বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের জন্য স্কাউটিং

সুধীর বরণ মাঝি
  ১৬ মে ২০১৯, ০০:০০

স্কাউট বিশ্বব্যাপী একটি অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। স্কাউট আন্দোলনকে ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানও বলা হয়। স্কাউট একটি আন্দোলন- যার কাজ হলো আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা দান। স্কাউটিংয়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে অপার আনন্দ, যার স্বাদ নিতে হলে যোগদান করতে হবে এই আন্দোলনে। এর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষ নিজেকে নতুন করে খুঁজে পায়। শুধু কাজ ও আনন্দই নয়, স্বীকৃতি অর্জনের এক অপূর্ব সুযোগ। স্বীকৃতি অর্জনের জন্য একজন স্কাউটারকে কতগুলো দক্ষতা অর্জন করতে হয়। যা অন্যকে এই আন্দোলনের প্রতি উৎসাহিত করে। রর্বাট স্টিফেন্সন স্মিথ লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল অব গিলওয়েল ১৯০৭ সালে এই আন্দোলন শুরু করেন। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই স্কাউট আন্দোলন রয়েছে। অবিভক্ত উপমহাদেশে ১৯১১ খ্রি. স্কাউট আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। বাংলাদেশে স্কাউট আন্দোলনের সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। ১৯৭২ সালের ৮-৯ এপ্রিল সারাদেশের স্কাউট নেতারা ঢাকায় এক সভায় মিলিত হয়ে গঠন করেন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি। ওই বছরের সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতির ১১১নং অধ্যাদেশ বলে (১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২, সোমবার) ওই সমিতি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে। বিশ্ব স্কাউট সংস্থা ১৯৭৪ সালের ১ জুন বাংলাদেশ স্কাউট সমিতিকে ১০৫তম সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে ১৯৭৮ সালের ১৮ জুন পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিল সভায় সমিতির নাম বদল করে রাখা হয় বাংলাদেশ স্কাউটস। এই কার্যক্রম প্রতিটি মানুষকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা ধরনের চেষ্টা চলায়। এই আন্দোলনের মাধ্যমে একজন শিশু তার স্বাভাবিক মেধা বিকাশের সুযোগ পায়। স্কাউট আন্দোলন সমগ্র বিশ্বে ভ্রাতৃত্বের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত। স্কাউট আন্দোলন শিশু-কিশোর ও যুবকদের সত্য ও ন্যায়ের অনুযায়ী উদ্যম, সুশৃঙ্খল ও সাহসী করে তোলে। এই আন্দোলনের শিশু-কিশোর ও যুবকরা শিখে কীভাবে প্রতিকূল পরিবেশে দৃঢ়তা এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে টিকে থাকতে হয়। প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার লড়াই চারিত্রিক দৃঢ়তা তৈরি করে। দেশ, জাতি, বর্ণ ও ভাষায় স্কাউটদের মধ্যে কোনো পার্থক্য বিবেচনা করা হয় না। তাদের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি, আইন, শপথ, মূলমন্ত্র, আচার-আচরণ সবকিছুর মধ্যে একটা ঐক্য বিরাজ করে। প্রতিটি স্কাউটকে নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হয়। তবে তারা অপরের ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধা রাখে। স্কাউটদের মধ্যে কোনো সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ থাকে না। সেবামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করাই এর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। পরোপকারের মহান ব্রত নিয়ে এটি কাজ করে। মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করাই তাদের অন্যতম কাজ। স্কাউট আন্দোলন পরিচালনার জন্য ৭টি আইন এবং একটি নির্দিষ্ট শপথ বাক্য আছে। বাংলাদেশ স্কাউট কার্যক্রম শুরু করেছিল মাত্র ৫৬৩২৫ জন সদস্য নিয়ে। তবে স্কাউটের বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখের কাছাকাছি। স্কাউটদের সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্ব স্কাউটে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। বাংলাদেশ স্কাউট অগ্রাধিকার কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯টি উচ্চ পর্যায়ে জাতীয় কমিটি গঠন করছে। যেগুলোর সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট ও অভিজ্ঞ স্কাউটরা। বাংলাদেশ স্কাউটসের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পরিষদ হচ্ছে জাতীয় স্কাউট কাউন্সিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও চিফ স্কাউট এ কাউন্সিলের প্রধান। স্কাউট জাতীয় কাউন্সিলের সভা প্রতিবছর সদর দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। দেশব্যাপী স্কাউট আন্দোলনের সার্বিক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে পেশাগতভাবে প্রশিক্ষিত প্রায় ৫০ জন স্কাউট এক্সিকিউটিভ রয়েছেন। বাংলাদেশ স্কাউটের যাবতীয় কার্যক্রম জাতীয় সদরদপ্তর, স্কাউট ভবন থেকে পরিচালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ স্কাউট আন্দোলন প্রধানত তিনটি শাখায় বিভক্ত। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৬ থেকে ১০+বয়সী শিশুদের কাব স্কাউট, স্কুল ও মাদ্রাসায় ১১ থেকে ১৬+বয়সী বালক-বালিকাদের স্কাউট এবং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭-২৫ বয়সী যুবককে রোভার স্কাউট বলে। তবে রেলওয়ে, নৌ এবং এয়ার অঞ্চলের চাকরিজীবীদের জন্য ৩০ বছর পর্যন্ত বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে মুক্ত দল। উৎসাহী বয়স্করা স্কাউটের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে ইউনিট লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকমন্ডলী বাংলাদেশ স্কাউটের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট রয়েছেন।

আজকের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের যুগে স্কাউটিং আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম। স্কাউটিংয়ের মূল লক্ষ্য হচ্ছে শিশু-কিশোরদের শারীরিক, মানসিক, নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সামাজিক গুণাবলি উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের পরিবার, সমাজ, দেশ তথা বিশ্বের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। সময়ের চাহিদা পূরণে স্কাউট আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমাদের স্কাউট কার্যক্রমে কতগুলো বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়; হাতেকলমে কাজ শেখা; ছোট ছোট দল পদ্ধতিতে কাজ করা; ব্যাজ পদ্ধতির মাধ্যমে কাজের স্বীকৃতি প্রদান, মুক্তাঙ্গনে কাজ সম্পাদন, তিন আঙুলে সালাম ও ডান হাত করমর্দন, স্কাউট পোশাক, স্কার্ফ ও ব্যাজ পরিধান এবং সর্বদা স্কাউট আইন ও প্রতিজ্ঞা মেনে চলা। স্কাউটদের আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েলের নির্দেশিত নিয়ম অনুসারে অনুশীলন, প্রতিজ্ঞা পাঠ ও দীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে স্কাউট আন্দোলনে সদস্য হতে হয়। স্কাউটদের মটো বা মূলমন্ত্র হচ্ছে: কাব-যথাসাধ্য চেষ্টা করা; স্কাউট-সদা প্রস্তুত; এবং রোভার-সেবাদান। স্কাউট কার্যক্রমে রয়েছে: সাপ্তাহিক ক্লাশ, ক্যাম্প ও হাইকিং, কমডেকা এবং বড় বড় সমাবেশ যথা: ক্যাম্পুরি ( কাবদের), জাম্বুরি (স্কাউটদের) ও মুট (রোভারদের) আয়োজন করা হয়ে থাকে জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে (এগুলো আন্তর্জাতিকভাবে) বিশ্ব স্কাউট সংস্থাও করে থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বিভিন্ন গ্রম্নপ ও জেলা পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বৃক্ষরোপণ, টিকাদান, স্যানিটেশন ও পরিবেশ সংরক্ষণ, জ্বালানি-সাশ্রয়ী চুলা, ট্রাফিক কার্যক্রম এবং বন্যা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় স্কাউটদের সেবাদান কর্মসূচি বাংলাদেশের মানুষ সর্বদাই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।

স্কাউটদের এ সব কার্যক্রম এবং বিভিন্ন ট্রেনিং এর জন্য বিভিন্ন ব্যাজ প্রদানের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়া হয়। স্কাউটদের তিনটি শাখার জন্য সর্বোচ্চ ব্যাজ হচ্ছে : শাপলা কাব, প্রেসিডেন্ট'স স্কাউট এবং প্রেসিডেন্ট'স রোভার স্কাউট। অ্যাডাল্ট লিডারদের স্কাউটিং এ অবদান রাখার জন্য তাদেরও বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এর মধ্যে সর্বোচ্চ হচ্ছে রোপ্য ব্র্যাঘ এবং দ্বিতীয় হচ্ছে রৌপ্য ইলিশ। বিশ্ব স্কাউট সংস্থাও বিভিন্ন দেশের অসাধারণ স্কাউটদের জন্য ব্রোঞ্জ উলফ ব্যাজ। স্কাউট কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা জন্য বাংলাদেশ স্কাউটসের রয়েছে প্রায় ৩০টির মতো প্রকাশনা। বাংলাদেশ স্কাউটসের অগ্রদূত নামে একটি মাসিক পত্রিকা নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। স্কাউট আন্দোলন জীবনকে সুন্দরভাবে গঠন করতে সহযোগিতা করে। আমাদের শিশু-কিশোর ও যুবক-যুবতীদের আনুগত্য ও আত্মনির্ভশীলতা ও শিক্ষা দিয়ে যোগ্য করে গড়ে তোলে। তারা পরোপকারের অনুশীলন করবে এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণে এগিয়ে আসবে। স্কাউটদের শারীরিক, আধ্যাত্মিক উন্নতি সাধন স্কাউট আন্দোলনের উদ্দেশ্য। এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সামাজিক সম্পর্ক এবং দেশের অভ্যন্তরে আঞ্চলিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় ও বিভিন্ন এলাকার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিষয়ে বাস্তব ধারণা লাভ করে। বিভিন্ন উপদলের মাধ্যমে স্কাউট আন্দোলন কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং এর মধ্য দিয়ে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। স্কাউটের উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি ব্যাপক থেকে ব্যাপকর হচ্ছে। এর ফলে শিশু-কিশোরদের মধ্যে সেবামূলক মনোভাব গড়ে উঠছে। যে কোনো বিপদে বিচলিত না হয়ে ধীরে-সুস্থে এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষা আমরা স্কাউট আন্দোলন থেকে লাভ করি। আমাদের দেশে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখন স্কাউট কার্যক্রম চালু আছে। একজন স্কাউট সবার বন্ধু। তার দ্বারা কোনো ক্ষতি সাধিত হয় না। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্কাউট কার্যক্রমকে আরো বেশি গতিশীল ও কার্যকর করতে হবে। বাংলাদেশের স্কাউটরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমাবেশে অংশগ্রহণ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে। কোমলমতি ছেলেমেয়েদের সমাজসেবামূলক কাজে ব্যস্ত রাখার মধ্য দিয়ে তাদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলির বিকাশ ও দেশপ্রেম জাগ্রত করা যায়। একজন স্কাউট এগিয়ে যায় সবার সাহায্যে। কোনো কিছু প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে, মানবতার টানে। সব মানবিক গুণাবলি কমবেশি দেখা যায় স্কাউটদের মধ্যে। সব নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা এবং সবার সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ার মনমানসিকতা তাদের মধ্যে থাকে। নানান শিক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন স্তরবিশিষ্ট প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তাদের আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সৎ, চরিত্রবান, কর্মদ্যোগী সেবাপরায়ণ, সর্বোপরি সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্কাউট কাজ করে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রেক্ষাপটে দেশ ও জাতি গঠনে স্কাউট আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিহার্য। মূলত প্রচলিত প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষার একটি সম্পূরক সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম হচ্ছে স্কাউটিং। স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে মাদক প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধসহ গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক আন্দোলনে ভূমিকা পালন করতে পারে।এসো সবাই স্কাউটিং করি সৎ সাহসী ও আত্মনির্ভরশীল জীবন গড়ি। স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে জীবন ও জগৎ সম্পর্কে উপলব্ধি ক্ষমতাবৃদ্ধি পায়। স্কাউটিং বিশ্বব্যাপী একটি অরাজনৈতিক সেবামূলক শিক্ষাবিষয়ক আন্দোলন। এই আন্দোলনকে সফল করতে হলে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ এবং সবার সহযোগিতা ও সচেতনতার দরকার। এই আন্দোলন বিশ্বাস করে একজন স্কাউট চিন্তা, কথা ও কাজে নির্মল। স্কাউটের এই কথাকে সফল করতে পারলে আমাদের তরুণ ও যুবকদের মধ্যে দৃশ্যমান অনেক সংকটের সহজ সমাধান সম্ভব। স্কাউট আন্দোলনকে আরো বেশি ছড়িয়ে দিতে হবে সবার মাঝে। এই আন্দোলনের সঙ্গে আরো বেশি ছেলেমেয়েদের যুক্ত করতে হবে স্কাউটিং কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে। আমাদের দেশে যারা স্কাউট আন্দোলনের ধারক-বাহক তাদের আরো বেশি কর্মনিপুণ, দক্ষ এবং উদার হতে হবে। স্কাউটের যে সাতটি আইন তার পূর্ণ প্রয়োগ ঘটাতে হবে প্রত্যেক স্কাউটদের মধ্যে এবং লোক দেখানো স্কাউটিং পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে স্কাউট সবসময় ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে। স্কাউট আত্মমর্যাদায় বিশ্বাসী, স্কাউট সবার বন্ধু, স্কাউট বিনয়ী ও অনুগত, স্কাউট জীবের প্রতি সদয়, স্কাউট সদা প্রফুলস্ন, স্কাউট মিতব্যয়ী এবং স্কাউট চিন্তা, কথা ও কাজে নির্মল। এই সাতটি আইন দ্বারা স্কাউট পরিচালিত হয়। প্রত্যক স্কাউটদের জীবনে এই সাতটি আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও চর্চা করা আবশ্যক। তা না হলে স্কাউটিং করা হবে শুধুমাত্র সময় ক্ষেপণ করা। আমরা আশা করি, আমাদের স্কাউট দ্রম্নত উন্নতি ও সমৃদ্ধি লাভ করবে এবং ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পাল করবে।

সুধীর বরণ মাঝি: শিক্ষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<49560 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1