শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বজ্রপাত নতুন এক দুর্যোগের নাম গবেষণা ও সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ফোরামসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হিসাব অনুসারে গত ৫ বছরে বজ্রপাতে সারা দেশে ৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত ৭ বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১১ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বজ্রপাতের সংখ্যা এবং হতাহতের পরিমাণ ক্রমাগত হারে বাড়ছে।
ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  ২৩ মে ২০১৯, ০০:০০

বজ্রপাতকে নতুন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করছেন গবেষকরা। বলা হয়ে থাকে বজ্রপাত প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যগুলোর একটি। তবে এটি মানুষের পরিচিত সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর একটিও বটে। সম্প্রতি বাংলাদেশসহ পৃথিবীজুড়ে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে। এ অস্বাভাবিকতার কারণ হচ্ছে বায়ুমন্ডলে কালো মেঘ বেড়ে যাওয়া। কালো মেঘ সৃষ্টির পেছনে বাতাসে নাইট্রোজেন ও সালফারের পরিমাণ বাড়াকেই দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামান্য বৃষ্টিপাত বা ঝড়ো বাতাসেও ঘটছে বজ্রপাত। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আবহাওয়া সম্পর্কিত দ্বিতীয় বৃহত্তম ঘাতক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে বজ্রপাত! খারাপ খবর হচ্ছে- প্রতিবছর বজ্রপাতে যত মানুষ মারা যায় তার এক-চতুর্থাংশ মারা যায় বাংলাদেশে। দুর্যোগ তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, বাংলাদেশ হচ্ছে পৃথিবীর মধ্যে বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ মৃতু্যর দেশ। পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালে ২৯৭ জন, ২০১৭ সালে ৩০৬ জন, ২০১৬ সালে ২৪৫ জন, ২০১৫ সালে ১৮৬, ২০১৪ সালে ২১০, ২০১৩ সালে ২৮৫, ২০১২ সালে ৩০১, ২০১১ সালে ১৭৯ জন বজ্রপাতে মারা গেছে। ৫ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বুয়েট, দুর্যোগ ফোরাম, গণমাধ্যমের তথ্য ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হিসাব মতে, গত ৬ বছরে সারা দেশে বজ্রপাতে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। বজ্রপাতের এমন আচরণই বলে দিচ্ছে মানবজাতির কার্যক্রমের ওপর প্রকৃতি কতটা নাখোশ। মানুষের অধিক চাহিদা আর লোভে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্টের খেসারত হিসেবে প্রকৃতির প্রতিশোধ কি বজ্রপাত বিষয়টি নিয়ে এখন গভীরভাবে ভেবে দেখার সময় এসেছে।

বজ্রপাতের কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে- দেশের বেশির ভাগ মানুষের কাছে এখন মুঠোফোন আছে। অধিকাংশ এলাকায় মুঠোফোন ও বৈদু্যতিক টাওয়ার রয়েছে। কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে। সন্ধ্যার পর মানুষের ঘরের বাইরে অবস্থান বাড়ছে। বেশির ভাগ বজ্রপাতই হয় সন্ধ্যায়। নদীর নব্য বিনষ্ট, জলাভূমি ভরাট, বন-জঙ্গল ধ্বংস হওয়ায় দেশের তাপমাত্রা এক থেকে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বর্ষা আসার আগের মে মাসে তাপমাত্রা বেশি বাড়ছে। এতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে আসা আর্দ্রবায়ু আর উত্তরে হিমালয় থেকে আসা শুষ্ক বায়ুর মিলে বজ্রঝড় সৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন পরিসংখ্যানের গড় হিসাবে দেখা গেছে, দেশে প্রতিবছর গড়ে ২০০ থেকে ৪০০ জনের মৃতু্য ঘটে বজ্রপাতে। বেসরকারি হিসাবে মৃতু্যর সংখ্যা আরও বেশি। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়ার অস্বাভাবিক অবস্থা বায়ুমন্ডলে অস্থিরতা সৃষ্টির কারণে বজ্রপাতের ঝুঁকি বেড়েছে। তারা বলছেন, ঘূর্ণিঝড়ের মতোই ভয়ঙ্কর হতে পারে বজ্রপাত। ঘূর্ণিঝড়ে একই সময় একই জায়গায় অনেক মানুষের মৃতু্য ঘটে থাকে। আর বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ক্ষতির শিকার হয়। তাই বজ্রপাতের ভয়াবহতা খুব বেশি মানুষের চোখে পড়ে না। হাওরাঞ্চলে আর্দ্রতা বেশি হওয়ায় সেখানে বজ্রপাত বেশির একটা কারণ হতে পারে।

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোকপাত করা হলো। মেঘের গর্জন বা বিদু্যৎ চমকালে পূর্ব থেকেই বা সঙ্গে সঙ্গে পাকা বাড়ির নিচে আশ্রয় নিতে হবে। ঘন ঘন বজ্রপাত হতে থাকলে কোনো অবস্থাতেই খোলা বা উঁচু জায়গায় না থাকাই ভালো। এ অবস্থায় সবচেয়ে ভালো হয়, যদি কোনো দালানের নিচে আশ্রয় নিতে পারেন। উঁচু গাছপালা ও বিদু্যতের লাইন থেকে দূরে থাকতে হবে। উঁচু গাছপালা বা বিদু্যতের খুঁটিতে বজ্রপাতের সম্ভাবনা বেশি থাকে। খোলা জায়গায় কোনো গাছ থাকলে তা থেকে অন্তত ৪ মিটার দূরে থাকতে হবে। এ ছাড়া ফাঁকা জায়গায় কোনো যাত্রীছাউনি, নদী, বিল, মাঠ, ঘাট বা বড়গাছ ইত্যাদিতে বজ্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি থাকে। ঘরে থাকলে বজ্রপাতের সময় জানালা থেকে দূরে থাকতে হবে। জানালা বন্ধ রাখতে হবে। ধাতব বস্তু এড়িয়ে চলতে হবে। বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না। এমনকি ল্যান্ড লাইন টেলিফোনও স্পর্শ না করার পরামর্শ দেয়া হয়। বজ্রপাতের সময় বৈদু্যতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখা ভালো। বজ্রপাতের আভাস পেলে আগেই এগুলোর পস্নাগ খুলে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করুন। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির পস্নাগ আগেই খুলে রাখুন। বজ্রপাতের সময় রাস্তায় গাড়িতে থাকলে যত দ্রম্নত সম্ভব নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরার চেষ্টা করতে হবে। প্রচন্ড বজ্রপাত ও বৃষ্টি হলে গাড়ি কোনো গাড়ির বারান্দা বা পাকা ছাউনির নিচে রাখতে হবে। এ সময় গাড়ির কাচে হাত দেয়া বিপজ্জনক হতে পারে। বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। যদি একান্ত বেরোতেই হয় তাহলে পা ঢাকা জুতা পরে বের হতে হবে। রবারের গামবুট এ ক্ষেত্রে সব থেকে ভালো কাজ করবে। খোলা জায়গায় বা ফসলের মাঠে কাজ করা অবস্থায় আশ্রয়ের জায়গা না থাকলে যতটা সম্ভব নিচু হয়ে গুটিসুটি মেরে বসে পড়তে হবে। কোনো অবস্থাতেই মাটিতে শোয়া যাবে না। জলাশয় থেকে দূরে থাকতে হবে। বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে। নৌকায় থাকলে ছইয়ের নিচে থাকতে হবে।

ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা এ প্রসঙ্গে উপস্থাপন করা হলো। বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ২০টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- বজ্রপাতের ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ না করা, প্রতিটি ভবনে বজ্র নিরোধক দন্ড স্থাপন, ঝড়-বৃষ্টির সময় খোলাস্থানে অনেকে মিলে একত্রে অবস্থান না করা, সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে চলে যাওয়া। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা গেলে ঘরে অবস্থান করা এবং যত দ্রম্নত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নেয়া উচিত।

জরুরি প্রয়োজনে পস্নাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, 'ঘন-কালো মেঘ দেখা গেলে অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারেন। উঁচু গাছপালা, বৈদু্যতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন। খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।'

বজ্রপাত সম্পর্কে সচেতন হলে এ দুর্যোগ থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে গবেষণা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। বিশেষ করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনসাধারণকে সচেতন ও সজাগ করে তোলা প্রয়োজন যাতে বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা এড়ানো যায়। বজ্রপাত নিয়ে গবেষণার বিষয়টিকে সরকারের পক্ষ থেকেও গুরুত্ব দেয়া দরকার। বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলেছে। যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে হতাহতের এই হার ভয়াবহ। বজ্রপাত একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও বর্তমানে বজ্রপাতজনিত মৃতু্যর সংখ্যা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, দুর্যোগ ফোরামসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হিসাব অনুসারে গত ৫ বছরে বজ্রপাতে সারা দেশে ৩ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের গত ৭ বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০১১ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত বজ্রপাতের সংখ্যা এবং হতাহতের পরিমাণ ক্রমাগত হারে বাড়ছে।

\হঅস্বাভাবিক ক্ষরা, বন্যা, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো বজ্রপাত বৃদ্ধির জন্যও ভূমন্ডলের উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তনের প্রবণতাকে দায়ী করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলেই বজ্রপাত ও এতে মৃতু্যর হার বেশি। গ্রামে-গঞ্জে আজকাল তাল, নারিকেল, সুপারি, বট প্রভৃতির মতো বড় বড় গাছের অভাব, বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা না থাকা, কৃষি যন্ত্রপাতিতে ধাতব যন্ত্রপাতির ব্যবহার বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণেও বজ্রপাতের হার বাড়ছে। আবার আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, নদ-নদী শুকিয়ে যাওয়া, জলাভূমি ভরাট হওয়া আর গাছপালা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে দেশে অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা এক থেকে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বর্ষা আসার আগে মে মাসে তাপমাত্রা বেশি হারে বাড়ছে। এতে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। অতঃপর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর থেকে ভেসে আসা আর্দ্র বায়ু আর উত্তরে হিমালয় থেকে আসা শুষ্ক বায়ুর মিলনে বজ্রমেঘ, বজ্রঝড় ও বজ্রপাতের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে বজ্রপাত বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা পরিসংখ্যান বা পত্রিকায় প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি বলেই ধরে নেয়া যায়। আন্তর্জাতিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে বজ্রপাতজনিত মৃতু্য এক-চতুর্থাংশই ঘটে বাংলাদেশে। এখানে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বজ্রপাতের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বজ্রপাত সবচেয়ে বেশি হয়। বাংলাদেশে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় গড়ে প্রায় ৪০টি বজ্রপাত হয়ে থাকে। বজ্রপাত সম্পর্কে সচেতন হলে এ দুর্যোগ থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে গবেষণা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। বিশেষ করে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জনসাধারণকে সচেতন ও সজাগ করে তোলা প্রয়োজন যাতে বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা এড়ানো যায়। বজ্রপাত নিয়ে গবেষণার বিষয়টিকে সরকারের পক্ষ থেকেও গুরুত্ব দেয়া দরকার।

এপ্রিল-মে মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েক বছরে যে হারে বজ্রপাতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বাংলাদেশ বজ্রপাত ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। গবেষণা তথ্যমতে, বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বায়ুদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত ১০ বছরের বাংলাদেশে মারা গেছে সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ। বছরে গড়ে ৮০ থেকে ১২০ দিন বজ্রপাতের ঘটনা ঘটছে।

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই। সতর্ক হলে মৃতু্যর সংখ্যা কমানো যেতে পারে। দুঃখজনক সত্যটি হলো, বাংলাদেশে বজ্রপাতের ওপর তেমন কোনো গবেষণা নেই। তবে ইউরোপ, জাপান ও আমেরিকায় এ বিষয়টি নিয়ে বড় বড় গবেষণা চলছে। এক সময় দেশের বেশির ভাগ গ্রামে বড় গাছ থাকত। তাল, নারিকেল, বটসহ নানা ধরনের গাছ বজ্রপাতের আঘাত নিজের শরীরে নিয়ে নিত। বিভিন্ন কারণে বড় গাছগুলো উজাড় হওয়ায় বজ্রপাতের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এর জন্য জরুরি প্রয়োজন বনায়ন।

ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ: লেখক, কলামিস্ট ও গবেষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<50694 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1