শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেরালা: যে কারণে ব্যতিক্রম

প্রসঙ্গক্রমে বাংলাদেশের আর একটা পণ্যের নামও উলেস্নখ করা যেতে পারে। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সুইডেনের বিশাল একটা দোকান আছে। 'ইকিয়া' নামে। এখানে বাংলাদেশের তৈরি যে বেড শিট পাওয়া যায় তার ডিজাইন ও কাপড় গেঞ্জির মতোই অতুলনীয়। বাংলাদেশের সামর্থ্য আছে, বাংলাদেশ কি ক্রমশ কেরালার মতো একটা সুন্দর রাজ্য হয়ে উঠতে পারে না?
আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ
  ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

দেশ ভ্রমণের একটা বড় অর্জন জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সঙ্গে অন্য দেশের মানুষ ও মাটির বৈভবকে নিজের জীবনে একটা নতুন দিগন্তের খুঁটি গড়া। অনেক দেশের বিশাল বিশাল অট্রালিকা, আকর্ষণীয় শপিং মল বা চোখ ধাঁধানো দৃশ্যের মতো ভারতের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত কেরালা রাজ্য নয়। এখানে আছে একশ ভাগ শিক্ষিত মানুষ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা আর বিভিন্ন ধর্মের জনগণ। নেই কোনো বিবাদ, একসেঙ্গ ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মানুষের সুখদায়ক জীবন। ছাপড়ার চায়ের দোকানের লুঙ্গি পরা মানুষও অনর্গল ইংরেজি বলতে পারে বিদেশিদের সঙ্গে। নিজেদের মধ্যে ব্যবহার করে মাতৃভাষা। ভারতের রাষ্ট্রভাষা হিন্দি হলেও এরা হিন্দি জানেন না। জিজ্ঞেস করলে হাসিমুখে উত্তর দেন তারা হিন্দি বোঝেন।

কেরালায় শুধু দেখার জিনিস নেই, অভিজ্ঞতার আনন্দ নিয়ে দেশে ফেরার আনন্দ আছে। কেরালায় গেলে প্রথমে কোচিনে নেমে ক্রমশ অন্যান্য অঞ্চলে প্রবেশ করলে সাধারণ একটা দেশের অসামান্য চিত্র চোখে পড়ে। এখানে আছে পাঁচশ বছরের পুরনো সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চ, পর্তুগিজদের পুরনো ঘরবাড়ি, ষোড়শ শতকে নির্মিত ইহুদিদের শহর আর পর্তুগিজদের নির্মিত ছোট প্রসাদ। এখানকার গির্জা পুরনো হয়ে গেলেও তার সৌন্দর্য বিন্দুমাত্র নষ্ট হয়নি। এখানেই পাঁচ তারার ম্যারিয়ট হোটেলের পাশে অবস্থিত অত্যন্ত আধুনিক শপিং মার্ট লুলু। এই মার্টের মালিক সেখানকার একজন ধনাঢ্য মুসলমানের, যিনি মধ্যপ্রাচ্যেও নির্মাণ করেছেন লুলু মার্ট। পৃথিবীর অন্যান্য মার্টের মতো এখানেও আছে বিদেশি খ্যাতিমান ব্র্যান্ডের দোকান আর খাওয়ার অভিনব পরিবেশ।

কোচিনের মতো অন্যান্য শহরে ম্যারিয়টের মতো বড় হোটেল নেই, আছে চমৎকার রিসোর্ট। টেক্কাডি শহরের একদিকে সমতল ভূমি, অন্যদিকে উঁচু ঢিলার উপরে রিসোর্ট। রিসোর্টের নামও খানিকটা কাব্যিক পোয়েট্রি সরোবর পোর্টিকা। রিসোর্টটা কবিতার মতোই। উঁচু টিলার উপর থেকে চারদিকে তাকালে চোখে পড়ে বিভিন্ন ধরনের সুন্দর গাছ আর প্রাকৃতিক দৃশ্য। এখানে সব রিসোর্টেই প্রবেশের আগে একজন মহিলা থালা হাতে দাঁড়িয়ে সবার কপালে চন্দনের টিপ দিয়ে অভ্যর্থনা জানায় আর ভেতরে সবার হাতে একজন মহিলা সরবত তুলে দেন।

কেরালা প্রসিদ্ধ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা, বিভিন্ন গাছের বাগান আর ওষুধের জন্য। এর পাশাপাশি আছে চা ও রাবারের বাগান। চা ও আয়ুর্বেদিক গাছের বাগান পরিদর্শনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা আছে। দর্শকদের ঘুরে ঘুরে বাগান দেখানো হয়। চা বাগান পরিদর্শনের পর চা উৎপাদনের বিভিন্ন প্রক্রিয়া ঘুরে ঘুরে দেখানোর পর তিন চার ধরনের চা তৈরি করে পান করানো হয়। কোনো চা ভালো লাগলে বাগানের আউটলেট থেকে চা কিনতে পারেন। একইভাবে বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধের ক্যাটালগ দেখিয়ে অতিথিদের বিভিন্ন ওষুধের গুণাগুণ ও ব্যাখা করা হয়। অনেকেই দুয়েকটা ওষুধ কিনে নিয়ে যান।

কেরালার খাবার বিদেশিদের কাছে সুস্বাদু। রিসোর্টের ভেতরে ডাইনিং হলে ও বাইরে বিভিন্ন ধরনের খাবার পাওয়া যায় অপেক্ষকৃত কম দামে। সবচেয়ে বিস্ময়কর দিক হলো কেরালার সর্বত্র গরুর মাংস পাওয়া যায়।

সম্ভবত কেরালাই ভারতের একমাত্র ব্যতিক্রম রাজ্য যেখানে গরুর মাংস বৈধ। পোয়েট্রি রিসোর্টে শেষ দিন দুপুরে খাওয়ার সময় ওখানকার দুজন মহিলা একজন তরুণকে আমাদের পাশে দাঁড় করিয়ে বললেন, এ আমাদের কুক এবং শুনলে খুশি হবেন এও বাঙালি। পরিচয়ের পর কুক বললেন, আমার বাড়ি পশ্চিম বাংলায় আমার নাম শাহরুখ খান। ওর নাম শুনে আমরা হেসে ফেললাম।

আপনি নায়ক শাহরুখ খানের ভক্ত নাকি?

ভক্ত। তবে, নাম আমার আব্বাই রেখেছিলেন। এখানকার খাবার কেমন লাগছে আপনাদের,

খুবই ভালো।

রান্নার প্রশংসা শুনে সবাই আনন্দিত হয়ে হাসলেন।

শাহরুখ খানের মতো আরেকজন বাঙালির সঙ্গে রাস্তার পাশে একটা রেস্তোরাঁয় খাওয়ার সময় আকস্মিকভাবে দেখা হয়ে গেল। এখানকার খাবার ছিল অত্যন্ত সুস্বাদু। আমরা তৃপ্তির সঙ্গে খাচ্ছি, সে সময় রেস্তোরাঁর একজন আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়ে বলল, কেমন লাগছে আমাদের খাবার? আমরা বিস্মিত হয়ে তার দিকে তাকালাম।

'আপনি বাঙালি?'

'হঁ্যা, বেশ কিছুদিন আগে থেকে এখানে কাজ করছি। কেরালায় অবশ্য খুব বাঙালিরাই আসে। আপনাদের দেখে খুব ভালো লাগল।

থেক্কাডি থেকে কুমারাকম শহর। কেরালার এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার জন্য একটা মোটরযান ভাড়া করা হয়েছিল। এর ফলে এক শহর থেকে অন্য শহরে যেতে বা দর্শনীয় স্থানে যেতে কোনো অসুবিধে হতো না। কুমারাকমে প্রবেশের পর চারপাশে বন্যার পানিতে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অংশ চোখে পড়ল। গত বছরেও এখানে বন্যা হয়েছিল বলে এবার বন্যা হবে না বলে শহরবাসী মনে করেছিলেন। কিন্তু এবারও বন্যা শহরের ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রধান রাস্তার উপর বন্যার পানি চলাচলে খানিকটা অসুবিধে সৃষ্টি করেছিল। রাস্তার দুপাশের অনেক বাড়িতে বন্যার পানি ঢোকায় গৃহবাসীদের অন্যত্র আশ্রয় গ্রহণ করতে হয়। অনেক দোকানে পানি ঢোকার পর লম্বা কাঠের টুকরোর ওপর দাঁড়িয়ে বিকিকিনি করতে দেখা যায়। আমাদের জন্য নির্দিষ্ট হোটেলে যেতে রাস্তার উপর পানি ঠেলে ঠেলে অনেকক্ষণ গাড়ি চলার পর বন্যা মুক্ত অঞ্চল দেখা গেল। হোটেলে প্রবেশের দরজাও ছিল বিশাল আকৃতির। গেটের দারোয়ান কাগজপত্র দেখে ভেতরে গাড়ি ঢোকার অনুমতি দিল। অভ্যর্থনা অংশের বাইরে দুজন হোটেল কর্মচারী নারী আমাদের চারজনের কপালে টিপ বা তিলক দিয়ে মুখ মোছার জন্য গরম কাপড় হাতে তুলে দিল।

হোটেলের নামটা সুন্দর 'জুরি'। আগের রিসোর্টের তুলনায় জুরি একটু স্বতন্ত্র ধরনের। জুরি সমতল ভূমির ওপর অবস্থিত এবং বেশ বড় আকৃতির। রিসেপশন থেকে দূরে হেঁটে হেঁটে নিজেদের ঘরে যেতে হয়। চারতলার হোটেলে আমোদ-প্রমোদেরও সামান্য ব্যবস্থা আছে। হোটেলের ভেতরে বড় একটা লেক, সেখানে মাছ ধরা ও পা-দিয়ে যান্ত্রিক বোটে ঘোরার ব্যবস্থা আছে। লেকে মাছ ধরতে ছিপ ও মাছের খাবার দেয়া হয় বিনামূল্যে। এখানেই আলাপ হলো হোটেল কর্মচারী মিতালীর সঙ্গে। মিতালী অবাঙালি হলেও কিছু কিছু বাংলা বলতে পারে। হোটেলের বিভিন্ন অংশে ঘোরা, মাছ ধরা ও নৌকোয় চড়ার আগে অনেক সাহায্য করেছিল। হোটেল থেকে চলে যাওয়ার সময়ও আমাদের সঙ্গে গাড়ি পর্যন্ত এসে বলেছিল, আবার সুযোগ পেলে এখানে আসবেন। মিতালীর মিষ্টি মুখ এখনো মাঝে মাঝে ভেসে ওঠে চোখের সামনে তার আতিথেয়তার কারণে। কুমারা কোম থেকে আলেপ্পে যাওয়া জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা বলা চলে। এখানে নদীর পাড়ে সারি সারি বিভিন্ন ধরনের সুদৃশ্য নৌকা দাঁড়করানো থাকে। কোনো নৌকায় দুটি, কোনটা তিনটি, চারটি বা তার চেয়ে বেশি ঘর থাকে। সব ঘরেই এসি সিস্টেম। নৌকাগুলো দেখতেও ভারি সুন্দর। আমরা দুই কক্ষবিশিষ্ট নৌকা নিয়েছিলাম। নৌকায় উঠার পর যেখানকার কর্মচারীদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দুপুরে কি খেতে চাই সেইমতো রান্না করে দেবে বলল।

আলেপ্পের সব নৌকা চলে ব্যাক ওয়াটার দিয়ে। ব্যাক ওয়াটার বন্যার পানি ও বৃষ্টি ধরে তৈরি করা হয়েছে বড় খালের আকারে। এক অংশে ব্যাক ওয়াটার নদীর সঙ্গেও মিলিত হয়েছে। কেরালাতে ব্যাক ওয়াটার এশিয়ার ভেনিস নামে খ্যাত। তার কারণ এর দুপাশে সমতল ভূমিতে মাঝে মাঝে বাড়িঘর ও জনবসতিও আছে। এসব বাড়িতে বসবাসকারীদের জন্য সরকার বিদু্যৎ ও খাওয়ার পানিরও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বলে এখানকার মানুষদের কোনো অসুবিধা হয় না। ব্যাক ওয়াটার দিয়ে অনেক নৌকার আসা-যাওয়া চোখে পড়ন। মাঝে মাঝে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও মানুষকে মুগ্ধ করে।

সারেং (মাঝি) নৌকা চালাতে চালাতে ব্যাক ওয়াটারের একদিকে পানির ওপর নৌকার যে ছোট বাজার বসেছে সেখানে গিয়ে থামলেন। এখানে অনেক ধরনের টাটকা মাছ পাওয়া যায় অপেক্ষাকৃত সুলভ মূল্যে। আমাদের নৌকা সেখানে থামার পর একটা মেয়ে হাঁড়ি থেকে বের করে বড় বড় গলদা চিংড়ি আর কাঁকড়া দেখালো। দরদাম করে আমার মেয়ে চারটে বড় বড় গলদা চিংড়ি কিনল। নৌকার রাঁধুনি নিজেদের দুপুরের মেনুর সঙ্গে চিংড়িগুলো রান্না করে ডাইনিং টেবিলের উপর সাজিয়ে রেখেছিল।

একদিন আর এক রাত নদীর বুকে আনন্দের মধ্যদিয়ে কেটে গিয়েছিল। বিশুদ্ধ বাতাস, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নৌকার কর্মচারীদের আন্তরিক ব্যবহার সহজে ভোলার নয়।

পরবর্তী সময়ে কোভালমে অবস্থান। ওখানকার রিসোর্টের নামটা বেশ বড়- নিরাময় রিট্রিটস সূর্য সমুদ্র। রিসোর্টটা বেশ বড় এবং ছোট ছোট আকারের টিলার ওপর বিভিন্ন মানের ঘর অবস্থিত। রিসোর্টের পাশেই সমুদ্র। সারাক্ষণ গর্জন করে, নিজের অস্তিত্ব জানিয়ে দিচ্ছে সবাইকে। রিসোর্টের নাম কেন 'নিরাময়' রাখা হয়েছে জানিনে। সম্ভবত, এখানে থাকলে মনের সব অবসাদ দূর হয়ে যায়। এখানে পদ্মমানাভাস্বমি নামে সুন্দর একটা মন্দির আছে, মিউজিয়াম, চিড়িয়াখানা। হর্স প্যালেস, শ্রীচিত্র আর্ট গ্যালারিও আছে। কেরালার অন্যান্য শহরের মতো রাজধানী ত্রিভানদ্রাম পর্যটকদের কাছে তেমন আকর্ষণীয় নয় বলে পর্যটকরা খুব কম আসেন।

কেরালা একদিক থেকে ভারতের স্বতন্ত্র রাজ্য। শুধু শিক্ষাদীক্ষার জন্য নয়, মানুষের আদর্শের জন্য। এখানে ভারতের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পার্টির কোনো প্রভাব নেই, তার বদলে কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট পার্টিই অত্যন্ত শক্তিশালী রাজনৈতিক দল। এখানে ক্ষমতায়ও আসে এ দুটো দল। কেরালার বৈশিষ্ট্য অসাম্প্রদায়িকতা। এখানে হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। কেরালায় সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে সুন্দর সুন্দর পুরনো ও নতুন কারুকার্য খচিত গির্জা। অনেক গির্জার সামনেই জিসাস ক্রাইস্টের আকর্ষণীয় মূর্তি আছে- যা দেখার মতো। একটা গির্জায় ক্রাইস্টের মাথার ওপর ছাতা আছে, যাতে রোদ ও বৃষ্টির সময় স্ট্যাচুর কোনো ক্ষতি না হয়। গির্জার তুলনায় এখানে মন্দির ও মসজিদ তেমন চোখে পড়ে না।

কেরালার পর দিলিস্ন গেলেও তেমন বর্ণনার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। কারণ, সবাই ইন্ডিয়ান গেট, লাল কেলস্না, জামে মসজিদ, সম্রাট হুমায়ুনের টোম্ব, হজরত নিজামউদ্দিন আউলিয়া ও সম্রাট আওরঙ্গজেব কন্যা জাহানারার কবরের কথা জানেন। এখানে শুধু একটা দিকের বর্ণনা করা যায়। দিলিস্নতে 'খান মার্কেট' বলে স্বতন্ত্র কটা শপিং সেন্টার আছে। এই পুরোন শপিং সেন্টার অন্যান্য শপিং সেন্টারের মতো নয়। এখানে ছোট ছোট রাস্তার মধ্যে সব ধরনের দোকানই আছে, অনেক দোকানের ডিজাইন খানিকটা স্বতন্ত্র। আর আছে খান সাহের রেস্তোরাঁ। এই রেস্তোরাঁর বৈশিষ্ট্য একেবারেই স্বতন্ত্র। এখানে প্রাচীন ঐতিহ্যে রান্না করা খাবার খুবই সুস্বাদু। খান সাহেবের রেস্তোরাঁ এত বিখ্যাত যে, দিলিস্নর অনেক জায়গাতেই এর শাখা আছে। খান সাহেব ছিলেন দিলিস্নর একজন সম্ভ্রান্ত মানবহিতৈষী মানুষ। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্যই নির্মিত হয়েছে খান মার্কেট।

এখানে আরও একটা দিক উলেস্নখ করা যায়, যার সঙ্গে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে আছে। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শপিং সেন্টারেই বাংলাদেশের গার্মেন্টসের তৈরি জিনিস পাওয়া যায়। কিন্তু দিলিস্নর একটা শপিং সেন্টারে লন্ডনের মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারের দোকানে বাংলাদেশের যে গুণসম্পন্ন গেঞ্জি পাওয়া যায় তা প্রকৃতই অভিনব। সারা ভারতে জকি গেঞ্জির জন্য বিখ্যাত। কিন্তু মার্কস অ্যান্ড স্পেন্সারে বাংলাদেশের যে গেঞ্জি পাওয়া যায় তা তুলনাহীন। এখানে দুটো গেঞ্জির দাম রাখা হয়েছে পনেরোশো রুপি। কিন্তু এত মোলায়েম আর স্ট্রেচেবল গেঞ্জি বাংলাদেশেও পাওয়া যায় না।

প্রসঙ্গক্রমে বাংলাদেশের আর একটা পণ্যের নামও উলেস্নখ করা যেতে পারে। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সুইডেনের বিশাল একটা দোকান আছে। 'ইকিয়া' নামে। এখানে বাংলাদেশের তৈরি যে বেড শিট পাওয়া যায় তার ডিজাইন ও কাপড় গেঞ্জির মতোই অতুলনীয়। বাংলাদেশের সামর্থ্য আছে, বাংলাদেশ কি ক্রমশ কেরালার মতো একটা সুন্দর রাজ্য হয়ে উঠতে পারে না?

ড. আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ: কথাসাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<67696 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1