অত্যাচারের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী যতই অত্যাচার-জুলুম বৃদ্ধি করে ততই বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই অগণতান্ত্রিক শাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির গণতন্ত্রপ্রীতি উচ্চকিত করে তুলতে থাকে। এভাবে দুই দফায় সামরিক শাসন প্রবর্তন করেও তারা প্রধানত গণতন্ত্রের দাবি মুখরিত বাঙালির কণ্ঠরোধ করার মানসে কিন্তু শেষতক সিভিল ও মিলিটারি উভয় শাসকগোষ্ঠীই ওই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।

শেষ পর্যন্ত তারা সন্ত্রস্ত হয়ে বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একাত্তরের পঁচিশে মার্চ রাতের আঁধারে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি অস্ত্র তুলে নিতে বাধ্য হয় এবং নয় মাসব্যাপী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ চালানোর পর লাখ লাখ মানুষ ও এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর অপরাহ্নে শত্রম্ন পক্ষের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে। বিজয় সূচিত হয় গণতন্ত্রের ও স্বাধীনতার দাবিতে পরিচালিত ২৩ বছরব্যাপী বিরামহীন সংগ্রামের বিজয় হয় গণতন্ত্রের।

অতি সংক্ষিপ্ত পটভূমিতে বাঙালির সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রাম বা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামের ইতিহাস বর্ণনা করলাম সবার বিষয়টি স্মরণে আনার জন্য। এই সংগ্রামই ধাপে ধাপে ক্রমান্বয়ে তীব্রতা অর্জন করে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে পরিণত হয়। এর মাধ্যমে বাঙালি প্রমাণ করে যে বাঙালি জাতি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামে আপসহীন। আপসহীন দীর্ঘ ২৩ বছরব্যাপী সংগ্রামের বিজয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ সূচিত হলেও তা সমাপ্ত হতে পারেনি।

স্বৈরতন্ত্র, সামরিক, আধা সামরিক বা বেসামরিক চরিত্রের যেটাই হোক না কেন তার দর্শন আমাদের দেশের মাটিতে প্রেরিত হয়েছিল। জনতা দফায় দফায় পরিচালিত লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে তাকে পর্যদস্তু, পরাস্ত ও পরাজিত করেছে সত্য; কিন্তু কিছুকাল দমে থাকার পর রং-বেরঙের স্বৈরতন্ত্র আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে বিশেষ করে আমাদের রাজনীতির অঙ্গনে।

১৯৭১-এ নয় মাসের সশস্ত্র লড়াই এ গৌরবোজ্জ্বল ও বিপুল তাৎপর্যপূর্ণ বিজয় অর্জনের পর সবাই আমরা ভেবেছিলাম যে এবারে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বৃহৎ রাজনৈতিক আওয়ামী লীগ বিপুল জনসমর্থন সিক্ত হয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার ব্যাপারে সারা দেশে বিপুল আশাবাদের সৃষ্টি হয় এবং এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু জাতির কাছে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ থাকায় ওই আশাবাদ সবার অন্তরে প্রেরিত হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অবিসংবাদী নেতা তিনি তার প্রতিশ্রম্নতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন। ১৯৭২-এর ৪ নভেম্বর জাতিকে উপহার দিলেন পরিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক একটি সংবিধান যা গণতান্ত্রিক বিশ্বের অন্যতম সেরা সংবিধান হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। সংবিধানটি বাহাত্তরের সংবিধান নামেই সর্বাধিক খ্যাত।

এই সংবিধানের আওতায় এবং সংবিধানটি অক্ষত অবস্থায় থাকাকালে বাংলাদেশে একটি মাত্র সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পেরেছিল।

কিন্তু আওয়ামী লীগের অপভ্রংশ হিসেবে ইতোমধ্যে জন্ম নেয়া উগ্রপন্থি নতুন রাজনৈতিক দল (জাসদ) এই গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হানতে শুরু করল সশস্ত্র কার্যকলাপ এবং খুনের রাজনীতি আঁকড়ে ধরার মাধ্যমে। তাদের গোপন আশ্রয়দাতা হিসেবে দাঁড়িয়ে গেল নকশালপন্থি নামক উগ্র বামপন্থিরা এবং বিস্ময়কর হলেও সত্য, উগ্র দক্ষিণপন্থি জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি দ্রম্নতই অবনতি লাভ করে যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনজারি করে রাজনৈতিক দল এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলোর কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

অতঃপর কুষ্টিয়ার একজন এমপিকে জাসদের অস্ত্রধারীরা গুলি করে হত্যা করার পর কালবিলম্ব না করে সব রাজনৈতিক দলের বিলুপ্তি ঘোষণা করে একটি মাত্র জাতীয় দল হিসেবে 'বাকশাল' (বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ) নামে একটি নতুন দল গঠন করে একদলীয় প্রথা চালু করেন।

বঙ্গবন্ধুর এই শেষ দুটি পদক্ষেপ, বিশেষ ক্ষমতা আইন ৭৪ জারি এবং একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠায় বাকশাল গঠন বাংলাদেশের মধ্যবিত্তের সমর্থন পায়নি জনমত এই পদক্ষেপ দুটিকে সমর্থন জানায়নি। ফলে বঙ্গবন্ধুর অটুট জনপ্রিয়তায় চিড় ধরতে শুরু করে।

এই পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে লুকায়িত চরম দক্ষিণপন্থি ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সব দেশি-বিদেশিশক্তি। এর নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগের এবং (বাকশালেরও) অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা বিশ্বাসঘাতক খোন্দকার মোশতাক ও তার দোসররা। এরা ১৫ আগস্টের ভোররাতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে অত্যন্ত নোংরাভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে পাকিস্তানি ধারার সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পুনঃপ্রচলন করে। খোন্দকার মোশতাক গং 'বঙ্গবন্ধুকে গণতন্ত্র ও ইসলামবিরোধী' বলে আখ্যায়িত করে সামরিক আইন জারি করে। খুনি মেজর জিয়াকে সেনাবাহিনী প্রধান পদে উন্নীত করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকে স্বাগত জানিয়ে খোন্দকার মোশতাক নিজেদের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান (প্রেসিডেন্ট) হিসেবে ঘোষণা করে ওই দিনই সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন যা বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়।

গণতন্ত্রের সব দরজা বন্ধ করতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য ১৫ আগস্ট হত্যার দায়ে কারও বিরুদ্ধে আমলা দায়েরে নিষেধাজ্ঞা জারি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামে এক কালো আইন জারি করা, হত্যাকরীদের নানা আকর্ষণী সরকারি পদ দেয়া, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন চালু করা, পাকিস্তানি নাগরিক এবং পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী গোলাম আজম বাংলাদেশে আসার ভিসা মঞ্জুর করা, জামায়াতে ইসলামী ও ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোকে সাংবিধানিক বৈধতা প্রদান, সংবিধান সামরিক আইন বলে সংশোধন করে 'বিসমিলস্নাহ' সংযোজন করে পঞ্চম সংশোধনী জারি করে ৭২-এর মূল সংবিধানের 'ধর্মনিরপেক্ষতা'র পরিবর্তে সাম্প্রদায়িকীকরণ করা, সমাজতন্ত্র বাদ দেয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রের পাকিস্তানীকরণ শুরু করা হয়।

অতঃপর আশির দশকের গোড়ায় জেনারেল এইচএম এরশাদ ক্ষমতা বেআইনিভাবে দখল করে একপর্যায়ে জিয়ার পথ ধরে অনুরূপভাবে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী জারি করেন ইসলামকে 'রাষ্ট্রধর্ম' হিসেবে ঘোষণা করে। সাম্প্রদায়িকীকরণে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিলেন সেই কুখ্যাত স্বৈরশাসক।

গণতন্ত্রের সূর্য অস্ত গেল। ঐক্যবদ্ধ গণ-আন্দোলন চলল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বিজয় এলো ১৯৯০-তে স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের মধ্যদিয়ে। এলো ১৯৯১-এর নির্বাচন। আবার আশাবাদের সৃষ্টি হলো বটে; কিন্তু সংবিধানের গণতান্ত্রিকীকরণ হলো না ১৯৯২-এর নির্বাচনে জয়ী বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলেও প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির পরিবর্তে সংসদীয় পদ্ধতিতে প্রত্যাবর্তনের দাবিটি শুধু স্বীকৃত হলো। ১৯৯৬-তে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতে সরকার গঠন করলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা (দুই-তৃতীয়াংশ) অর্জন না করতে পারায় ওই দাবিটি পূরণ করা গেল না বলে জানানো হলো।

২০০৯-এ আবার নির্বাচন। এতে আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা, ২০১৪ সালের এবং ২০১৮-এর ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের অনেক বেশি আসনে জিতলেও বাহাত্তরের মূল সংবিধানে না ফিরে, বিসমিলস্নাহ ও ধর্মাশ্রয়ী দলগুলোর বৈধকরণ ও ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম অর্থাৎ সব সাম্প্রদায়িক এবং বাহাত্তর সংবিধানের বিরোধী বিষয়গুলো অব্যাহত রাখল। অধিকন্তু উগ্র সাম্প্রদায়িক হেফাজতে ইসলামকে কার্যত উপদেষ্টার আসনে বসিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতায় দরজাটি বন্ধই রাখা হলো। ধর্মনিরপেক্ষতা ছাড়া গণতন্ত্র হতে পারে না। তাই ধর্মনিরপেক্ষতা সংবিধানের দাবি পূরণ না হওয়ায় গণতন্ত্র দূরের বিষয় হয়েই থাকবে। সুষ্ঠু নিরাপদ নির্বাচনও নেই। তাই গণতন্ত্র এ পর্যন্ত আরও রক্ত ধারায় বিকল্প নেই।

রণেশ মৈত্র: সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<71379 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1