শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০১৮: এমপিওবিষয়ক কিছু কথা

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উচ্চ মাধ্যমিক খোলার পর তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিন্তু তার গ্রেড পরিবতর্ন হবে না। এটি একটি পুরাতন ধারণা।
দুলাল চন্দ্র চৌধুরী
  ১৬ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ১২ জুলাই ২০১৮ তারিখ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা প্রকাশ করেছে। জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১০ ও সংশোধিত ২০১৩ পরিবতর্ন ও পরিমাজের্নর মাধ্যমেই এ নীতিমালা করা হয়েছে। এমপিওভুক্তির জন্য নীতিমালা ছিল আবার তা পরিমাজর্ন করে প্রকাশ করা হয়েছে, এজন্য শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাসচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ। একটি নীতিমালা থাকলে কেউ যাচ্ছে-তাই ভাবে এমপিওভুক্তি করতে পারে না। আমার আশা ও বিশ্বাস এবারেও তা পারবে না। এ নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে এ নীতিমালা যাদের জন্য প্রযোজ্য তাদের প্রতিনিধি ছিল না। থাকলে এটা আরও সুন্দর ও নিভ‚র্ল হতে পারত বলে আমার বিশ্বাস। প্রচলিত অথের্ নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতকোত্তর প্রত্যেক স্তরে শিক্ষকদের আলাদা আলাদা আপত্তি আছে, এ নীতিমালার বিরুদ্ধে কিছু আছে সাধারণ আপত্তি। তবে সবার দৃষ্টি নিবন্ধিত হচ্ছে নন এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কমর্চারীদের এমপিওভুক্তির দাবি। এর মধ্যে যতটা আবেগ আছে ততটা বিবেক নাই। তাদের বক্তব্য মতেÑ তারা এমপিওভুক্তির জন্য আন্দোলন করছে দীঘির্দন ধরে। তাদের সফলতা আসছে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান নীতিগতভাবে এমপিওভুক্তির দাবি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মেনে নিয়েছেন। সে অনুযায়ী বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরকার কিন্তু তাদের কথা রেখেছে এবং তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এমপিওর জন্য নীতিমালা প্রকাশ করেছে। আন্দোলনকারীদের দাবিÑ এ নীতিমালায় এমপিও নয় আগের নীতিমালায় এমপিও করতে হবে। আগের নীতিমালা থেকে এ নীতিমালায় যে বিশাল পরিবতর্ন করেছে এমন নয়। তুলনামূলকভাবে পযাের্লাচনা করলে দেখা যায়Ñ প্রাপ্যতা, ভৌগোলিক দূরত্ব, জনসংখ্যা, কাম্য শিক্ষাথীর্, জনবল কাঠামো, স্বীকৃতি, ব্যবস্থাপনা কমিটি সবই আগে যা ছিল তা আছে, কোনো পরিবতর্ন করা হয়নি। শুধু কাম্য ফলাফলের পরিবতর্ন করা হয়েছে। ২০১৩ সালের সংশোধিত নীতিমালায় ছিল শহরের জন্য পরীক্ষাথীর্র সংখ্যা ৫০ জন এবং পাসের হার ৫০%, মফস্বলে পরীক্ষাথীর্র সংখ্যা ৩০ জন এবং পাসের হার ৫০%। ২০১৮Ñ নীতিমালায় শহরের জন্য পরীক্ষাথীর্র সংখ্যা ৬০ জন এবং পাসের হার ৭০%, মফস্বলে পরীক্ষাথীর্র সংখ্যা ৪০ জন এবং পাসের হার ৭০%। আর এই ধারাটি নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির প্রধান প্রতিবন্ধকতা। এই ধারাটি শিথিল করলে তারা এমপিও পেতে পারে। তাদের দাবি সবাইকে এমপিওভুক্ত করতে হবে। এটাও সরকারের পক্ষে একবারে করা সম্ভব নয়। আমার মনে হয় আন্দোলনকারীরাও সেটা বোঝেন সরকারের উচিত হবে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসা। তাদের বোঝানো নীতিমালার বাইরে যাওয়া যাবে না। আপনারা এ বছরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নীতিমালা অনুযায়ী এমপিওভুক্ত হন। বাকিদেরও পযার্য়ক্রমে প্রতিবারে অল্প অল্প করে ক্রমান্বয়ে এমপিওভুক্ত করা হবে। তিনবছর-চারবছরের মধ্যে শেষ করে দেবে। আমার মনে হয় এরকম আলোচনার ফসল তাদের অনশন ভাঙা। আপনি বিদ্যালয় করলেন কী জন্য? শিক্ষাথীের্দর কথা চিন্তা করে? না আপনার এমপিও পাওয়ার জন্য? কোনটি আগে, না উভয়ই আপনার কাছে সমান। যদি শিক্ষাথীের্দর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হয় তবে বিদ্যালয়ের মান ভালো করতে হবে। আর শিক্ষার মান বাড়াতে হলে শিক্ষকদের বেতন দিতে হবে। আর যদি আপনি আপনার এমপিওর জন্য বিদ্যালয় করেন আর সেই বিদ্যালয় মানসম্মত না হয় তবে সরকার কেন আপনাকে এমপিও দেবে। সরকারের কাছে তো আপনি দান চাচ্ছেন না। যে কোনো শতর্ ছাড়া দেবে না। আপনি যে বিদ্যালয়টিতে কাজ করছেন সেটা সরকারের যে নীতিমালা আছে সেটার আওতায় পড়লে তবেই তো আপনার প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে। আপনি বারো বছর বা চৌদ্দ বছর চাকরি করছেন, সেখানে কাম্য শিক্ষাথীর্ নেই আর সরকার আপনার এমপিও দেবে এটা হতে পারে না। সরকার ঢালাওভাবে সবার এমপিও দিতে পারে না। পারে না তার কারণ : ১। বাজেটে পযার্প্ত অথের্র অভাব। ২। মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভাব।

যাচাই-বাছাই করার আগে বলা যাবে না আমাদের সমস্যা কোথায়? অথের্ না মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের? যদি মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকে তবে বরাদ্দ বাড়িয়ে এমপিও করার দাবি করা যায়। আর মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকলে যেনতেনভাবে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানে এমপিও দিয়ে শিক্ষার বারোটা বাজানো যাবে না। আপনার প্রতিষ্ঠান মানসম্পন্ন হওয়ার পরে এমপিও হবে। সরকার এটা যাচাই-বাছাই করার জন্য কমিটি করেছে। অনলাইনে আবেদন করতে বলেছে। তাই আমার কথা হলো অনশন ভেঙেছেন এবার অনলাইনে আবেদন করেন। যাচাই-বাছাই হউক যদি আন্দোলন করার দরকার হয় আমরাও আন্দোলন করব। আন্দোলনকারীদের নীতিমালার মধ্যে আসতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে নীতিমালা বোঝাতে হবে। জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা প্রণয়নে শিক্ষক-কমর্চারীদের কোনো প্রতিনিধি ছিল না। যদি জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা প্রণয়নে শিক্ষক-কমর্চারীদের কোনো প্রতিনিধি থাকত তাহলে ভালো বই মন্দ হত না। শিক্ষক প্রতিনিধির মধ্যেও আবার তফাৎ আছে। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পযর্ন্ত সবাই শিক্ষক। প্রাথমিক বা মাধ্যমিকের নীতিমালা প্রণয়নের জন্য প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শাখার শিক্ষক প্রতিনিধি থাকলে ভালো হয়। তারা তাদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পকের্ জানে এবং অসুবিধাগুলো দূরকরণের জন্য মতামত দিতে পারতেন। এ নীতিমালা বেশকিছু জায়গায় সংশোধনের প্রয়োজন। আবার কোন কোন ক্ষেত্রের ব্যাখ্যা সুস্পষ্ট না। ধারা ৫.৭ ঘঞজঈঅ- এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের কথা বলা আছে। এখন ঘঞজঈঅ ছাড়া সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না। তবে এখানে শুধু প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মাধ্যমে দেয়া হয়। এখানে উল্লেখ আছে শতর্পূরণ ওই প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির নিশ্চিত করে না। নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শাখায় সহকারী শিক্ষক ভৌত বিজ্ঞান পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে আমার চাওয়া সহকারী শিক্ষক ভৌত বিজ্ঞান না করে সহকারী শিক্ষক বিজ্ঞান করার প্রস্তাব করছি। মাধ্যমিক বিদ্যালয় মানবিক শাখার জন্য একজন সহকারী শিক্ষক পদের প্রস্তাব করছি। নিম্ন মাধ্যমিকের জন্য ৪ জন চতুথর্ শ্রেণির কমর্চারীর পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৫টি পদ সৃষ্টির জন্য প্রস্তাব করছি। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জন্য ৬টি পদ সৃষ্টির জন্য প্রস্তাব করছি।

৬.১.১ এর খ-তে নবম শ্রেণিতে মানবিক শাখা, বিজ্ঞান, ব্যবসা শিক্ষায় ইত্যাদি শাখা খোলার জন্য প্রত্যেক শাখার জন্য ন্যূনতম ২৫ জন শিক্ষাথীর্ প্রয়োজন। এখানে শুধু নবম শ্রেণিতে নয়Ñ প্রত্যেক শাখায় (নবম ও দশম) শ্রেণিতে ন্যূনতম ২৫ জন শিক্ষাথীর্ হলে ভালো হয়।

প্রবিধান মালা ৮-এ উল্লেখ আছে প্রতিষ্ঠানে শিফট খোলার শতার্বলি : এখানে নতুন করে শিফট খোলা যাবে না বলা হয়েছে। বিদ্যালয়ে শিফট বহাল থাকার শতর্ আছে তাহলে প্রবিধানের ৮-এর শিরোনাম হওয়া উচিত বিদ্যমান শিফট বহাল থাকার শতার্বলি। অথবা এই ধারাটি আগে যা ছিল তা হুবহু বহাল রাখা হোক।

প্রবিধান ৯ ধারা পদ সমন্বিতকরণ : ২০১৩ সালে সংশোধিত নীতিমালার ১১-এর ৪ এ উল্লেখ আছে। এমপিওভুক্ত প্রভাষকরা প্রভাষক পদে এমপিওভুক্তির ৮ বছর পূতিের্ত ৫: ২ অনুপাতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। এতে মোট পদসংখ্যা বৃদ্ধি পায় না। অন্যান্য শিক্ষকরা ৮ বছর পূতির্র পরে একটি সিলেকশন গ্রেড পাবেন। (৯ম গ্রেড থেকে ৭ম) গ্রেডপ্রাপ্ত হবেন। বতর্মান নীতিমালায় প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক হওয়ার অনুপাত ঠিক আছে। কিন্তু অন্যান্য প্রভাষকরা ৮ বছর পর যে সিলেকশন গ্রেড পেতেন তা ১০ বছর পর পাবে এবং তা ৯ম গ্রেড থেকে ৮ম গ্রেডে উন্নীত হবে। তাতে তাদের বেতন বৃদ্ধি পাবে মাত্র ১০০০ টাকা। ২০১৩ সালে সংশোধিত নীতিমালায় ৯ম থেকে ৭ম গ্রেডে প্রাপ্তির কথা উল্লেখ আছে। তাতে ৯ম গ্রেড থেকে ৭ম গ্রেডে পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা নাই। একটি গ্রেড বাদ দিয়ে তার ওপরের গ্রেড পাবেই বা কেন, দিবেই বা কেন?

১১.৫ এ ২০১৩ সালে সংশোধিত নীতিমালায় সহকারী অধ্যাপকের মধ্যে হতে ৩:১ অনুপাতে সহযোগী অধ্যাপকের পদে পদোন্নতি পাবে বতর্মান ধারায় এটা নীতিমালা যুক্ত নেই। ২০১৩ নীতিমালায় থাকলে তা বাস্তবায়ন হয়নি।

মাধ্যমিক স্তরে সহকারী শিক্ষকরা ৮ বছর পরে উচ্চতর স্কেল পেতেন এখন সেটা ১০ বছর পর পাবেন। পরে ৬ বছর পর আরও একটি গ্রেড পাবেন। তবে সারা জীবনে দুটি উচ্চতর স্কেল/ গ্রেডের বেশি পাবেন না। এখানে আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই যেমন বিএড প্রশিক্ষণ ছাড়া কোনো শিক্ষক চাকরিতে প্রবেশ করলে ১১তম গ্রেডে বেতন পান, বিএড প্রশিক্ষণ নিলে সে ১০ম গ্রেডে বেতন পাবেন এরপর ৮ বছর বা ১০ বছর পরে আবারও ৯ম গ্রেডে বেতন পাবেন। ষষ্ঠ বছরের অভিজ্ঞতা হলে তার ৮ম গ্রেড পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু একই পদে দুটির বেশি উচ্চতর স্কেল গ্রেড না দেয়ার কারণে তিনি তা পাবেন না। এটা ব্যাখ্যার দরকার, এটা আমাদের পরিষ্কার হওয়া দরকার। আবার একজন শিক্ষক টাইম স্কেল পেলেন তারপর সহকারী প্রধান শিক্ষক হলেন এরপর প্রধান শিক্ষক হলেন তাতে তার কয়েকটি উচ্চতর স্কেল প্রাপ্ত হবে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সপদে ১০ বছর চাকরির পর তা পরবতীর্ গ্রেড অথার্ৎ ৬ষ্ঠ গ্রেড পেতে পারে কিনা? ৬ষ্ঠ গ্রেড পাওয়ার পরও যদি চাকরির মেয়াদ ৬ বছর থাকে তবে সে ৫ম গ্রেডে যাবে কি?

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উচ্চ মাধ্যমিক খোলার পর তিনি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিন্তু তার গ্রেড পরিবতর্ন হবে না। এটি একটি পুরাতন ধারণা।

একজন প্রভাষক যে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রভাষক হলো একই যোগ্যতা নিয়ে সহকারী শিক্ষক হয়ে প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রধান শিক্ষক হলো। তার নেতৃত্বে বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক হলো। তিনি উচ্চ মাধ্যমিকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, পদবী পাবেন কিন্তু স্কেল পাবেন না এটা হতে পারে না। তাই আমাদের দাবি শিক্ষাগত যোগ্যতা অজর্নকারী ওই শিক্ষকের স্কেল প্রদান করতে হবে।

নীতিমালা ২৪-এর খ জনবল কাঠামোতে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পদের নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। এ ধারাটি সম্পূণর্ভাবে তুলে দেয়া প্রয়োজন।

ধারা ১২-তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিবতর্ন যুক্ত করা হয়েছে। এর প্রথমাংশে যা বলা হয়েছে তা বদলি নয় নতুন নিয়োগ বোঝায়। শেষাংশে, সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কমর্চারীদের প্রয়োজনে নীতিমালা প্রণয়নের মাধ্যমে এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠান বদলি করতে পারবে। প্রণেতাদের কাছে প্রশ্ন এটা কেমন নীতিমালা হলো? সেটা বাস্তবায়নের জন্য আরও একটি নীতিমালা করতে হবে। সরকার নীতিমালা করে অনেক কিছু করতে পারে কিন্তু সেটা পরিপত্রের মাধ্যমে বলার দরকার আছে।

পরিশিষ্ঠ ঘ- উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষেত্রে উপাধাক্ষ্য/সরকারি অধ্যাপক পদে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ অধ্যক্ষ/সহকারী অধ্যাপক পদে ১২ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতায় অভিজ্ঞতা। বতমার্ন ধারার সঙ্গে আমার দ্বিমত, আমরা সংশোধিত ১৩ নীতিমালায় যা আছে সেই ধারার সঙ্গে একমত। কারণ বতর্মান ধারা আগে ছিল যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগে প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়ায় ১৩ সালে সংশোধনীতে তা বাদ দেয়া হয় শিক্ষকমÐলীর মতামতের ভিত্তিতে। বতর্মানে আবার সেই ধারা যুক্ত হয় কেন? মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক /নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১২ বছরের সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা। এধারা আগে ছিল ২০১৩ সালে সংশোধিত করা হয়। এবার আবার যুক্ত করা হয়েছে। যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। সাবির্কভাবে আমার দৃষ্টিতে যেসব অসঙ্গতি এতে ধরা পড়েছে তা উল্লেখ করেছি। ওই বিষয়টি পযাের্লাচনা করে ধারাগুলো সংশোধন করানোর দাবি জানাচ্ছি।

দুলাল চন্দ্র চৌধুরী: প্রধান শিক্ষক, ইস্কাটন গাডের্ন উচ্চ বিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<3632 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1