আজকের যায়যায়দিন

একের পর এক হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটতে থাকলে তা যেমন দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পথে অন্তরায়, তেমনি মানুষের স্বাভাবিক জীবনের জন্যও পরিপন্থী। এ ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হলেও এই ধরনের অপকমের্ক প্রতিহত করা অপরিহাযর্ বলেই প্রতীয়মান হয়। আর তা না হলে সবর্স্তরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। বলার অপেক্ষা রাখে না, বতর্মান সময়ের দিকে দৃষ্টি দিলে যে চিত্র পরিলক্ষিত হয় তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কেননা পত্রপত্রিকার পাতা উল্টালেই দেখা যায়, একের পর এক খুন, ধষর্ণ, রাহাজানি, ছিনতাইসহ নিত্য নতুন উপায়ে অপরাধের খবর। আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার সামগ্রিক এই পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মহাখালী ও সাভারের আশুলিয়ার বেড়িবঁাধ এলাকায় রোববার গুলি ও ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মোহাম্মদপুরে ছুরিকাঘাতে এক ব্যবসায়ী, মহাখালী এবং আশুলিয়ায় গুলিতে দুই যুবক নিহত হন। জানা গেছে যে, ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে রুমে ফ্যান লাগানোকে কেন্দ্র করে দুজনের মাঝে ঝগড়া থেকে। আর রোববার ভোরে মহাখালীর আমতলী এলাকায় স্থানীয় লোকজন কাজী রাশেদ নামের এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। অন্যদিকে রোববার ভোরেই আশুলিয়ায় বেড়িবঁাধ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় অপর এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

আমরা বলতে চাই, যখন একের পর এক খুনের বিষয় সামনে আসছে, মানুষ চলে যাচ্ছে না ফেরার দেশে, তখন সাবির্ক এই পরিস্থিতি কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কেন একের পর এক হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটছে, সেই বিষয়কে সামনে রেখে বিচার-বিশ্লেষণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। মনে রাখা দরকার, অপরাধমূলক ঘটনা রোধ করা না গেলে তা শুধু বতর্মান সময়কেই নয় বরং ভবিষ্যতের জন্যও অত্যন্ত শঙ্কার। আমরা মনে করি, হত্যাকাÐের ঘটনাসহ সামগ্রিকভাবে অপরাধমূলক যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা খতিয়ে দেখে কাযর্কর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। একটি স্বাধীন সাবের্ভৗম রাষ্ট্রে একের পর এক হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটতেই থাকবে, এটা হতে পারে না। সংশ্লিষ্টদের মনে রাখা দরকার, শুধু এবারের ঘটনাটি নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময়েই গুলি করে, কুপিয়ে, এমনকি দিন-দুপুরে ফিল্মি স্টাইলেও ঘটেছে হত্যাকাÐের ঘটনা। অথচ এই ধরনের পরিস্থিতি কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা বলতে চাই, এবারের গুলি ও ছুরিকাঘাতে যে তিন জন নিহত হলো, এই ঘটনাগুলোকে আমলে নিন এবং সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। এ কথা মনে রাখা দরকার, অপরাধীরা পার পেয়ে গেলে তারা আরও বেশি অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে এমন আশঙ্কা এড়ানো যায় না। ফলে যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

সবোর্পরি আমরা বলতে চাই, যেভাবেই খুনের ঘটনা ঘটুক না কেন তার রহস্য উদ্ঘাটন জরুরি। যেভাবে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে তা কোনো সভ্যসমাজে ঘটার কথা না। আর এ ধরনের ঘটনা রোধ না হলে সামগ্রিকভাবেই তা ভয়ানক, যা জনজীবনের স্বাভাবিকতার জন্যও প্রতিবন্ধক। সঙ্গত কারণেই সামগ্রিক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে, অপরাধমূলক ঘটনা কেন ঘটছে সেগুলো যেমন খতিয়ে দেখতে হবে, তেমনিভাবে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি এমন উদ্যোগ গ্রহণও জরুরি যেন অপরাধপ্রবণতা কমে আসে। এমন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত হোক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।

ভারতের লোকসভা নির্বাচন